Cancel Preloader

ছবি-প্রতীকী

বোবা ছেলে বাক শক্তি ফিরে পেল

ফাহিম রহমান সানী রাজধানী ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। তার পিতা হলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ইসলামপুরের মতলব বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. আনিসুর রহমান। তাদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার জয়পুর গ্রামে।
২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে সানী সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবেই সে লেখাপড়া করছিল। কিন্তু কেন যেন সে হঠাৎ করেই কথা কম বলতে শুরু করে। প্রথমত তার পরিবারের সবাই মনে করেছিল, ছেলে বড় হচ্ছে বলেই হয়তো তার চঞ্চলতা দূর হচ্ছে। আসলে তা নয়। দেখা গেল যে, সে ধীরে ধীরে একেবারেই কথা বন্ধ করে দিয়েছে। সানী চেষ্টা করেও তখন কথা বলতে পারছিল না। কিশোর ছেলে সানীকে বোবা হয়ে যেতে দেখে তার পিতা-মাতা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন সবাই পেরেশান হয়ে উঠেন। তারা তাকে নিয়ে বিভিন্ন খ্যাতনামা চিকিৎসকের কাছে যান। ডাক্তাররা নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার কোনো রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। এভাবে ৭/৮ মাস কেটে গেল। সানীর অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে লাগলো। অবস্থা দেখে সানীর পিতা আনিসুর রহমান সাহেব ছেলের সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিরোজ আহম্মদের কাছে নিয়ে যান। তিনি তার চিকিৎসা দেন। কিন্তু তাতেও কোনো উপকার হলো না, বরং অবস্থা ক্রমশই আরো খারাপ হতে লাগলো।
অবশেষে ডা. ফিরোজ তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে সানীর চাচা ডা. মজিবুর রহমান হলেন সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের একজন আশেক মুরীদ সন্তান। তিনি তার ভাই আনিসুর রহমানকে বললেন, তোমরা আমার মহান মোর্শেদকে বিশ্বাস করে যদি সানীকে নিয়ে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে যাও, তবে আমার বিশ্বাস সে ভাল হয়ে যাবে। ছেলের অবস্থা বেগতিক দেখে আনিসুর রহমান সাহেব সাথে সাথেই রাজি হলেন।
সেদিন ছিল বুধবার। ডা. মজিবুর রহমান তার ভাইসহ ভাতিজা সানীকে নিয়ে আসেন আরামবাগের বাবে রহমতে। সেদিন মিলাদ মাহ্ফিলের অনুষ্ঠান থাকায় সেখানে বহু লোকের ভিড় ছিল। ফলে তারা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের সাথে সাক্ষাৎ করতে না পেরে ফিরে যান। আবার দু’দিন পর তারা আসেন আরামবাগে বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফে। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান বললেন, আপনারা তার সুস্থতার জন্য একটা মানত করেন। আর তাকে সাথে নিয়ে আপনাদের বাসায় মিলাদ পড়েন। এ পরামর্শ পাওয়ার পর আনিসুর রহমান সাহেব সানীকে নিয়ে বাসায় ফিরে যান। তারা একটি গরু মানত করেন। তারপর বাসায় গিয়ে ডা. মজিবুর রহমান সাহেব ও আনিসুর রহমান সাহেব তাদের পরিবারের সবার সাথে সানীকে নিয়ে বাসায় মিলাদ মাহ্ফিলে বসে ছিল। সে তো কথা বলতে পারে না। সুতরাং তার পক্ষে মিলাদ পড়া সম্ভব হচ্ছিল না। মিলাদের শেষ পর্যায়ে সবাই যখন কেয়াম করার জন্য উঠে দাঁড়িয়েছেন, তখন হঠাৎ সানীর প্রচণ্ড খিঁচুনি শুরু হয়। সে বিছানায় পড়ে গড়াগড়ি খেতে লাগলো। তার অবস্থা দেখে সবাই ভয় পেয়ে যায়। তারা আরো বেশি কান্নাকাটি করে মিলাদ পড়তে লাগলো। মিলাদ শেষ হওয়ার আগেই সানীর খিঁচুনি বন্ধ হয়ে যায়। সে উঠে বসে সবার দিকে ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল তারপর সেও মিলাদ পড়তে শুরু করে।
মিলাদ শেষ হওয়ার পর সে তার চাচাত ভাই (ডা. মুজিবর রহমান সাহেবের ছেলে) প্লাবনকে বললো, ভাইয়া তুমি আমার সাথে আসো। চল, আমরা দু’জনে মিলে খেলি। সানী স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করেছে। তাকে দেখে মনে হলো, এতদিন তার কি হয়েছিল সে যেন কিছুই জানে না। সানীকে অলৌকিকভাবে সুস্থ হতে দেখে তার পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠেন। তারা বলতে লাগলেন, এটা নিশ্চয়ই দয়াল বাবা দেওয়ানবাগীর কারামত। তিনি দয়া করে সানীকে সুস্থ করে দিয়েছেন।
পরদিন সোমবার ডাঃ মজিবুর রহমান সাহেব ও তার ভাই আনিসুর রহমান সাহেব সানীকে নিয়ে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের কাছে আসেন। তারা তাঁর কদম মোবারকে লুটিয়ে পড়ে কেঁদে কেঁদে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান তার নাম কি? কোন ক্লাসে পড়ে? ইত্যাদি জিজ্ঞেস করেন। সানী সব প্রশ্নের জবাব ভালভাবেই দেয়। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান আল্লাহ্ তায়ালার শোকরিয়া আদায় করে তাদেরকে বললেন, আপনারা ঠিকমত তরিকার আমল করবেন, তাহলে সব সময়ই আল্লাহ্র সাহায্য পাবেন। তারপর তারা বিদায় নিয়ে বাসায় চলে যান।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের দয়ার বদৌলতে সানীকে অলৌকিকভাবে সুস্থ হতে দেখে জনমনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। আসলে অলী-আল্লাহ্গণের অলৌকিক ক্ষমতার কোনো সীমা পরিসীমা নেই। তাঁরা যা করতে চান, মহান আল্লাহ্ তায়ালা তা-ই বাস্তবায়ন করে তাঁর বন্ধুদের সম্মান বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

12 Comments

  • I have been reading Atmarbani since 1990. This is a monthly magazine. After reading the Atmarbani, I find great peace of mind. The chapter of the answer to the question of quality is very good to me. To know the true truth Islam, the word of the spirit must be read. I know a lot of unknown information. To my knowledge and the greatest Islamic magazine “ATMARBANI”

  • ধন্যবাদ জানাই সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কে।

  • ধন্যবাদ সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কে।

  • alhamdulillah

  • মারহাবা ইয়া সূফী সম্রাট।।

  • আলহামদুলিল্লাহ্। এই পোষ্টের আলোচনার মধ্যে যানতে পারলাম। উনি সত্যি আল্লাহর প্রতিনিদি।

  • আলহামদুলিল্লাহ্। এই পোষ্টের আলোচনার মধ্যে যানতে পারলাম। সূফী সম্রাট হযরত শাহ্ দেওয়ানবাগী দয়াল বাবা কেবলাজান সত্যি কারের আল্লাহর প্রতিনিদি।

  • সূফী সম্রাট হুজুরের কদমে লক্ষ্য কোটি কদম বুছি জানায় ৷

    • Ameen.

  • সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী যামানার অলিদের বাদশা, তার ওসিলায় এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ।

  • মারহাবা ইয়া যুগের ইমাম সুফি সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজন।

  • মারহাবা ইয়া সূফী সম্রাট হযরত শাহ দেওয়ানবাগী মাঃ আঃ হুজুর কেবলাজন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *