Cancel Preloader

পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে নামাজ

ড. মোবারক হোসেন

নামাজ এমনই একটি ইবাদত, যার মাধ্যমে বান্দা মহান আল্লাহর দিদার লাভ করে তাঁর সাথে কথোপকথনের সৌভাগ্য অর্জন করে থাকে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন-“আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে কেবলমাত্র এজন্য যে, যেন তারা আমারই ইবাদত করে।” (সূরা যারিয়াত ৫১: আয়াত ৫৬) মহান রাব্বুল আলামিন রহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে মানবজাতিকে পরিপূর্ণ ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম দিয়েছেন। কালেমা, নামাজ, রোজা, জাকাত ও হজ; এ পঞ্চস্তম্ভের ভিত্তির উপর মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের ধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত। মোহাম্মদী ইসলামের এ পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে কালেমা অর্থাৎ ইমানের পরেই নামাজের স্থান হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।
নামাজ প্রসঙ্গে হযরত রাসুল (সা.) বলেন-“তোমাদের কেউ যখন নামাজে দণ্ডায়মান হয়, তখন সে তার প্রতিপালকের সাথে গোপনে কথা বলে।” (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৭৬ এবং ই.ফা.বা কর্তৃক অনূদিত বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৮, হাদিস নং ৫০৬) উম্মতে মোহাম্মদীকে মহান আল্লাহ্ স্বীয় দিদার দিয়ে ধন্য করে তাঁর নুরের আলো দ্বারা আলোকিত করার জন্যই হযরত রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উপহার দিয়েছেন। নামাজ প্রসঙ্গে ওহির বাণী আল কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন বলেন-“সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম করো এবং ফজরের নামাজও কায়েম করো। নিশ্চয় ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময় (অর্থাৎ দিন ও রাতে যে সকল ফেরেশতা আমলনামা সংরক্ষণ করে তাদের মিলিত হওয়ার সময়, যে সময় রাতে ফেরেশতারা দিনের ফেরেশতাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নেয়)।” (সূরা বনি ইসরাইল ১৭: আয়াত ৭৮) এ আয়াতে মহান আল্লাহ্ সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েমের নির্দেশ দিয়ে জোহর, আসর, মাগরিব ও এশা, অতঃপর ফজরের নামাজ কায়েমের নির্দেশ দিয়ে সর্বমোট ৫ (পাঁচ) ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ্ হযরত রাসুল (সা.)-কে সম্বোধন করে বলছেন- “হে মোহাম্মদ (সা.)! আপনি নামাজ কায়েম করুন সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে জোহর ও আসরের নামাজ। রাতের অন্ধকার ঘন হওয়া পর্যন্ত নামাজ কায়েম করতে থাকুন, আর তা হলো- মাগরিব ও এশার নামাজ এবং আদায় করুন ফজরের নামাজ। ফজরের নামাজের সময় তো রাতের ও দিনের ফেরেশতাদের একত্রে উপস্থিত হওয়ার সময়। (তাফসীরে ইবনে আব্বাস, পৃষ্ঠা ২৯০)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ, এ ফরজের বিধান মহান আল্লাহ হযরত রাসুল (সা.)-এর মাধ্যমে দিয়েছেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) নামাজ সম্পর্কে বলেন- “নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত, এক জুমা থেকে অপর জুমা এবং এক রমজান থেকে অপর রমজানের মধ্যবর্তী সময়ের সকল পাপের কাফফারা হয়ে যায়।” (মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১২ এবং ই.ফা.বা. কর্তৃক অনূদিত মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, হাদিস নং ৪৪৫, পৃষ্ঠা ২৭১)
হযরত তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- “নজদ এলাকার এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর নিকট উপস্থিত হলো। তার মাথার চুলগুলো ছিল এলোমেলো, লোকটির কণ্ঠস্বর আমরা শুনছিলাম, কিন্তু তার কথা বুঝতে পারছিলাম না। অতঃপর সে রাসুল (সা.)-এর নিকটবর্তী হয়ে ইসলাম সম্পর্কে জানতে চাইল। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন- ইসলাম হচ্ছে রাতে ও দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। লোকটি বলল- এ ব্যতিরেকে আমার উপর আর কোনো নামাজের বাধ্যবাধকতা আছে কী? হযরত রাসুল (সা.) বললেন- না। তবে তুমি ইচ্ছা করলে নফল নামাজ আদায় করতে পারো। অতঃপর হযরত রাসুল (সা.) বললেন, ইসলামের আরেকটা বিধান হচ্ছে- রমজান মাসে রোজা রাখা, এবারও লোকটি বলল- এছাড়া আর কোনো রোজা আমার উপর ফরজ আছে কি? হযরত রাসুল (সা.) বললেন- না। তবে তুমি ইচ্ছা করলে নফল রোজা পালন করতে পারো। এ পর্যায়ে হযরত রাসুল (সা.) তাকে জাকাতের কথা বললেন। সে বলল- ফরজ জাকাত ছাড়া আমার উপর আর কিছু আছে কি? তিনি বললেন- না, তবে তুমি ইচ্ছা করলে নফল হিসেবে দান করতে পারো। এবার লোকটি একথা বলতে বলতে প্রস্থান করল যে, আল্লাহর রাসুল (সা.) যা বলেছেন, আমি এর থেকে বেশিও করব না এবং কিছুমাত্র কমও করব না। লোকটির কথা শুনে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন- যদি লোকটি সত্য বলে থাকে, তবে সে সফল হয়েছে।” (বোখারি ও মুসলিমের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১২ ও ১৩)
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ফরমান- “যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছে এ অবস্থায়, সে আল্লাহর সাথে কোনো কিছুই শরিক করেনি এবং সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে ও রমজান মাসের রোজা রেখেছে, তবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। [এ কথা শুনে মুয়াজ (রা.) বলেন] আমি বললাম- হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! আমি কি লোকদেরকে এ সুসংবাদ দেবো না? আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন- তাদেরকে আরো অধিক নেক আমল করার সুযোগ দাও।” (মুসনাদে আহমদের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১৬)
হযরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ফরমান- “মহান আল্লাহ্ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি উত্তমভাবে ওজু করেছে, অতঃপর সঠিকভাবে রুকু সিজদা এবং একাগ্রতার সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে, মহান আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেনি, তার বিষয়ে আল্লাহ্ কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি। এরূপ ব্যক্তিকে তিনি ক্ষমা করতেও পারেন অথবা শাস্তিও দিতে পারেন।” (মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ, মালেক ও নাসায়ী’র সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৫৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে- তিনি বলেন, আল্লাহররাসুল (সা.) ফরমান- “জোহর নামাজের সময় হলো- সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে প্রতিটি লোকের ছায়া তার দেহের সমান হওয়া পর্যন্ত। যতক্ষণ না আসর ওয়াক্ত হয়। আসরের শেষ সময় হলো সূর্যের রং হলুদ বর্ণ হওয়া পর্যন্ত। মাগরিব নামাজের সময় হলো- সূর্যাস্তের পর হতে আকাশের লালিমা অস্ত যাওয়া পর্যন্ত। আর এশার নামাজের সময় রাতের প্রথম প্রহর সুবহে সাদেক থেকে সূর্য উদয় পর্যন্ত (এটিই হলো পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সময়)।” (মুসলিম শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৫৯) পবিত্র কুরআন ও হাদিসের বাণী মোবারক অনুযায়ী আলোকোজ্জ্বল দিনের মতোই সুস্পষ্ট যে, নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ। আর এটি ইতঃপূর্বে উল্লিখিত সূরা বনি ইসরাইলের ৭৮ নম্বর আয়াতেই কেবল বিধানরূপে দেওয়া হয়েছে তা নয়, বরং সূরা ত্বাহার ১৩০ নম্বর আয়াতেও মহান আল্লাহ্ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বিধানরূপে দান করেছেন। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন- “হে রাসুল (সা.)! আপনি কাফিরদের কথায় ধৈর্যধারণ করুন এবং নামাজে আপনার প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাসবিহ তথা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন, যেন আপনি সন্তুষ্ট হতে পারেন।” (সূরা ত্বাহা ২০: আয়াত ১৩০)
মহান রাব্বুল আলামিনের এ বাণী মোবারকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দেওয়া হয়েছে। তা হলো- ক্বাবলা ত্বলূ‘ইশ শামসি অর্থাৎ সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজর ওয়াক্তের নামাজ, অতঃপর ওয়া ক্বাবলা গুরূবিহা অর্থাৎ সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের নামাজ, অতঃপর ওয়ামিন আনাইল লাইলি অর্থাৎ রাত্রিকালে মাগরিব ও এশার নামাজ এবং ওয়া আতরাফান্নাহারি অর্থাৎ সূর্য পশ্চিমে হেলে যাওয়ার পর জোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহ্ মি‘রাজ রজনিতে তাঁর শ্রেষ্ঠ হাবিব হযরত রাসুল (সা.)-কে উম্মতে মোহাম্মদীর মি‘রাজ লাভের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান উপহার দিয়েছেন। মি‘রাজ শরীফের সেই ঘটনাটি ছিল এ রকম- রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.) মি‘রাজ রজনিতে যখন মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছলেন, তখন মহান আল্লাহ্ প্রিয় বন্ধুকে বললেন- হে আমার হাবিব! আমি তো আপনাকে আরশে আজিমে আমার কাছে নিয়ে আসলাম, আপনি আমার জন্য কী নিয়ে এসেছেন?
জবাবে হযরত রাসুল (সা.) নিবেদন করলেন-“হে আল্লাহ্! সকল অভিনন্দন, গুণগান ও পবিত্রতা আপনার জন্য নিয়ে এসেছি। প্রিয় বন্ধুর এরূপ জবাবে মহান আল্লাহ্ অত্যন্ত খুশি হলেন এবং বললেন-“আমাদের উপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।”
তারপর হযরত রাসুল (সা.) মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে নিবেদন করেন- হে দয়াময় খোদা! আমি তো মি’রাজে এসে আপনার দিদার লাভ করলাম। আমার উম্মত কি আপনার দিদার লাভ করে ধন্য হতে পারবে? মহান আল্লাহ্ তখন প্রিয় বন্ধুকে তাঁর উম্মতের জন্য নামাজ উপহার দেন। নামাজের বিধান দেওয়ার ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ্ প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের বিধান দিলেও, হযরত রাসুল (সা.)-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তা কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান চূড়ান্ত করে দেন। অতঃপর এ সুসংবাদও জানিয়ে দেন যে, হে আমার হাবিব! আমি আপনার উম্মতকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজেই ৫০ ওয়াক্ত নামাজের ফজিলত দান করব। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন “নামাজ হচ্ছে মু’মিন ব্যক্তির জন্য মি‘রাজ।” (তাফসীরে জিলানী ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪ ও ৪র্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৮৩ এবং তাফসীরে মাজহারী ৬ষ্ঠ খণ্ড, পৃষ্ঠা ৪১৩) রহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর মি‘রাজ থেকে পাঁচ ওয়ক্ত নামাজের বিধান এসেছে। এজন্য স্বয়ং আল্লাহর রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর ইমামতিতে সাহাবায়ে কেরাম সারা জীবন পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ জামাতের সাথে আদায় করেছেন। আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত সারা দুনিয়ার আওলিয়ায়ে কেরাম, তরিকার ইমামগণ, মাজহাবের ইমামগণ এবং পৃথিবীর সকল মু’মিন মুসলমান পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজই আদায় করে থাকেন। মহান আল্লাহ্ তাঁর রাসুল (সা.)-এর উম্মতে মোহাম্মদীকে যে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ উপহার দিয়েছেন, মহান রাব্বুল আলামিনের দেওয়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে হুজুরি দিলে আদায় করতে হলে, হযরত রাসুল (সা.) বলেন“লা সালাতা ইল্লাবি হুজুরিল ক্বালব।” অর্থাৎ মনের একাগ্রতা ছাড়া নামাজ শুদ্ধ হয় না। সহি শুদ্ধ এবং মনের একাগ্রতা অর্জন করার জন্য আল্লাহর প্রেরিত মহামানবগণের অনুসরণ এবং শিক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী নামাজ আদায় করতে হবে।
পবিত্র কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ পুরষ্কার হলো নামাজ। একজন মানুষ যাতে দুনিয়ার চিন্তামুক্ত হয়ে একাগ্রতার সাথে আল্লাহ্কে হাজির নাজির জেনে নামাজ আদায় করতে পারে, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান সেই শিক্ষা দিয়েছেন। তাঁর নিয়ম অনুসরণ করে নামাজ আদায় করলে একজন মানুষ পরিপূর্ণ ফায়েজ, বরকত ও রহমত হাসিল করতে পারে। যাদের সাথে আল্লাহর যোগাযোগ আছে তাঁদের সহবতে গিয়ে নামাজ কায়েম করার পদ্ধতি শিখতে পারলে নামাজে মি‘রাজ বা আল্লাহর দিদার লাভ করা সম্ভব হবে।
মহান রাব্বুল আলামিন দয়া করে আমাদেরকে হুজুরি দিলে নামাজ পড়া তথা হাকিকতে নামাজ কায়েম করার তাওফিক দেন। আমরা যেন হুজুরি দিলে নামাজ আদায় করে মহান প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করতে পারি এবং হাকিকতে নামাজ আদায় করে ব্যক্তিজীবনে, সমাজ জীবনে ও পারিবারিক জীবনে শান্তি লাভ করতে পারি, মহান প্রভুর নুরানিময় কদম মোবারকে সেই প্রার্থনা জানাই।
[লেখক: ইসলামি গবেষক]

সম্পর্কিত পোস্ট