Cancel Preloader

সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান ।

জ্ঞাণীগুণী বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী

ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
মহামানবগণ যুগে যুগে ধর্মকে সজীব এবং সতেজ করে তোলার জন্য নবুয়তের যুগে নবি-রাসুল এবং বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ মোর্শেদ তথা শিক্ষকরূপে সমকালিন যুগের মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। এসকল মহামানব ধর্মকে সজীব ও সতেজ করে তোলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় তাঁদের মধ্য থেকেই যুগের ইমাম, মোজাদ্দেদ বা সংস্কারক হিসেবে অলী-আল্লাহ্গণ পৃথিবীতে আগমন করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে হযরত রাসুল (সা.) ফরমান- ‘নিশ্চয়ই মহাপরাক্রমশালী সম্ভ্রান্ত আল্লাহ্ তায়ালা প্রত্যেক শতাব্দীর শিরোভাগে এ উম্মতের জন্য এমন এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন, যিনি ধর্মকে সংস্কার অথা সজীব ও সতেজ করে থাকেন।’ (মেশকাত শরীফ; পৃষ্ঠা ৩৬, আবু দাউদ শরীফ)

এ কারণেই মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-এর ওফাতের পরে ধর্মকে পুনর্জীবিত করার জন্য মোজাদ্দেদ হিসেবে বড়ো পির হযরত মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের জিলানি (রহ.), হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.), হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ (রহ.), হযরত মোজাদ্দেদ আল ফেসানি (রহ.), ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.)-এর মতো অসংখ্য অলী-আল্লাহ্গণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন।

বর্তমান একবিংশ শতাব্দীর শিরোভাগে এরই ধারাবাহিকাতায় মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকরী যুগের ইমাম বিশ^ মানবতার মুক্তির দূত সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানকে ধর্মকে সজীব ও সতেজ করে তোলার জন্য বাংলাদেশে প্রেরণ করেছেন। যাঁর জীবদ্দশায় আজ মোজাদ্দেদ হিসেবে তাঁর বহু সংস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান মানুষকে আত্মশুদ্ধি তথা আত্মপরিশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিশুদ্ধি, সমাজশুদ্ধি, রাষ্ট্রশুদ্ধি এমনকি আন্তর্জাতিকভাবে মানুষে মানুষে ঐক্যের এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন, আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তিশুদ্ধ হয় এবং ব্যক্তিশুদ্ধির মাধ্যমে সমাজ শুদ্ধ হয়। সমাজশুদ্ধির মাধ্যমে রাষ্ট্রশুদ্ধ হয়। এ দর্শনেই পৃথিবীতে মানবের মুক্তির ব্যবস্থা করতে সক্ষম।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের গৌরবময় জীবন দর্শন সম্পর্কে বিশ্বের বিভিন্ন মনীষীগণ ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁর লিখিত বিভিন্ন অমূল্য গ্রন্থসমূহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রফেসর-সহ বিশ্বের বহুসংখ্যক মনীষী ও পণ্ডিতগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার জনাব মো. আবদুল হামিদ ‘সূফী সম্রাট’ স্মরণিকায় সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ৬২তম শুভ জন্মবার্ষিকীতে যে শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেন- তাতে তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্মে হানাহানির স্থান নেই। মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য রক্ষা করাই ইসলামের মূলকথা। এ স্মরণিকা প্রকাশের মাধ্যমে ইসলামের মূল বাণী, মূল শিক্ষা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দেশে ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ, নাশকতামূলক কাজকে চিরতরে বন্ধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের শুভ জন্মদিনে তাঁকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।

নেদারল্যান্ডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্থানীয় সালিশী আদালতের সদস্য- বিচারপতি মো. আওলাদ আলী
নেদারল্যান্ডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্থানীয় সালিশী আদালতের সদস্য এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আওলাদ আলী বলেন, সমগ্র পৃথিবী এখন বিপদ সঙ্কুল। মানসিক শান্তির অভাবে সমাজের প্রতিটি মানুষই যখন দিশেহারা, সমাজে শৃঙ্খলা বোধ প্রায়ই বিলুপ্ত, বিশ্বমানবতা যখন বিপন্ন তখন মানবজাতির কল্যাণ সাধন করার জন্য যে চিন্তা চেতনার প্রয়োজন, সেই চিন্তা চেতনা জাগ্রত করার জন্য সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী সূফীবাদের সাধনা নিমগ্ন থেকে আমাদের মহানবী (সঃ)-এর আদর্শের উপর ভিত্তি করে শান্তির ধর্ম ইসলামের মূলমন্ত্রের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সেটা শুধু বাংলাদেশে নয়, বাংলাদেশের সীমানার বাইরেও অনেক দেশে সূফীবাদের মর্মকথা প্রচারের ব্যবস্থা করতে কম চেষ্টা করছেন না। মহান আল্লাহ্ আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তাঁর নৈকট্য লাভের প্রকৃত উপায় কি, তা মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঐ সব গবেষণার ফলাফল বহু গ্রন্থে প্রকাশনার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্ব আশেকে রাসূল (সঃ) সম্মেলনের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকায় এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সম্মেলন ও আলোচনার মাধ্যমে শান্তির ধর্ম ইসলামের মর্মকথা প্রচার করেছেন। পারিবারিক শান্তি, সামাজিক শান্তি এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে উন্নতি ঘটানোর জন্য যে শান্তির অভাব, সেটা পূরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন সে সম্বন্ধেও তাঁর বক্তব্যে এবং লিখনীতে প্রকাশ পাচ্ছে। মানুষের আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার উপায় তাঁর বক্তব্যে ও লিখনীতে প্রচারিত হচ্ছে। আমরা যারা শিক্ষিত ও বুদ্ধিজীবী, তাদের কর্তব্য হবে সূফীবাদে শিক্ষিত এবং দীক্ষিত হয়ে সমাজের হানাহানি বন্ধে এবং জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে হিংসা লোভ দূরীভূত করার প্রচেষ্টা চালানো। তাহলে আমরা এই সূফীবাদের সাধককে প্রকৃতভাবে সম্মান দেখাতে পারব। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই সাধককে সব সময় স্মরণ করি। আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি যে, তিনি যেন সুস্থ জীবন নিয়ে দীর্ঘায়ু লাভ করে আমাদের এই ভেঙ্গে পড়া সমাজকে আরও কিছু দিয়ে যেতে পারেন। এই আমার কামনা। মহান আল্লাহ্ যেন এই সূফী সাধকের সকল ইচ্ছা পূরণ করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রথম মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমদ খান
ইসলামি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর প্রথম মহাপরিচালক এবং সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমদ খান বলেন, আমি জ্ঞানগরিমায় ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান হিসেবে ছোটবেলা থেকে তালবুল ইলম-এ প্রত্যাশী জ্ঞান অন্বেষণে নিরত ছিলাম। মহান আল্লাহ্ আমাকে দয়া করে দীর্ঘায়ু দান করেছেন এবং আমি শিক্ষা-দীক্ষার চত্বরে প্রত্যাশিত কর্মজীবন শেষ করে অবসর গ্রহণের পরবর্তীতে হুজুর কেবলাজানের সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য অর্জন করি। আল্লাহর এই মহান বন্ধু, আওলিয়া শিরোমণি মাদারজাত ওলীর বরকতময় শাহাদাত অঙ্গুলীর মৃদু ছোয়ায় সূচনাতেই ক্বালবি জ্বিকির প্রাপ্ত হয়ে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। হযরত আবু বকর সিদ্দিকের তাসাউফ পন্থী বংশ ধারার একজন নগন্য সন্তান হিসেবে এটাই আমার জীবনের একমাত্র কাম্য ছিল। আমার বাবা হযরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর ভক্ত ছিলেন এবং কাদেরীয়া তরীকার একজন সাধক পুরুষ ছিলেন, তাঁর মুখে অহরহ ক্বালবী জ্বিকিরের কথা শুনেছি। আমি এ অমূল্য সম্পদের খোঁজে দুনিয়ার আনাচে কানাচে ভ্রমণ করেছি। দুই দুইবার ভূপ্রদক্ষিণ করেছি। কিন্তু কোথাও ক্বালবী জ্বিকির আত্মস্থ করার সুযোগ হয়নি। হঠাৎ করে আমার জীবন ইঙ্গিত বাসনা পূর্ণ হলো এবং এ মহাসম্পদ আত্মস্থ করার জন্যে দেওয়ানবাগ শরীফে হুজুর কেবলার সান্নিধ্যে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলাম।

সাবেক বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক
সাবেক বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে লেখক হজুুর কেব্লা ইসলাম ধর্মের একজন জ্ঞানী ব্যক্তি ও সাধক। এরূপ সাধনা খুব কম মানুষের মধ্যে দেখা যায়। পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে রাব্বুল আলামীন বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের তাঁর সকল সৃষ্টি ও সৃষ্ট জীবের প্রতি যে নির্দেশ দিয়েছেন তা উপলব্ধি করা যায় একমাত্র পবিত্র কোরআন শরীফের প্রতিটি শব্দের শুদ্ধ অর্থ বুঝার মাধ্যমে। আমি দোয়া করি, আল্লাহ্ তাঁকে দীর্ঘজীবি করুন। তাঁর পবিত্র উদ্দেশ্যকে সাফল্য দান করুন।

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু
সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হজুুর পবিত্র কুরআন, হাদীস ও সূফী সাধকগণের বাস্তব জ্ঞান সম্বলিত ব্যাখ্যা দিয়ে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন্ পথে’? নামক যে মহামূল্যবান গ্রন্থখানা রচনা করেছেন, তা সত্যিই একটি অমর সৃষ্টি। আমি এ গ্রন্থখানির বহুল প্রচার কামনা করি এবং এই অমর গ্রন্থখানা পাঠ করে মানুষ ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান লাভে সক্ষম হবে বলে আশা করি।

সাবেক বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী
সাবেক বিচারপতি বদরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইসলামের ২টি দিক রয়েছে। একটি জাহের অর্থাৎ শরীয়ত এবং অপরটি বাতেন অর্থাৎ মারেফত। এ গ্রন্থে ইসলামের জাহেরী ও বাতেনী উভয় দিকেরই সুন্দর ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলা এ গ্রন্থে (আল্লাহ্ কোন্ পথে?) ইসলামের এ দুটি দিকের সমন্বয় সাধন করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়। মানুষ কিভাবে আল্লাহর পরিচয় ও নৈকট্য হাসিল করতে সক্ষম হবে, তার একটি সুন্দর দিক-নির্দেশনাও রয়েছে- ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান : আল্লাহ্ কোন পথে’? নামক গ্রন্থখানিতে।

সাবেক বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল মান্নান
সাবেক বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল মান্নান বলেন, আমি এই গ্রন্থখানা (আল্লাহ্ কোন্ পথে?) পড়ে বহু কিছু শিখেছি ও মনের নিভৃত কোণে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুরের এ অসামান্য অবদান মানুষের মাঝে আরো নবচেতনা ও উপলব্ধি বয়ে আনবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান
সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসান বলেন, সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলার তত্ত্বাবধানে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের উদ্বৃত্তি সহকারে লিখিত এ গ্রন্থখানি। এ গ্রন্থখানি (আল্লাহ্ কোন্ পথে?) পাঠ করলে মানুষ তাদের আত্মার খোরাক পাবে বলে আমার ধারণা। আমি এ গ্রন্থের বহুল প্রচার কামনা করি।

সাবেক বিচারপতি মাহ্ফুজুর রহমান
সাবেক বিচারপতি মাহ্ফুজুর রহমান বলেন, সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন্ পথে’? নামক এ অমূল্য গ্রন্থখানা সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলার তত্ত্বাবধানে রচিত হয়েছে, যা পবিত্র কুরআন, হাদিস ও আওলিয়াগণের সাধনালব্দ জ্ঞানের ব্যাখ্যায় সমৃদ্ধ।

এ গ্রন্থখানা পাঠ করে মানুষ উপকৃত হবে এবং পরকালে শান্তি ও মুক্তি লাভ করতে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন
সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জে আর মোদাচ্ছির হোসেন বলেন, সমগ্র মানবজাতির জন্য ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)-এর তত্ত্বাবধানে লিখিত এ পুস্তকে এ কথাই বুঝাতে চেষ্টা করা হয়েছে। তাসাউফ তথা মানবাত্মার শুচি সাধন ও শুদ্ধিকরণ এবং আল্লাহর অস্তিত্ব যে প্রমাণিত, তাও কোরআনের আলোকে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে। মানব জীবনের দৈহিক ও আধ্যাত্মিক নিয়ন্ত্রণ ও উন্নতি সাধনের যে ব্যবস্থা ইসলাম ধর্মে অন্তর্নিহিত রয়েছে তা লেখক অতিব সুন্দরভাবে আলোকপাত করেছেন। আমি সূফী সম্রাটের জ্ঞান সাধনার সাফল্য কামনা করি।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম
সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, সূফী সম্রাট হযরত মাওলানা মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)-এর মতে তাসাউফ বা সূফীবাদ সৃষ্টির আদিতম বিজ্ঞান, যে বিজ্ঞানের মাধ্যমে হযরত আদম (আ.) আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভ করেছিলেন, পরিচয় পেয়েছিলেন এবং এর ফলশ্রুতিতে আল্লাহর প্রতিনিধির মর্যাদা লাভ করেছিলেন।

সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম
সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম বলেন, একথা সত্য যে, আল্লাহ্র ভাষা তাঁর বন্ধু অলী-আল্লাহ্গণই ভাল বোঝেন। সুতরাং সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের রচনা ও সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক ইসলামের বেশ কয়েকটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রচিত হয়েছে ‘সূফী সম্রাটের যুগান্তকারী অবদান- আল্লাহ্ কোন পথে’? নামক গ্রন্থখানা। পবিত্র কোরআন, হাদিস ও এলমে তাসাউফের সুন্দর ও যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা সম্বলিত এ গ্রন্থখানা সত্যিই একটি অনন্য সৃষ্টি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, এ পৃথিবী আজ অত্যাচার-অনাচার ও সন্ত্রাসে টলমল। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়। সিরিয়া, ইরাক, মিয়ানমারে মুসলমানদের উপর অসহনীয় অত্যাচার চালানো হচ্ছে। তথাপি মুসলমান সম্প্রদায় রাসুলে করিম (সা.)-এর আদর্শে একতাবদ্ধ হতে পারছে না। কারণ তারা তৌহিদে বিশ্বাসী হলেও ঈমানী দায়িত্বে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই রাসুলে করিম (সা.)-এর সুন্নত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মুসলিম সমাজ। বর্তমান সংকটে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.)-এর ছত্রছায়ায় মানুষ নতুন পথের সন্ধান করে যাচ্ছেন। তিনি শরীয়ত ও মারেফাতের বিদ্যায় মানুষকে শিক্ষা দিয়ে চলছেন। তাঁর সংস্পর্শেই রাসুলে করিম (সা.)-এর সুন্নত মানুষ সঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং তারা এরই ছত্রতলে একত্রিত হবে বলে আমার আশা। তিনি একজন আদর্শ মোর্শেদ, যাঁর সংস্পর্শে মানুষ আত্মিক পরিশুদ্ধি লাভ করতে পারে। তাঁর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে মানুষ সফলকাম হতে পারে তথা প্রকৃত মোমেন বান্দা হওয়ার গৌরব অর্জন করতে পারে।

মহান আল্লাহ্ দয়া করে যাদের হিকমত দান করেন তাঁরা বিশেষ মর্যাদাশীল ব্যক্তি, তাঁরা আল্লাহ্ পাকের বন্ধু বলে পরিগণিত। আল্লাহ্ পাকের বন্ধুরাই আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতা রাখেন এবং অপরকে আত্মিক জগতের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারেন। সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) আত্মিক জগতের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে সাধারণ মানুষকে আত্মিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছেন। তাঁর আদর্শ, শিক্ষা ও আশির্বাদ মানুষকে শান্তির লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম। বিশ্বের বর্তমান সংকট নিরসনে তাঁর শিক্ষা এক বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
আল্লাহ্ যেন তাঁকে আরো শক্তি ও সামর্থ দান করেন, যাতে তিনি মানুষকে মুক্তির পথ দেখাতে পারেন। তাঁর শিক্ষায় শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে পারেন বলে আশা রাখি।

ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী প্রফেসর ড. প্রতাপ চন্দ্র চন্দ
ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা মস্ত্রী ও কলকাতা ল’ কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. প্রতাপ চন্দ্র চন্দ বলেন, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের প্রচারিত মোহাম্মদী ইসলামের অনুসারী আজ বিশে^র শতাধিক দেশে বিদ্যমান রয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের আদর্শ প্রচার করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও সূফী সম্রাটের বহুসংখ্যক ভক্ত রয়েছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার খিদিরপুরে ১৯৯২ সালে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ থেকে আয়োজিত প্রথম সূফী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই অনুষ্ঠানে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান বাংলাদেশ থেকে কিছু শিক্ষাবিদ ও সূফী প্রতিনিধি ভারতে পাঠান। এই সূফী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী, কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীবৃন্দ ও আলেম ওলামাসহ সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ। তারা প্রত্যেকেই মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুরের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা মস্ত্রী প্রফেসর ড. প্রতাপ চন্দ্র চন্দ বলেন, এই মহান সাধকের বহু ভক্ত অনুসারী ভারতবর্ষে রয়েছেন। কলকাতার কিছুসংখ্যক ভক্তবৃন্দের উদ্যোগে আজকের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন একটি ধর্মীয় সম্মেলনে যোগদান করতে পেরে আমি আনন্দিত ও গর্বিত। ঐ মহান সাধকের প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা। আজকে যারা বাংলাদেশ থেকে এসে এই সম্মেলনে যোগদান করেছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ জানালাম ও ভারতের নাগরিকদের মধ্যে একটা সম্প্রীতি সৃষ্টি হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী জনাব সুলতান আহম্মদ
ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি জনাব সুলতান আহম্মদ বলেন, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের সূফীবাদের শিক্ষা শুধু বাংলাদেশেই নয়, আজ ভারতবর্ষেও প্রচারিত হচ্ছে।

পরবর্তীতে পর্যটন মন্ত্রী জনাব সুলতান আহম্মদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের পরিচয় পেয়ে তিনি বাংলাদেশে এসে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. অমলেন্দু দে
ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. অমলেন্দু দে বলেন, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর বর্তমান যুগে আলোর দিশারী হয়ে জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ এই ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর সূফী আদর্শ অনুসরণ করে মানুষ মহান প্রভুর সাথে যোগাযোগের শিক্ষা সূফীবাদের জ্ঞান অর্জন করছে। আজ তাঁর মহান শিক্ষা শুধু বাংলাদেশেই নয়, ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশে প্রচারিত হচ্ছে।

কলকাতা খিদিরপুরে অনুষ্ঠিত দেওয়ানবাগ শরীফের বিশ^ সূফী সম্মেলনে যোগদানকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক, খিদিরপুর বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. অমলেন্দু দে। উল্লেখ্য কলকাতার সূফী সম্মেলনে বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ভারতের বিজ্ঞ আলেম, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার ও আইনজীবিসহ বিভিন্ন পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ যেমন উপস্তিত ছিলেন, পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মের লোক উপস্থিত ছিলেন।

প্রফেসর ড. অমলেন্দেু দে মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুরের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদীসের বর্ণনা দিয়েও আলোচনা করেন।

কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানকে জামানার একজন শ্রেষ্ঠ অলী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষদের সৌভাগ্যবান মনে করে বলেন- বাংলাদেশ থেকে যারা এসেছেন, তারা এমন একজন মহান অলী-আল্লাহ্কে পেয়ে সত্যিই ভাগ্যবান। ভারতের কলিকাতার খিদিরপুরে গ্রান্ড আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সূফী সম্মেলনে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন।
(চলবে)
[লেখক: প্রাবন্ধিক, গবেষক ও সাংবাদিক]

সম্পর্কিত পোস্ট