Cancel Preloader

Sufi Samrat Hazrat Syed Mahbub-e-Khoda Dewanbagi (Maddazilluhul Ali) Hujur Quiblajan.

মোহাম্মদী ইসলামের উজ্জ্বল ভাস্কর সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ওফাত লাভ


ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
মোহাম্মদী ইসলামের উজ্জ্বল ভাস্কর, দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বত্বাধিকারী, মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী যুগের ইমাম বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান গত ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ খ্রি. সোমবার; ১৩ পৌষ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ; ১২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪২ হিজরি সকাল ৬টা ৪৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তাঁর কোটি কোটি ভক্ত ও মুরিদ সন্তানকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ওফাত লাভ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

তিনি তাঁর ৭১ বছরের গৌরবময় জীবনে মোহাম্মদী ইসলামকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে মহান আল্লাহর সাথে মহামিলনে চলে যান। মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান পুত্র-কন্যা, নাতি-নাতনী, আত্মীয়স্বজন-সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও দেশ-বিদেশে কোটি কোটি আশেকে রাসুল ভক্তবৃন্দ রেখে যান। এই মহামানবের আকস্মিক ওফাতে বিশ্বের কোটি কোটি আশেকে রাসুল গভীরভাবে শোকাহত।

মহান সংস্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের নামাজে জানাজা গত ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বাদ জোহর রাজধানী ঢাকার আরামবাগস্থ বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে অনুষ্ঠিত হয়। এই জানাজায় রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা এবং বহির্বিশ্ব থেকে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল মুরিদ সন্তান অংশগ্রহণ করেন। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.)। তাঁর নামাজে জানাজায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বহু আলেম ওলামা-সহ লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল এই জানাজা নামাজে অংশগ্রহণ করেন। জানাজা নামাজের পূর্বে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের একটি অছিয়তনামা পাঠ করে শোনান কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.)। অছিয়ত পাঠ শেষে নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.), মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) ও সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম ফজল-এ-খোদা (মা. আ.)। নামাজে জানাজা ও অছিয়তনামা পেশ করার পর মুনাজাত করেন মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.)।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ওফাতের পূর্বে তাঁর ৪ সাহেবজাদাকে ডেকে কিছু অছিয়ত করে যান। সেই অছিয়তনামার আলোকে সূফী সম্রাটের ৪ সাহেবজাদা লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে তাঁদের কাছে মোর্শেদের করে যাওয়া শেষ অছিয়ত উপস্থাপন করেন। এতে সকল আশেকে রাসুল মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাটের নির্দেশনা জানতে পেরে আশ্বস্ত হন এবং ৪ সাহেবজাদার সাথে সম্মিলিতভাবে দয়াল মোর্শেদ কেব্লাজানের রেখে যাওয়া মোহাম্মদী ইসলাম ব্যাপকভাবে প্রচারের জন্য ঐক্যবদ্ধ হন। অছিয়তনামায় উল্লেখ করা হয় যে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ওনার ৪ ছেলেকে দরবার শরীফের ইমাম ঘোষণা করেছেন। তবে মেজো ছেলে ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.)-এর নেতৃত্বে তাঁরা পরিচালিত হবেন। তাছাড়া তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে সকল দরবার শরীফ পরিচালনা করবেন এবং অন্য ৩ সাহেবজাদা তাঁকে সহযোগিতা করবেন।

উল্লেখ্য যে, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের দেহ মোবারকের কফিন গত ২৮ ডিসেম্বর, সোমবার বেলা ৪টার দিকে বাবে রহমতের নীচ তলায় মসজিদে ভক্তবৃন্দের দেখার উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এ সময় সারিবদ্ধভাবে আশেকে রাসুলগণ মহান মোর্শেদ দয়াল বাবাজানকে দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং অনেকে উচ্চস্বরে বিলাপ করেন। বেলা ৪টার পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অগণিত মানুষ এই মহামানবকে শেষ বারের মতো দেখে তাদের তাপিত হৃদয়কে শীতল করার সুযোগ পান। শুধু তাই নয়, দেশে বিদেশে অবস্থিত লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুলকে হুজুর কেবলাজানের ওফাতের পরের দিন গত ২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবারও মহান মোর্শেদের কফিনে রাখা চেহারা মোবারক দেখানো হয়। তখন লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল দয়াল বাবাজানকে এক নজর দেখার জন্য রাস্তায় বিশাল লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। সকালে সূফী সম্রাটের কফিন মোবারক বাবে রহমতের নীচ তলায় মসজিদে রাখা হয়। তখন থেকে জোহরের নামাজের পূর্ব পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল প্রাণপ্রিয় মোর্শেদকে শেষ বারের মতো দেখার সুযোগ পান।

বাদ জোহর তাঁর নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য আরামবাগ, ফকিরাপুল ও কমলাপুর-সহ গোটা মতিঝিল এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তাঁর নামাজে জানাজায় দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়। এরপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে আশেকে রাসুল মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদানের সময় অভূতপূর্ব দৃশ্য অবলোকন করে লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল তাদের মোর্শেদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অতঃপর তাঁর অছিয়ত অনুযায়ী মতিঝিলের বাবে মদীনা, দেওয়ানবাগ শরীফে তাঁর সহধর্মিণী হযরত সৈয়দা হামিদা বেগম (রহ.)-এর রওজার পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান ৩নং সেক্টরের প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন এবং যুদ্ধ শেষে তিনি সেনাবাহিনীর ১৬ বেঙ্গল রেজিমেন্টে রিলিজিয়াস টিচার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের জন্য সর্বমোট ১১টি দরবার শরীফ, শতাধিক খানকাহ্ শরীফ ও সহস্রাধিক আশেকে রাসুল জাকের মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। দেশ ও বিদেশে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ৩ কোটিরও বেশি ভক্ত মুরিদ সন্তান রয়েছে।

পৃথিবীর পাপী-তাপী মানুষকে উদ্ধারের জন্য মহামানবগণ তাঁদের পবিত্র দায়িত্ব সম্পন্ন করে মহান আল্লাহর সাথে মহামিলনে যান। অনুরূপভাবে ঠিক তেমনি তাসাউফ জগতের উজ্জ্বল ভাস্কর মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাঁর মহান দায়িত্ব সম্পন্ন করে দারুল বাকায় তাশরিফ গ্রহণ করেন। তাই সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের মহান দর্শন ও তাঁর আদর্শ আমরা যদি হৃদয়ে ধারণ করে তা চর্চা করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের জীবনকে সফল ও সার্থক করতে পারব। মূলত মহামানবগণ অমর। এ প্রসঙ্গে আল্লাহর রাসুল (সা.) ফরমান, “অলী-আল্লাহ্গণ অমর।” আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও এরশাদ করেন- “আল্লাহর অলীগণ মৃত্যুবরণ করবে না, বরং তাঁরা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হন মাত্র।” (তাফসীরে কাবীর ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৮১) তাঁরা জাহেরিভাবে পৃথিবী থেকে পর্দা করেন, কিন্তু ভক্ত-মুরিদ সন্তান ও তাঁর আশেকরা যখন তাঁকে স্মরণ করে তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন।
নামাজে জানাজা এবং গার্ড অব অনার প্রদানের কার্যক্রমটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুল ভক্ত মুরিদ সন্তান লাইভ প্রোগ্রামে দেখার সুযোগ পান।

সূফী সম্রাটের ওফাতে বিভিন্ন শোক বার্তা
মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে দেশ-বিদেশ থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ শোক বার্তা পাঠান। নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জনাব সিদ্দিকুর রহমান মিয়া সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ৪ সাহেবজাদা এবং পরিবারের সম্মানিত সদস্যবর্গের প্রতি একটি শোক বার্তা পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়- “আমরা দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আপনাদের পিতা মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী সাহেবের মৃত্যুতে দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ গভীরভাবে শোকাহত। আমরা পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার দরবারে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে বেহেশত নসীব করুন এবং আপনাদের পরিবারের সকলকে এই শোক সইবার শক্তি দিন।”

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ওফাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রথম মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রফেসর এবং সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর, বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক ও লেখক, প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমদ খান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি তার শোক বার্তায় বলেন, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান ওফাত লাভ করেছেন জেনে আমি খুবই শোকাহত হয়েছি। এ মহান সাধক আল্লাহর আকার প্রমাণ করে ৮ খণ্ড তাফসীর শরীফ লিখেছেন। যার নাম ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ বিশ্বের বহু দেশে এই মহান অলী-আল্লাহর মুরিদান রয়েছে। তাঁর ইন্তেকালের খবর শুনে আমি অন্তরে খুবই কষ্ট অনুভব করেছি। মহান আল্লাহ্ তাঁর আত্মায় শান্তি দান করুন। আমিন।

বুয়েটের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস এম নজরুল ইসলাম সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে এক গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি তার শোক প্রকাশে ইংরেজিতে লিখেন-

Today I have lost my guardian, tears are dried to mourn. Sudden death of Sufi Samrat Hujur is a colossal to Mohammadi Islam and to innumerable Ashek-e-Rasul. His contributions to Mohammadi Islam and Sufism will remain assets to build humanity. From myself I have lost a guardian of guidance that is irreparable.

My prayers are to Allah Sobhanllahu Ta-ala for the salvation of his soul with eternal peace. I wish Allah would bestow patience and strength to Shahebzadas and their families to bear the shock.

May Allah bless Shahebzadas long lives for enriching Mohammadi Islam.


উপমহাদেশের প্রখ্যাত দার্শনিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুরের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বলেন- দেশ একজন মহান দার্শনিক ও মহান অলী-আল্লাহ্কে হারিয়ে শোক সাগরে ভাসছে।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. আফরাউজ্জামান খান চৌধুরী গভীরভাবে শোকাহত হয়েছেন। তিনি সূফী সম্রাটকে একজন মহান অলী-আল্লাহ্ ও আশেকে রাসুল জাকেরদের একজন শ্রেষ্ঠ অভিভাবক হিসেবে উল্লেখ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ, নাইজিরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. ফিরোজ আই ফারুকী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ইন্তেকালে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন। তিনি তার শোক বার্তায় বলেন- সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান একদিকে ছিলেন একজন মোজাদ্দেদ বা সংস্কারক, অপরদিকে তিনি বর্তমান বিশ্বের অলীদের শিরোমণি। বিশ্বে তাঁর কোটি কোটি ভক্ত মুরিদান রয়েছেন। এ মহামানবের প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে বিশেষ শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক ডিআইজি জনাব তোফাজ্জল হোসেন। এক শোক বার্তায় তিনি বলেন, দেওয়ানবাগী হুজুর ছিলেন একজন মহান অলী-আল্লাহ্ ও সুফিসাধক। এছাড়া তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে। আমি এ মহান সাধকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশন থেকে প্রকাশিত প্রবোধনের সম্পাদক স্বামী স্থিরাত্মানন্দ এক শোক বার্তায় ইংরেজিতে লিখেন- May the Hon’ble Peer Shaheb ascend the abode of Eternal Bliss.

সূফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে এক শোক বার্তায় জানানো হয়, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ওফাত লাভ করায় মুন্সিগঞ্জ আশেকে রাসুলগণ গভীরভাবে শোকাহত। আমরা এই মহামানবের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

এছাড়া মহান সংস্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে বাংলাদেশের আইন, বিচার, শাসন বিভাগ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সমবেদনা জানিয়েছেন। তারা হলেন: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারপতি মোঃ আওলাদ আলি, বিচারপতি মো. আলী আসগর খান, বিচারপতি মো. আরায়েস উদ্দীন, বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ, বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মোঃ আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি রেজাউল হাসান, বিচারপতি মোঃ ফারুক (এম. ফারুক), বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সাবেক নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার ড. রাবিয়া ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আবদুল আজিজ খলিফা, জেলা ও দায়রা জজ এ. এইচ. এম. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং ‘ল’ অ্যান্ড ‘জুরিস্ট’- এর প্রধান সম্পাদক সৈয়দ মোকাদ্দাস আলী এবং ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অতিরিক্ত সচিব ড. পিয়ার মোহাম্মদ, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব জনাব মনোয়ার হোসেন আকন্দ, সাবেক যুগ্ম সচিব (তথ্য মন্ত্রণালয়) জনাব নূরুল ইসলাম প্রমুখ।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তারিক সিরাজী, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কলা অনুষধের ডিন প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান এবং ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান কবির, আল্লামা রুমী সোসাইটি বাংলাদেশের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান প্রমুখ।

তাছাড়া বিভিন্ন সংগঠন যথা আশেকে রাসুল মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ, আশেকে রাসুল ওলামা পরিষদ, আশেকে রাসুল আইনজীবী পরিষদ, আশেকে রাসুল গভর্নমেন্ট অফিসিয়ালস অর্গানাইজেশন, দেওয়ানবাগীর দল, আশেকে রাসুল সংঘ, মোহাম্মদী যুব সংঘ, বিশ্ব আশেকে রাসুল সংস্থা, আশেকে রাসুল মজলিস-সহ দেশে বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন সংগঠন এই মহামানবের ইন্তেকালে শোক বার্তা পাঠান এবং গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী যুগের ইমাম সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ইন্তেকালে বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ায় তাঁর ইন্তেকালের সংবাদটি ফলাও করে গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদটি প্রচার করা হয়। হয়।

গত ১ জানুয়ারি, ২০২১ খ্রি. শুক্রবার, বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ফাতেহাখানি উপলক্ষ্যে বিশেষ আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত আঞ্চলিক দরবার শরীফ, খানকাহ্ শরীফ ও আশেকে রাসুল মজলিসগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সকল আশেকে রাসুল সংযুক্ত হন। এছাড়া দেশ-বিদেশে অবস্থানরত আশেকে রাসুল ভাই ও বোনেরা নিজ নিজ বাসায় পরিবারের সকলকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছেন।


ওফাত স্মরণে ঢাকার বাবে রহমত, কেন্দ্রীয় দরবার শরীফে ফাতেহাখানি উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আশেকে রাসুল (সা.) মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর, সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম ফজল-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর, জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.) হুজুর এবং মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর বক্তব্য প্রদান করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।


সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ৪ জন সম্মানিত সাহেবজাদাই তাঁদের বক্তব্যে সূফী সম্রাটের রেখে যাওয়া কোটি কোটি মুরিদ সন্তানকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। ইমামগণ প্রত্যেকেই আশেকে রাসুল জাকেরদের কোনো রকম ফেৎনায় না জড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোহাম্মদী ইসলামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের ফাতেহাখানির এই বরকতপূর্ণ অনুষ্ঠানটি দেশ ও বিদেশের অসংখ্য আশেকে রাসুল ভক্তগণ দেখার সুযোগ পান।
অনুষ্ঠানে পর্যায়ক্রমে সম্মানিত ৪ সাহেবজাদা হুজুর তাঁদের নিকট করে যাওয়া দয়াল বাবাজানের অছিয়তের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা স্পষ্ট করেই বলেছেন, সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের সারা জীবনের পরিশ্রমের ফসল ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ প্রচারে তাঁরা ৪ ভাই ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। তাঁরা আরো বলেছেন- মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে তাঁরা ৩ ভাই সহযোগিতা করবেন। সম্মানিত সেজো সাহেবজাদা হুজুর আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর ডান হাতের ৫টি আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছেন- হাতের এই ৪টি আঙ্গুল আমরা ৪ ভাই এবং পঞ্চম আঙ্গুলটি হলেন আপনারা অর্থাৎ আশেকে রাসুল ভক্তগণ। এই ৫টি আঙ্গুল মিলিয়ে হাতের একটি শক্ত মুষ্ঠি। সুতরাং আমরা ৪ ভাই এবং আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে কোনো শক্তিই মোহাম্মদী ইসলামের অগ্রযাত্রাকে বন্ধ করতে পারবে না।


সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের ফাতেহাখানি অনুষ্ঠানটি ঢাকার ‘বাবে রহমত’ কেন্দ্রিয় দরবার-সহ ১১টি দরবার শরীফ এবং সকল খানকাহ ও জাকের মজলিসে পালন করা হয়। এছাড়া দেশ বিদেশের আশেকে রাসুল জাকেরবৃন্দ তাদের নিজ নিজ বাসা ও বাড়িতে পালন করেন। ফাতেহাখানি উপলক্ষ্যে সম্মানিত ৪ সাহেবজাদা যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, তা সকল আশেকে রাসুল ভক্তবৃন্দ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য শুনেছেন। সম্মানিত সাহেবজাদা হুজুরগণের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য শুনে আশেকে রাসুল জাকেরদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের রেখে যাওয়া মোহাম্মদী ইসলাম তাঁর যোগ্য সাহেবজাদাগণের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে ব্যাপক প্রচার ও প্রসার লাভ করবে ইনশাল্লাহ্। আমাদের প্রাণপ্রিয় মোর্শেদ সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী দয়াল বাবা কেব্লাজান মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে সারাটি জীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি ৪ সাহেবজাদা তা সুষ্ঠুভাবে প্রচারের জন্য একযোগে কাজ করে যাবেন। তাঁদের কাছ থেকে এ ঘোষণা শুনে আশেকে রাসুল জাকেরগণের হৃদয় প্রশমিত হয়েছে। তাদের মনে এমন আশা জেগেছে যে, দয়াল বাবাজান জাহেরিভাবে আমাদের মাঝে নেই বটে, কিন্তু সাহেবজাদা হুজুরগণের মাধ্যমে আমাদের মাঝে তিনি চিরদিন থাকবেন এবং তাঁর আদর্শ বেঁচে থাকবে।


সূফী সম্রাটের ফাতেহাখানি উপলক্ষ্যে সম্মানিত সাহেবজাদা হুজুরগণের বক্তব্য থেকে মেজো হুজুরের সেই স্লোগান ‘সবার উপরে মোর্শেদ সত্য, তাঁহার উপরে নাই’-এর প্রতিফলন ঘটে। দয়াল বাবাজানের ৪ জন সাহেজাদাই দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছেন যে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীই কিয়ামত পর্যন্ত আমাদের মোর্শেদ থাকবেন। কেননা, এই দরবারে কেউ পির হবে না। ৪ সাহেবজাদাই ‘ইমাম’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। আর সকল আশেকে রাসুল ভক্তগণ ‘দেওয়ানবাগীর দল’-এর সদস্য বলে গণ্য হবেন।


উল্লেখ্য যে, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী দয়াল বাবাজানের ৪ জন সাহেবজাদাই ‘হিসেবে’ মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের কাজ করবেন। সূফী সম্রাটের ওফাতের পরে ফাতেহাখানির অনুষ্ঠানে সম্মানিত ৪ জন সাহেবজাদা হুজুরের বক্তব্যেই তার প্রতিফলন ঘটেছে। ইনশাল্লাহ দুনিয়ার কোনো শক্তিই আজ আর মোহাম্মদী ইসলামের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না।


সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের ফাতেহাখানি অনুষ্ঠানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন যথাক্রমে কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর, সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম ফজল-এ-খোদা (মা. আ.) হুজুর এবং জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ এফ এম নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.) হুজুর।

মেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর সর্বশেষে বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্য এবং আখেরি মোনাজাত ছিল অত্যন্ত আবেগপূর্ণ। তাছাড়া মোনাজাতের সময় দয়াল বাবাজানের খালি কুরসি মোবারক দেখতে পেয়ে আশেকে রাসুল জাকেরবৃন্দ ভীষণ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের বুকফাটা কান্নার ধ্বনি মহান মোর্শেদ দয়াল বাবাজান নিশ্চয়ই শুনতে পেয়েছেন। আশা করি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আশেকে রাসুলের সেই কান্না বৃথা যেতে দেবেন না।


পরিশেষে চিরন্তন সত্য সেই বাণী আবারও উচ্চারণ করছি- ‘সবার উপরে মোর্শেদ সত্য তাহার উপরে নাই’। আর কিয়ামত পর্যন্ত মোহাম্মদী ইসলামের মোর্শেদ থাকবেন- সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান।
আর আশেকে রাসুল ভক্তবৃন্দের করণীয় সম্পর্কিত দিক নির্দেশনার জন্য সম্মানিত ৪ ইমামের সম্মিলিত সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সেই মোতাবেক পরিচালিত হতে পারলেই সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের প্রচারিত মোহাম্মদী ইসলাম ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
[লেখক: সাংবাদিক ও গবেষক]

সম্পর্কিত পোস্ট