Cancel Preloader

তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী : একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা

ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা
মহাবিশ্বের মহান স্রষ্টা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন। যখন কিছুই ছিল না তখন তিনি ছিলেন, আবার যখন কিছুই থাকবে না, তখনও তিনিই থাকবেন। তিনিই সকলকে অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে এনেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, বর্তমান মুসলিম সমাজে বহুল প্রচলিত একটি ভ্রান্ত ধারণা হচ্ছে- বিশ্ব জগতের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন নিরাকার! তাঁকে জীবদ্দশায় দেখা সম্ভব নয়। কেউ যদি তাঁর আকার নিয়ে চিন্তা করে বা তাঁর দিদার লাভ করে, সে ঈমানহারা হয়ে যাবে। আর এই অমূলক ও ভ্রান্ত ধারণা বিশ্বাস করে মানুষ সরল মনে নিরাকার ও অদৃশ্য আল্লাহ্র ইবাদত করছে। অথচ নবুয়তের যুগে নবী-রাসূল মানুষকে মহান আল্লাহ্র সাথে যোগাযোগের পদ্ধতি শিক্ষা দিতে এ ধূলির ধরায় আগমন করেছেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় বেলায়েতের যুগে অলী-আল্লাহ্গণ আল্লাহ্কে পাওয়ার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। যদি আল্লাহ্ নিরাকার হতেন তাহলে তাঁরা মানুষকে কার সাথে যোগাযোগের শিক্ষা দিয়েছেন? আর মানুষইবা কাকে পাওয়ার জন্য ইবাদত করে? জীবদ্দশায় স্রষ্টার দীদার লাভ অসম্ভব হলে মৃত্যুর সময় ঈমানী পরীক্ষায় কেন প্রশ্ন করা হয়- ‘তোমার প্রভু কে?’ প্রভু অদৃশ্য হলে হযরত রাসূল (সঃ) মিরাজে গিয়ে কিভাবে প্রভুর দর্শন লাভ করলেন? এ বিষয়গুলো কি প্রমাণ করে আল্লাহ্ নিরাকার?
মহান আল্লাহ্ মানুষের ক্বালবের ৭ম স্তর নাফসীর মোকামে অবস্থান করার পরও মানুষের বিশ্বাস তিনি সাত আসমানের উপরে আছেন। মূলত প্রভুর সাথে যোগাযোগের পন্থা হারিয়ে ফেলার কারণে এক সময়ের শ্রেষ্ঠ জাতি মুসলমান আজ নির্যাতিত, নিপীড়িত ও অবহেলিত। এমনি এক সংকটময় মুহূর্তে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর পরিচয় তুলে ধরার জন্য মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেব্লাজানকে ধূলির ধরায় প্রেরণ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানই সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে জগৎবাসীর উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেন- “আমি আল্লাহ্কে দেখেছি।” তাঁর এই ঘোষণা শোনে স্বার্থান্বেষী মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। তাসাউফ বিবর্জিত আলেম সমাজের চরম বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েও তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বললেন- “আমি আল্লাহ্কে এমনভাবে চিনি, যেভাবে সন্তান তার পিতাকে চেনে।” তাই সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস দূর করার লক্ষ্যে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে প্রমাণ করার সিদ্ধান্ত নেন- ‘মহান আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে’। এ মহাসত্য বাস্তবায়নে তিনি কুরআন গবেষণা শুরু করেন।
প্রথমে এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল কুরআনের আলোকে জীবন বিধান গ্রন্থ রচনা করা। যে গ্রন্থটি পবিত্র কুরআনের আয়াতসমূহ বিষয় ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন অধ্যায় সন্নিবেশিত করা হবে, যেন মানুষের পক্ষে তা সহজে বোধগম্য হয়। পরবর্তীতে গবেষণা কার্যক্রম শুরু হলে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান সিদ্ধান্ত নিলেন ‘যার বাণী কুরআন, সর্বপ্রথম তাঁর পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। কেননা মানুষ যদি আল্লাহ্র পরিচয় না জানে, তবে আল্লাহ্র বাণীর গুরুত্ব কখনোই অনুধাবন করতে পারবে না।’ আল্লাহ্র পরিচয় ও স্বরূপ তুলে ধরার লক্ষ্যে ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ গ্রন্থের উৎপত্তি। মানবজাতির ইতিহাসে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানই একমাত্র তাফসীর প্রণেতা যিনি নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও মারফু হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহ্র জাত-পাক ও ৯৯টি সিফাত বা গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপন করে ১১৩৭৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক ৮ম খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন করেন। এই ৮ খণ্ড তাফসীরের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান প্রমাণ করেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন।’ নিম্নে এই ৮ খণ্ড তাফসীরের সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা উপস্থাপন করা হলো-
১ম খণ্ড : সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ১ম খণ্ডে ১১টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহ্র জাত-পাকের পরিচয় উপস্থাপন করেছেন। এই খণ্ডে মহান আল্লাহ্র একত্ববাদের বিষয়ে পবিত্র কুরআনের ২৮ খানা আয়াত এবং আল্লাহ্র নূরময় সত্তার বর্ণনায় ১৮ খানা আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়। এছাড়া মহান আল্লাহ্র চেহারা মোবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআনের ১৪ খানা আয়াত, চক্ষু মোবারকের বর্ণনায় ৬৩ খানা আয়াত, শ্রবণেন্দ্রিয়ের বর্ণনায় ৪৮ খানা আয়াত, জবান মোবারকের বর্ণনায় ৪৭৭ খানা আয়াত, হাত মোবারকের বর্ণনায় ১৭ খানা আয়াত, কদম মোবারকের বর্ণনায় ২ খানা আয়াত এবং নফস বা দেহ মোবারকের বর্ণনায় ৬ খানা আয়াত উপস্থাপিত হয়। এভাবে মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ যথা- নূরের চেহারা মোবারক, নূরের চক্ষু মোবারক, নূরের কান মোবারক, নূরের হাত মোবারক, নূরের কদম মোবারক ও নূরের দেহ মোবারকের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করার পর তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান মহান আল্লাহ্র রূহ মোবারকের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ২০ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেন। এভাবে তিনি মহান আল্লাহ্র পরিপূর্ণ রূপের বর্ণনা পবিত্র কুরআনের প্রামাণ্য দলিল দ্বারা প্রমাণ করেন। অতঃপর তিনি মহান আল্লাহ্র দর্শন লাভ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনের ৩০ খানা আয়াত তুলে ধরে মহান আল্লাহ্র জাত-পাকের পরিচয় লিপিবদ্ধ করে প্রমাণ করেন- ‘মহান আল্লাহ্ রূপহীন নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে।’ মূলত ১ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা পবিত্র কুরআন থেকে ৭২৩ খানা আয়াত এবং ২৮০৮ খানা হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহ্র জাত-পাকের পরিচয় মানবজাতির নিকট তুলে ধরেন। উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ১ম খণ্ড ১৫৬৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
২য় খণ্ড : তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ২য় খণ্ডে ৬টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহ্র ৯৯টি সিফাতের মধ্য থেকে ৩৪টি সিফাত তথা গুণবাচক নামের বর্ণনা উপস্থাপন করেন। তিনি ৩৪টি সিফাতের বর্ণনায় পবিত্র কুরআন থেকে ৫০১ খানা আয়াত এবং ১৪৩৮ খানা হাদীস উল্লেখ করে প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন’। উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ২য় খণ্ডটি ১৩৪৭ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৩য় খণ্ড : ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৩য় খণ্ডে ৪টি অধ্যায়ে মহান আল্লাহ্র ৫টি গুণবাচক নামের পরিচয় উপস্থাপনের জন্য পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৩ খানা আয়াত ও ১৩০৬ খানা হাদীস সন্নিবেশিত করা হয়। এ তাফসীর শরীফে ৪টি অধ্যায়ে প্রমাণ করা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ্ কুল-কায়েনাতের সকল প্রাণীর রিজিকদাতা, তিনি সবাইকে দেখেন, সবার মুখ ও অন্তরের কথা শুনেন এবং সকলের সার্বিক অবস্থার কথা জানেন। এ থেকে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন।’ উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৩য় খণ্ডটি ১৪৩১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৪র্থ খণ্ড : তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৪র্থ খণ্ডে ১৫টি অধ্যায়ে মহান রাব্বুল আলামীনের ১৮টি সিফাতের পরিচয় লিপিবদ্ধ করেছেন। এ ১৮টি গুণবাচক নাম মোবারকের মহিমা, বাস্তবতা ও প্রয়োগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৪২১ খানা আয়াত ও ১৯৬৬ খানা হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি কুরআন ও হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহ্র স্বরূপ তুলে ধরে প্রমাণ করেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন’। এছাড়া এ খণ্ডে তিনি পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতের তাফসীর অন্য আয়াত দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন। যাকে তাফসীর শাস্ত্রের পরিভাষায় ‘তাফসীরুল কুরআন বিল কুরআন’ বলা হয়। উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৪র্থ খণ্ডটি ১৩৮৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৫ম খণ্ড : সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৫ম খণ্ডে মহান আল্লাহ্র ১৭টি সিফাতের পরিচয় ১৭টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন। তিনি এই ১৭টি অধ্যায়কে ৫৩টি পরিচ্ছেদে বিভক্ত করে পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৮ খানা আয়াত ও ১৯৩৩ খানা হাদীসের সমন্বয়ে প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন।’ উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৫ম খণ্ডটি ১৪৬১ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৬ষ্ঠ খণ্ড : সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৬ষ্ঠ খণ্ডে মহান রাব্বল আলামীনের সুন্দরতম গুণবাচক নামসমূহের ২৩টি গুণবাচক নামের পরিচয় ২৩টি অধ্যায়ে উপস্থাপন করেছেন। পবিত্র কুরআন থেকে ৪৫৯ খানা আয়াত ও ১৮৯৪ খানা হাদীসের আলোকে মহান আল্লাহ্র ২৩টি গুণবাচক নামের দ্বারাই তাফসীর প্রণেতা প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন।’ এছাড়া সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান বিভিন্ন অধ্যায়ে আল্লাহ্র সিফাত বা গুণবাচক নামের পর্যালোচনা অংশে পবিত্র কুরআনের ১২০৫ খানা আয়াত সন্নিবেশিত করেছেন। যা পাঠ করে পাঠকবৃন্দ মহান রাব্বুল আলামীনের গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত হবেন। উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৬ষ্ঠ খণ্ডটি ১৩৭৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৭ম খণ্ড : ‘তাফসীরে সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৭ম খণ্ড অধ্যয়নে পাঠকবৃন্দ মহান আল্লাহ্র ৯টি গুণবাচক নামের মহিমা ও বৈশিষ্ট্যের পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। এ খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান পবিত্র কুরআনের সিফাত ভিত্তিক ৫৪৪ খানা আয়াত ও ২২১৯ খানা হাদীস উপস্থাপনের মাধ্যমে অকাট্যভাবে প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন’। এছাড়া এই খণ্ডে বিষয় সংশ্লিষ্ট আরও অনেক আয়াত ও হাদীস সন্নিবেশিত হয়েছে। উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৭ম খণ্ডটি ১৪০৬ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
৮ম খণ্ড : ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৮ম খণ্ডে তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান মহান রাব্বুল আলামীনের ‘আর-রব’ নাম মোবারকের মহিমা উপস্থাপন করেছেন। তিনি পবিত্র কুরআন থেকে ৬২১ খানা আয়াত ও ২৩৪৩ খানা হাদীসকে ৩২টি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন।’ উল্লেখ্য যে, ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ ৮ম খণ্ডটি ১৪০৩ পৃষ্ঠা সম্বলিত।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক ৮ খণ্ড তাফসীর প্রণয়নের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন- ‘মহান আল্লাহ্র নূরের রূপ আছে, তিনি নিরাকার নন’। এ তাফসীর শরীফ পাঠ করে প্রাজ্ঞ পাঠক সমাজের জানার সুযোগ হবে যে- ‘মহান আল্লাহ্ স্থূল দেহধারী নন, একইভাবে তিনি মানুষের মত রক্ত মাংসের দেহধারী নন, তিনি নূরের’। এ নূরময় সত্তাকে দেখা যায়, তাঁর কথা শোনা যায়, তবে হাত দিয়ে ধরা ও ছোঁয়া যায় না। উপমা স্বরূপ বলা যায়, টেলিভিশনের পর্দায় যে মানুষটি সংবাদ পাঠ করে, এটি ঐ ব্যক্তির আলোকদেহ। ফলে টেলিভিশনের পর্দায় মানুষের আলোক দেহকে দেখা যায়, তার কথা শোনা যায়, কিন্তু তাকে ধরা যায় না, এমনকি স্পর্শ করা বা ছোঁয়া যায় না। অনুরূপভাবে পরিশুদ্ধ ক্বালবের পর্দায় মহান আল্লাহ্র নূরের চেহারা মোবারক দেখা যায় এবং তাঁর কথা শোনা যায়। মানুষ যদি সাধনার মাধ্যমে আত্মিক পঞ্চ-ইন্দ্রিয়কে জাগ্রত করতে পারে তাহলে সেই মানুষটি আত্মিক জবানে আল্লাহ্র সাথে কথাও বলতে পারেন।
মূলত সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানই বিশ্বের ইতিহাসে একমাত্র তাফসীরকারক যিনি ‘মহান আল্লাহ্ নিরাকার নন, তাঁর নূরের রূপ আছে’- এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ৮ খণ্ড তাফসীর রচনা করে বিশ্ববাসীর নিকট মহান আল্লাহ্র প্রকৃত স্বরূপ উপস্থাপন করেছেন। আবহমানকাল থেকে মানব জাতি মহান আল্লাহ্কে নিরাকার ভেবে যে ভুল করে আসছিলেন, জগতশ্রেষ্ঠ মহামানব সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ৮ খণ্ড তাফসীর প্রণয়ন কর সে ভুল থেকে মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন। তাই তাফসীর প্রণেতা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের কদম মোবারকে জানাই লাখো শুকরিয়া।

সম্পর্কিত পোস্ট

24 Comments

  • মারহাবা ইয়া রাসুলাল্লাহ!

  • অনেক সুন্দর ও সু-স্পষ্টভাবে রচিত এই মহাগ্রন্থ তাফসিরে “সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী” অনেক ভালো লাগে এই তাফসির শরীফ পড়ে।

  • অত্যন্ত সুন্দর আর সুললিত ভাষায় আমার মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী (মা: আ:) বাবাজানের “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী” এর অমর গ্রন্থগুলোর মুখবন্ধ সম্পর্কে দয়াল দরদী বাবাজানের সুযোগ্য উত্তরসূরী হযরত ইমাম আরসাম কুদরত-এ-খোদা(মা: আ:) মহান আল্লাহ্‌র রূপ ও গুণবাচক নামসমূহ্‌কে নিয়ে মহান মোর্শেদের প্রণীত তাফসীর মোবারকের খন্ডভিত্তিক আলোচনার যে বিষদ বিবরণ দিয়েছেন তা সত্তিই অতুলনীয় ও প্রশংসার যোগ্য। মূলতঃ মহান রাব্বুল আলামিনকে পাওয়ার পথে এই তাফসীর মোবারক খানা সত্যিই এক অমূল্য গ্রন্থ। আল্লাহ্‌কে পাওয়ার পথে এক মহামূল্যবান দলিল।

  • খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সুস্পষ্ট ভাবে লেখা এই কিতাবটি পড়ে উপকৃত হলাম

  • সুন্দর কিতাবখানা

  • আলহামদুলিল্লাহ্। অনেক ভালো লাগলো দেওয়ান শরিফের তাফসীর পারে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাফসীরের বানী।

  • মহামুল্যবান দলিল

  • ধন্যবাদ জানাই এই মহামানবকে আল্লাহকে জানার এক মহান গ্রন্থ আমাদের উপহার দেওয়ায়।

  • আমি মুগ্ধ আত্নারবাণী অনলাইনেপেয়ে।
    ধন্যবাদ

  • আলহামদুলিল্লাহ
    মহামূল্যবান বানী মোবারক

  • ধন্যবাদ জানাই মহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু হযরত শাহ দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুরকে যার মাধ্যমে আল্লাহর বানী আল কোরআন রাসূলের হাদিস দ্বারা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

  • এটি মোহাম্মদী ইসলামেরজন্যএক যুগান্তকারী সংস্কার। আল্লাহর নূরময় সত্বার আকার আছ, তিনি নিরাকারনন। কেয়ামত পর্যন্ত মানব গোষ্ঠীর জন্য অভিস্বরণীয় হয়ে থাকবে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী(মাঃআঃ) হুজুর করেলাজানের নাম মোবার।

  • তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী কিতাব পড়লে শান্তি পাওয়া যায়।

  • বিশ্বের মহা বিশ্ময় “তাফসীরে সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী” কিতাব যা আটখন্ডে পরিসমাপ্ত ! সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলার অনতম্য অবদান যা যুগে যুগে সিরাতুম মুস্তাকিম তালাশী মানুষের পথের পাথেয় হয়ে থাকবে ! আমীন

  • মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী (মা: আ:) দয়াল বাবাজানের “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী” অনলাইনে প্রকাশ হওয়াতে সারা পৃথিবীতে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

  • অত্যন্ত সুন্দর লিখা ।

  • Alhamdulillah ojana onek kicu jante parlam.

  • আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্‌ দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার অক্ল্যান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ জাতী বিশাল এক ভুলের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি প্রমান করেছেন “মহান আল্লাহর নুরের রুপ আছে তিনি নিরাকার নন” । আর উনারই সু-যুগ্য উত্তরসূরি সম্মানিত মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃ আঃ) হুজুরের কল্যানে সেই অক্ল্যান্ত পরিশ্রমের ফসল তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপুর্ন এক তাত্বিক পর্যালোচনা আমরা জানতে পারলাম ।

  • “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী”
    ৮ খন্ডের বিশ্লেশন প্রানবন্তভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
    আমিন!

  • আলহামদুলিল্লাহ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী নামক গ্রন্থখানা আমাদের মানবজাতির জন্য রহমত স্বরুপ।এই মহা গ্রন্থ প্রনয়ন করা না হলে আমরা কোনদিন জানতেও পারতামনা মহান আল্লাহর আকার সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এত এত দলিল আছে। আমরা বর্তমান যুগের মানুষ চিন্তাও করতে পারতাম না মহান আল্লাহর সম্পর্কে।আমরা মানব জাতি ধরেই নিয়েছিলাম আল্লাহর কোন অস্তিত্ব নেই জগতে।তিনি কেবল আমাদের সাধারণ বিশ্বাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।একবারের জন্য আমাদের এই খুদ্র জ্ঞানে চিন্তাও করতে পারিনি যে আল্লাহর নূরের রূপ আছে।তিনি এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ড সৃষ্টি করে এত সুন্দর সুন্দর নাজ নিয়ামত দিয়ে সাজালেন,আমাদের মানব জাতিকে দিলেন সুন্দর চেহারা।কিন্তু তিনার কি কোন চেহারা থাকতে পারেনা? আমাদের এই ধারণার জন্ম হয়েছে ধর্ম নিয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে।পবিত্র কোরআনতো কত মানুষ পড়েছে কিন্তু কেউতো আল্লাহর যে নূরের রুপ আছে কখনওতো বুঝতে পারলামনা। মহান আল্লাহর স্বরুপ সম্পর্কে সূফী সম্রাট হযরত শাহদেওয়ানবাগী হুজুরের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সাধনালব্ধ জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ এই মহাগ্রন্থ। আসলে একটা প্রবাদ আছে যার কাজ তারই সাজে অন্যে গেলে লাঠি বাজে।মহান আল্লাহর ইচ্ছা যে এই মহাবিশ্বে তার বন্ধুর মাধ্যমে তার পরিচয় তুলে ধরবেন।আমাদের প্রিয়নবী হযরত রাসূলপাক তৎকালীন সময়ে আল্লাহর পরিচয় বের করার জন্য যেভাবে নিজের জীবনের পুরোটা সময় ব্যায় করেছেন।১৫ বছর হেরাগুহায় ধ্যানমগ্ন হয়ে মহান আল্লাহর পরিচয় পেলেন।ঠিক সেইভাবে সূফী সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী হুজুরের জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল এই মহাগ্রন্থ তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী।তিনি সাধনা রিয়াজতের মাধ্যমে শুধু মহান আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরার জন্য নিজের জীবনের মহামূল্যবান সময়কে ব্যায় করেছেন।আর তাই দেওয়ানবাগী হুজুরের ভক্তরা জোড় গলায় বলতে পারি মহান আল্লাহর আকার আছে।তিনি নিরাকার নয়। এই মহাসত্য জানা একমাত্র সূফী সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী হুজুরের জন্যই সম্ভব হয়েছ। তিনি এই সমাজের মানুষের ভুল ভাঙতেই মহান আল্লাহর আকারের প্রমাণ স্বরুপ তুলে ধরলেন।তাই এই মহান ব্যাক্তিতকে জানাই ভক্তিপূর্ণ সালাম।আরও ধন্যবাদ জানাই ড.সৈয়দ আরসাম কুদরত-এ-খোদা হুজুরকে,তিনি সুন্দর করে এই মহাগ্রন্থের উপস্থাপন করার জন্য।

  • একটা সময় আত্মারবানী বই পড়তে মন চাইত না। ইদানিং মহান মুর্শেদের কি দয়া, এখন অপেক্ষায় থাকি কখন নতুন প্রবন্ধ আসবে। মহান রাব্বুল আলামীন সম্মানিত মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃ আঃ) হুজুরের দীর্ঘ হায়াত দান করেন আমরা যেন উনার কাছে থেকে মহান মুর্শেদের অমীয়ো বানী মোবারক শুনতে পারি।

  • আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত শাহ্‌ দেওয়ানবাগী (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলার অক্ল্যান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ জাতী বিশাল এক ভুলের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি প্রমান করেছেন “মহান আল্লাহর নুরের রুপ আছে তিনি নিরাকার নন” । আর উনারই সু-যুগ্য উত্তরসূরি সম্মানিত মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মাঃ আঃ) হুজুরের কল্যানে সেই অক্ল্যান্ত পরিশ্রমের ফসল তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী সম্পর্কে খুবই গুরুত্বপুর্ন এক তাত্বিক পর্যালোচনা আমরা জানতে পারলাম ।

  • আলহামদুলিল্লাহ
    মহান আল্লাহর আকার আছেকুরআনদিয়েপ্রমান
    খুবই গুরুত্বপূর্ণবানীমোবারক

  • মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট শাহ্ দেওয়ানবাগী (মা: আ:) দয়াল বাবাজানের “তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী” অনলাইনে প্রকাশ হওয়াতে সারা পৃথিবীতে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার প্রসারে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *