Cancel Preloader

সূফী সম্রাট হযরত মাহবুব-এ-খোদা (মাঃ আঃ) হুজুর কেবলাজান।

যাঁকে পেয়ে ধন্য জীবন


অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া
(পর্ব-১৫)

পূর্ব প্রকাশিতের পর
রংপুরের পীরগাছার মাহ্ফিল ছিল লোকে লোকারণ্য
বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুয়ত লাভের পর মহান আল্লাহর নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে মক্কার কুরাইশদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন। তাছাড়া অনেক মজলিসেও হযরত রাসুল (সা.) সাহাবায়ে কেরামের সাথে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। প্রতি শুক্রবার হযরত রাসুল (সা.) মসজিদে নববিতে জুমার পূর্বে সাহাবিদের করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দিতেন। রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর এই বক্তব্য বা ভাষণকেই আরবিতে ‘খুৎবা’ বলা হয়। আজও জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদে খুৎবা দেওয়ার বিধান চালু আছে। যুগে যুগে অলী-আল্লাহ্গণও মানুষকে ধর্ম সম্পর্কে দাওয়াত দেওয়ার জন্য ওয়াজ নসিহত তথা খুৎবা প্রদান করতেন।


আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান তাঁর মোর্শেদের দরবারে যাওয়ার পর থেকেই ওয়াজ মাহ্ফিল করে মানুষকে ইসলামের প্রকৃত বিধিবিধান শিক্ষা দিতেন। বিশেষ করে রংপুরে তিনি অনেক ওয়াজ মাহ্ফিল করেছেন। তাঁর মধুর কণ্ঠে ফায়েজপূর্ণ বক্তব্য শুনে মানুষ তন্ময় হয়ে যেত। রংপুরে এমন আশ্চর্য ঘটনাও ঘটেছে যে, সূফী সম্রাটের মাহ্ফিলের স্থানের সন্নিকটে একটি যাত্রাগানের আসর বসেছিল। সূফী সম্রাটের মধুমাখা কণ্ঠে ওয়াজ শুনে যাত্রাগানের প্যান্ডেল হতে মানুষ টিকেট পকেটে নিয়ে ওয়াজ মাহ্ফিলে এসেছেন এবং দলে দলে তরিকা গ্রহণ করেছেন।


১৯৮৪ সালের ১৪ জানুয়ারি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান যখন রংপুর সফরে গিয়েছিলেন, সেসময় পীরগাছা স্কুল ময়দানে এক বিশাল মাহ্ফিলের আয়োজন করা হয়। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান মাহ্ফিলে তাশরিফ নিবেন, একথা শুনে সর্বত্রই যেন লোকজনের মধ্যে এক নব জাগরণ সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য যে, রংপুরের মানুষ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। কারণ, তারা তাঁর মধুর কণ্ঠের বরকতপূর্ণ ওয়াজ এর আগে আরো অনেক শুনেছেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাঁর মোর্শেদের এজাজতে বৃহত্তর রংপুরে তরিকা প্রচারের উদ্দেশ্যে বহুবার সফর করেছেন। রংপুরের যেখানেই হুজুর কেবলাজান যেতেন, সেখানেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যেত। পীরগাছার অবস্থাও তদ্রুপ। সন্ধ্যা নেমে আসার সাথে সাথে মাঠের কোথাও আর তিল ধারণের ঠাঁই নেই। যুবক ছেলেরা সাইকেল মিছিল করে মাহ্ফিলে উপস্থিত হয়েছেন। বাদ আছর থেকে ওয়াজ মাহ্ফিল চলছিল। আলেম ওলামাদের ওয়াজ শেষ হলে রাত ৮টার দিকে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান মঞ্চে তাশরিফ গ্রহণ করেন। তাঁর আগমনের সাথে সাথে স্লোগানে সারা এলাকার মানুষ যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের সুমধুর কণ্ঠের ওয়াজ শুনে মানুষ একেবারে তন্ময় হয়ে পড়েন। তিনি যখন ওয়াজ শেষে তরিকা প্রদান করেন, তখন আমি মানুষদেরকে তরিকা নেওয়ার জন্য মাইকে আহ্বান জানাতে থাকি। এসময় হাজার হাজার মানুষের এত বেশি ভিড় হয়ে যায় যে, তিনি তরিকা দিতে একেবারেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। তখন উপস্থিত দুজন আলেমকে তিনি তরিকা দেওয়ার নির্দেশ দিলে তারাও তরিকা প্রদান করেন। প্রচণ্ড শীতে গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহ্ফিলের কার্যক্রম চলতে থাকে। তারপরেও উপস্থিত জনতার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল যে, তারা যেন সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজানকে ছেড়ে যেতে রাজি নন। আসলে রংপুরের পীরগাছার সেই মাহ্ফিলের কথা জীবনে কখনো ভোলা যায় না।

বিশাল গাড়িবহর-সহ সূফী সম্রাটের উত্তরবঙ্গ সফর
মহান আল্লাহর বন্ধু অলী-আল্লাহ্গণ মহান রাব্বুল আলামিন ও হযরত রাসুল (সা.)-এর ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা, এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করেছেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের জীবনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনিও ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সফর করেছেন।
১৯৯৭ সালের ঘটনা। রংপুরসহ গোটা উত্তরবঙ্গে সূফী সম্রাটের লক্ষ লক্ষ ভক্ত। তাদের অনুরোধে দেওয়ানবাগ শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আল্লাহর মহান বন্ধু জগৎশ্রেষ্ঠ তাসাউফ বিজ্ঞানী, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান বৃহত্তর রংপুরসহ উত্তরবঙ্গ সফরের সিদ্ধান্ত নিলেন। তারিখটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গোটা উত্তরবঙ্গে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাশরিফ গ্রহণ করবেন, এতে রংপুরের আশেকগণের চোখে যেন আর ঘুম নেই। আস্তে আস্তে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ চলে আসে। এদিকে ঢাকার বাবে রহমত মতিঝিল থেকে আগেই হুজুর কেবলাজানের সাথে গাড়ির এক বিশাল বহরের প্রস্তুতি চলতে থাকে। সেসময় পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে যাওয়ার জন্য যমুনা নদীতে বঙ্গবন্ধু সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। সুতরাং ঢাকা থেকে আরিচা-নগরবাড়ি হয়ে পাবনা ও বগুড়ার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গে তথা রংপুরে যেতে হতো।


এদিকে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের উত্তরবঙ্গ সফর উপলক্ষ্যে আরিচার একটি বড়ো ফেরি রিজার্ভ রাখা হলো। প্রায় ২ শতাধিক গাড়ি নিয়ে ভোর ৭টায় ঢাকার মতিঝিলস্থ বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফ থেকে সূফী সম্রাটের গাড়ির বিশাল বহর রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। পথে গাবতলী, সাভার, নবীনগর ও মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য আশেকে রাসুল আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুনসহ অভিবাদন জানান। সকাল প্রায় ১০টায় গাড়ির বহর আরিচা ঘাটে এসে পৌঁছে। পূর্ব থেকেই ফেরি রিজার্ভ ছিল, তাই সূফী সম্রাটের গাড়ীসহ বহু সংখ্যক গাড়ি ঐ ফেরিতে উঠার পরে দেখা যায় বহুসংখ্যক গাড়ি ফেরি ঘাটে এসে জমা হয়েছে। বিষয়টি বিআইডব্লিউটিসি-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলে, তিনি ঘাটে থাকা আরো অতিরিক্ত ফেরির বন্দোবস্ত করেন। এদিকে আরিচাঘাট ছাড়ার পরে নগরবাড়ী পৌঁছানোর পূর্বেই মাঝ নদীতে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান উপরে কেবিনে বসেই আমাকে লক্ষ্য করে বললেন- এ মিয়া! আজ শুক্রবার, জুমার নামাজ পড়বেন না? আমি বললাম, বাবা! আমরাতো সফরে যাচ্ছি। আমাদের কি জুমার নামাজ পড়তে হবে? উত্তরে সূফী সম্রাট বললেন- আমরাতো ফেরি জাহাজে আরামেই আছি এবং সব লোকজনও আছে। সুতরাং জুমার নামাজ পড়া দরকার। নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাই। নামাজ শেষ হওয়ার পরেই তাকিয়ে দেখি আমাদের ফেরির নগরবাড়ী ঘাটে এসে পৌঁছে গেছে। সেখানে বহু আশেকান-জাকেরান আপন মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে বরণ করার জন্য মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে ‘সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী- জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস মুখরিত করে তোলে। বগুড়ায় সূফী সম্রাটের জন্য মধাহ্ন ভোজের আয়োজন করা হয়। পাবনা থেকে বগুড়া পর্যন্ত অনেক জায়গায় তাঁকে গাড়ি থেকে নেমে সমবেত জনগণের উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে হয়েছে। বগুড়া এলজিইডি-এর রেস্ট হাউজে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান পৌঁছলে সেখানে বহু মানুষ তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করেন।


উল্লেখ্য, এলজিইডি’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার জনাব আতাউল্লাহ ভূঁইয়া সূফী সম্রাটের জন্য রেস্ট হাউজের ব্যবস্থা ও খাবারের আয়োজন করেছিলেন। মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করে তিনি রংপুরের উদ্দেশে রওয়ানা করেন। বগুড়া শহরের অদূরে সাতমাথা হয়ে পলাশবাড়ী এবং রংপুর ও পীরগাছার পথে বেশ কয়েকটি স্থানে প্রচুর লোক জমায়েত হলে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান ঐ স্থানগুলোতে নেমে মঞ্চে ওঠেন এবং বক্তব্য প্রদান করেন। এভাবে আস্তে আস্তে সন্ধ্যা নেমে এলো। এদিকে পীরগাছা সাতদরগাস্থ ‘বাবে নাজাত’ দেওয়ানবাগ শরীফে আমাদের গাড়ী বহর এসে পৌঁছায়। সেখানকার মানুষ সূফী সম্রাটকে এতটাই শ্রদ্ধা করতেন যে, তারা সারারাতব্যাপী সূফী সম্রাট এবং তাঁর সাথে সফরসঙ্গী হিসেবে যারা গিয়েছেন, তাদের খাওয়া দাওয়া ও তদারকির কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এই সফরে সূফী সম্রাটকে যারা স্বাগত জানিয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন- বগুড়ার আশেকে রাসুল আলমগীর হোসেন, পলাশ বাড়ীর আশেকে রাসুল খোশ মোহাম্মদ, গাইবান্ধার আশেকে রাসুল শহিদুল ইসলাম এবং পীরগাছা এলাকার আশেকে রাসুল আনিসুর রহমান চৌধুরী, আশেকে রাসুল আবদুর রাজ্জাক খন্দকার, আশেকে রাসুল সানোয়ার হোসেন, আশেকে রাসুল মোফাখ্খারুল ইসলাম লাবলু ও আশেকে রাসুল আমিনুর রসুলসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এর পরের দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় আঞ্চলিক আশেকে রাসূল (সা.) সম্মেলন। গোটা উত্তরবঙ্গের অর্থাৎ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলা থেকে অগণিত মানুষ সম্মেলনে যোগদান করেন।
অনুষ্ঠানে বাদ জুমা সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান বক্তব্য পেশ করেন। তাঁর মহা মূল্যবান অমীয় বাণী মোবারক শুনে অগণিত মানুষ তরিকা গ্রহণ করে। সেই সম্মেলনে আগত মানুষ আজও সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের কথা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে থাকেন।

যমুনা ব্রীজ দিয়ে রংপুর যাত্রা
মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শ এবং স্বীয় মোর্শেদের তরিকা প্রচারের লক্ষ্যে সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজান গোটা উত্তরবঙ্গসহ দেশের প্রায় সকল জেলায়ই সফর করেছেন। ১৯৯৯ সালের কথা। রংপুরের পীরগাছায় যাওয়ার জন্য সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কারণ পীরগাছায় আঞ্চলিক আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সিদ্ধান্ত হয় নতুন নির্মিত হওয়া যমুনা সেতুর উপর দিয়ে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান রংপুর সফরে যাবেন। রংপুর যাওয়ার জন্য গাড়ির বহর প্রস্তুত হতে লাগলো। দেখতে দেখতে বহরের গাড়ির সংখ্যা দাঁড়ালো প্রায় সাড়ে তিনশত।
সকাল ৬.৩০ মিনিটে ঢাকার বাবে রহমত দেওয়ানবাগ শরীফের সামনের রাস্তা থেকে সূফী সম্রাটের গাড়ির বহর যাত্রা শুরু করে। বহরটি গাবতলী এলাকা পাড় হয়ে আমিন বাজারে পৌঁছলে সেখানে সমবেত জাকেরবৃন্দ আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানকে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে এবং মোহাম্মদী ইসলামের পতাকা নেড়ে স্বাগত জানায়। এর পরে সাভার ও এলেঙ্গার মোড়েও সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে বিশাল জনতা স্বাগত জানান এবং সূফী সম্রাটের উদ্দেশে স্লোগান দিয়ে আকাশ, বাতাস মুখরিত করে তোলেন। এভাবে গাড়ির বহর আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকে। বেলা ১১টায় সূফী সম্রাটের গাড়ির বিশাল বহর যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর নিকট এসে পৌঁছায়। এত বিশাল গাড়ির বহর উত্তরবঙ্গে কখনো সফর করেনি। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান ব্রীজের উপর নেমে হাঁটতে থাকেন। বহু মানুষ গাড়ি থেকে ব্রীজের উপর নেমে সূফী সম্রাটের সাথে হাঁটতে থাকেন। সেখান থেকে পুনরায় গাড়ির বহর বগুড়ায় এসে থামে। সেখানকার এক অভিজাত হোটেলে সূফী সম্রাটের দুপুরের খাওয়া ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। উক্ত গাড়িসহ বহরের প্রায় দুই হাজার লোকেরও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বগুড়া থেকে সাত মাথায় এবং পরবর্তীতে পলাশবাড়ী ও রংপুর হয়ে রাতে আমরা পীরগাছায় বাবে নাজাত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফে এসে পৌঁছি। সব জায়গায়ই তোরণ নির্মাণ করে অগণিত মানুষ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে গণসংবর্ধনা জানান।


সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান এবং তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ আমরা বাবে নাজাত দরবার শরীফে এসে পৌঁছি। পীরগাছায় পৌঁছে দেখতে পেলাম, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের আগমনের ফলে ঐ স্থানটি যেন লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে। অনুষ্ঠান শুরু হলে দরবার শরীফের আলেম ও বিজ্ঞজন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। বাদ জুমা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মঞ্চে তাশরিফ নেন। তাঁকে দেখে মানুষের হৃদয়ে প্রেমের জোয়ার বইতে থাকে। পীরগাছায় অবস্থিত বাবে নাজাত দেওয়ানবাগ শরীফে অগণিত মানুষের আগমন ঘটে। তারা আল্লাহর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুরকে আকাশ বাতাস মুখরিত করে স্লোগান দিয়ে সংবর্ধনা জানান। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাঁর মহামূল্যবান বাণী মোবারক প্রদান করে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। পরের দিন পুনরায় তিনি গাড়ির বহর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করেন।
[লেখক: সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল, জাতীয় আইন কলেজ, ঢাকা]

সম্পর্কিত পোস্ট