Cancel Preloader

পূণ্য বাণী

মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ্ অঙ্গীকার নিয়েছিলেন নবিদের কাছ থেকে যে, আমি তোমাদের যা কিছু দিয়েছি কিতাব ও হিকমত এবং তোমাদের নিকট যা কিছু আছে তার সত্যায়নকারীরূপে যখন একজন রাসুল [হযরত মোহাম্মদ (সা.)] আসবেন, তখন অবশ্যই তোমরা তাঁর প্রতি ইমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে। তারপর তিনি (আল্লাহ্) বললেন, তোমরা কি স্বীকার করলে এবং এ বিষয়ে আমার অঙ্গীকার কবুল করলে? তারা (নবি-রাসুলগণ) বলল, আমরা স্বীকার করলাম। তিনি বললেন, তাহলে তোমরা সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
(সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৮১)

তোমাদের নিকট এসেছে আল্লাহর তরফ থেকে এক নুর [মোহাম্মদ (সা.)] ও সুস্পষ্ট কিতাব।
(সূরা আল মায়িদাহ ৫: আয়াত ১৫)

[হে রাসুল (সা.)] আপনি বলুন, এটি আল্লাহর অনুগ্রহে ও রহমতে; সুতরাং এতে [মোহাম্মদ (সা.)-এর আগমনে] তারা আনন্দিত হউক, তারা যা কিছু জমা করে তার চেয়ে তিনি [মোহাম্মদ (সা.)] অনেক উত্তম।
(সূরা ইউনুছ ১০: আয়াত ৫৮)

হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- ‘‘হযরত আদম (আ.) যখন মাটির সাথে মিশ্রিত অবস্থায়, তখনও আমি আল্লাহর নিকট শেষ নবি হিসেবে নির্বাচিত ছিলাম।’’
(তাফসীরে ইবনে কাছীর ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৪)

আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- ‘‘আমার মা [হযরত আমিনা (আ.)] দেখেছিলেন- তাঁর মধ্য থেকে একটি নুর বের হয়ে শাম দেশের (সিরিয়ার) প্রাসাদসমূহ আলোকিত করেছে।’’
(তাফসীরে ইবনে কাছীর ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৫)

হযরত আবদুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, “একদা তিনি তাঁর ঘরে লোকদেরকে একত্রিত করে হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনের বর্ণনা করছিলেন, যা শুনে উপস্থিত সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে রাসুল (সা.)-এর প্রশংসা করছিলেন (দরূদ ও সালাম পেশ করছিলেন)। এমন সময় হযরত রাসুল (সা.) সেখানে উপস্থিত হলেন এবং (খুশি হয়ে) তাদের উদ্দেশে বললেন তোমাদেরকে সাফায়াত করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে গেছে।’’
(দুররুল মুনাজ্জাম কিতাবের সূত্রে মুক্তি কোন পথে? পৃষ্ঠা ২৬)

মহামানবগণের বাণী মোবারক
মহান আল্লাহ্ এমন কোনো নবি প্রেরণ করেননি, যার কাছ থেকে মোহাম্মদ (সা.)-এর ব্যাপারে ওয়াদা নেননি যে, তাঁর জীবদ্দশায় যদি হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রেরিত হন, তাহলে তাঁর উপর ইমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে।
-শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু


হযরত রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসার নাম ইমান, যে তাঁকে যতটুকু ভালোবাসবে, মূলত সে ততটুকু ইমানদার।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)

হযরত রাসুল (সা.)-এর জন্মদিনে আমরা যদি পরিবারের সবাইকে নিয়ে আনন্দ উদযাপন করি, তাহলে তিনি আমাদের প্রতি খুশি হবেন, এর ফলে আমরা তাঁর সাফায়াত লাভ করব।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)

আমার নিকট যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ থাকত, তাহলে আমি তা আল্লাহর নবি (সা.)-এর মিলাদ শরীফ পাঠে ব্যয় করতাম।
-হযরত হাসান বসরী (রহ.)

সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী, সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত পোস্ট