Cancel Preloader

সূফী সম্রাটের অন্যতম শিক্ষা হাকিকতে রোজা পালন


মুহাম্মদ জহিরুল আলম

মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন মানুষকে সত্যের সন্ধান দেওয়ার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল এবং মহামানব প্রেরণ করেছেন। তাঁদের অনুসরণ করাই ছিল সমকালীন যুগের মানুষের ধর্ম। ধর্মের বিধানসমূহ তাঁদের কাছ থেকেই আমাদের কাছে এসেছে। হযরত আদম (আ.) হতে ধর্মের শুরু। সকল মহামানব আত্মশুদ্ধির শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমকালীন যুগের মানুষকে চরিত্রবান করে পরম স্রষ্টার সান্নিধ্যে নিয়ে গিয়েছেন। এমনিভাবে দয়াল রাসুল (সা.) আমাদের জন্য মোহাম্মদী ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা- ১। কালেমা ২। নামাজ কায়েম করা, ৩। রমজান মাসে রোজা রাখা, ৪। জাকাত প্রদান করা ও ৫। বাইতুল্লায় হজ করা। এই পাঁচটি স্তম্ভের মাঝে তৃতীয় এবং অন্যতম একটি স্তম্ভ রোজা, যা আমাদের আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দিয়ে থাকে।


রোজা রাখার বিধান সর্বযুগে ছিল। হযরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে সর্বশেষ রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সকল নবি-রাসুলের যুগেই রোজার বিধান ছিল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ বলেন- “হে মুমিনগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা মোত্তাকি হতে পারো।” (সূরা বাকারাহ ২: আয়াত ১৮৩) হযরত দাউদ (আ.)-এর রোজা আল্লাহ্র নিকট অধিক প্রিয়। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং পরবর্তী দিন রোজা রাখতেন না। (সুনানে ইবনে মাজাহ্, পৃষ্ঠা ১২৩) হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, নূহ (আ.) ঈদুল ফিতরের দিন ও ঈদুল আজহার দিন ব্যতীত সারা বছর সিয়াম পালন করতেন। (ইবনে মাজাহ্, পৃষ্ঠা ১২৩) অর্থাৎ প্রত্যেক মহামানব রোজার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এমনকি বিশ্বের প্রতিটি ধর্মে আত্মশুদ্ধির জন্য রোজাকে গ্রহণ করেছে। তাই রোজা যেমন গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তেমনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হাকিকতে রোজা পালন, তা না হলে এ উপবাস মূল্যহীন।
‘রোজা’ শব্দটি ফারসি। আরবিতে এ শব্দটিকে ‘সাওম’ বলা হয়। ‘সাওম’ শব্দের আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা, পানাহার পরিহার, উপবাস। রোজার পারিভাষিক সংজ্ঞা হলো- সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার, কামাচার ও পাপাচার হতে বিরত থেকে অন্তরে আল্লাহ্র স্মরণে নিমগ্ন থাকা। রোজা আত্মশুদ্ধি আনয়ন করে, আত্মাশুদ্ধ না হলে কোনো ইবাদতই শুদ্ধভাবে পালন করা যায় না। কেননা নফ্স বা জীবাত্মা কু-রিপুমুক্ত না হলে আল্লাহ্র প্রতি পূর্ণ আনুগত্য হবে না। রোজা মানুষের কুরিপুসমূহকে সংযমী করে শুদ্ধভাবে ইবাদতের পথ সৃষ্টি করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষ নিজের জীবপ্রবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ করে হৃদয়ে আল্লাহ্কে লাভ করতে সক্ষম হয়। রিপুর তাড়নায় আল্লাহর সাথে বান্দার যে দূরত্ব তৈরি হয়, রোজা তা লাঘব করে। হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন (মহান আল্লাহ্ বলেন)- “রোজা আমার জন্য এবং এর প্রতিদান আমি নিজেই।” (বোখারী শরীফ ১ম খণ্ড: পৃষ্ঠা ২৫৪)


প্রসঙ্গ হলো হাকিকতে রোজা পালন। শুধু উদয়-অস্ত ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকলেই রোজা হয় না, প্রয়োজন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশিত পথে রোজা পালনের মাধ্যমে অন্তরের পাপ কালিমা দূর করে হৃদয়ের মাঝে বিরাজমান আল্লাহ্র সুপ্ত নুর বিকশিত করা এবং আল্লাহ্র চরিত্রে নিজেকে চরিত্রবান করা। হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ্ ফরমান, “যার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আমার নিষিদ্ধকৃত বিষয়সমূহ থেকে বিরত না থাকে, আমার নামে তার পানাহার ত্যাগ করার কোনো দরকার নেই।” এ জন্যই বছরের পর বছর রোজা পালন করেও আমাদের আত্মিক কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যায় না।
দয়াল রাসুল (সা.)-এর আগমনের প্রায় ১৪০০ বছর পর জগতের বুকে আগমন করেন বেলায়েতের যুগের শ্রেষ্ঠ ইমাম, মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েত লাভকারী, সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)। তিনি ধর্মে প্রবিষ্ট কুসংস্কারগুলো মানবজাতির নিকট উপস্থাপন করে এর যথার্থ ব্যখ্যা প্রদান করেছেন। সূফী সম্রাট হাকিকতে রোজা পালনের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত রোজা ব্যখ্যা করলে দেখা যায়, রোজাদার তিন শ্রেণিতে বিভক্ত। যথা- (১) সাধারণ শ্রেণির রোজাদার, (২) মধ্যম শ্রেণির রোজাদার (৩) উচ্চ শ্রেণির রোজাদার।
সাধারণ শ্রেণির রোজাদার: যে ব্যক্তি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত শুধুমাত্র পানাহার ও কামাচার হতে বিরত থেকে রোজা পালন করেন, তাকে সাধারণ শ্রেণির রোজাদার বলে।


মধ্যম শ্রেণির রোজাদার: যে ব্যক্তি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, কামাচার ও পাপাচার হতে বিরত থেকে রোজা পালন করেন, তাকে মধ্যম শ্রেণির রোজাদার বলে।
উচ্চ শ্রেণির রোজাদার: যে ব্যক্তি সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, কামাচার, পাপাচার ও পাপের কল্পনা হতে বিরত থেকে সর্বক্ষণ ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির বা স্মরণে নিমগ্ন থেকে রোজা পালন করেন, তাকে উচ্চ শ্রেণির রোজাদার। মূলত হাকিকতে রোজা পালনের জন্য আওলিয়ায়ে কেরামের সহবত লাভ এবং ক্বালবে আল্লাহ্র জ্বিকির জারি করা প্রয়োজন।
মহান আল্লাহ্ ১৩ রমজান হযরত মূসা (আ.)-এর প্রতি তাওরাত কিতাব; ১৭ রমজান হযরত দাউদ (আ.)-এর প্রতি জাবুর কিতাব; ২১ রমজান হযরত ঈসা (আ.)-এর প্রতি ইন্জিল কিতাব নাজিল করেছেন; রমজান মাসের পূণ্যময় ও সম্মানিত কদরের রজনিতে আমাদের জন্য পবিত্র কুরআন নাজিল হয়। হযরত রাসুল (সা.) সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরাগুহায় ধ্যান সাধনার মাধ্যমে সর্বপ্রথম আল্লাহ্র বাণী লাভ করেছিলেন পবিত্র কদরের রজনিতে। তাই মহান আল্লাহ্র কাছে রমজান মাসের গুরুত্ব অত্যাধিক। এই মাসে কুরিপুসমূহ রোজার বিধানে বন্দি রাখা হয়। রোজা পালনের মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি লাভ করে মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভে সক্ষম হয়।
সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান বলেন, রোজাকে শুদ্ধভাবে পালনের জন্যে অলী-আল্লাহ্গণের সান্নিধ্য লাভ করা প্রয়োজন, অলী-আল্লাহ্গণের ফায়েজের শক্তি লাভের মাধ্যমে আত্মা শুদ্ধ ও সংযমী হয়ে হাকিকতে রোজা পালনে সক্ষম করে তোলে। তিনি বলেন, একটি পশুকে যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছের সাথে বেঁধে উপবাস রাখা হয় এবং সন্ধ্যায় তাকে খাবার দেওয়া হয়, তাহলে পশুর এই উপবাসকে যেমন রোজা বলা যায় না, তেমনি শুধুমাত্র পানাহার ও কামাচার পরিত্যাগ করা একজন মানুষের রোজা পালনের উদ্দেশ্য নয়; যিনি নিজের জীব প্রবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ করে হৃদয়ে আল্লাহ্কে সমাসীন করতে সক্ষম হয়েছেন তিনিই হাকিকতে রোজা পালনের মাধ্যমে সফলকাম হয়েছেন। রোজা আমিত্ব দূর করে আল্লাহ্র চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার শিক্ষা দেয়। একমাস প্রশিক্ষণ শেষে পূর্বের দোষ-ত্রুটি যদি পুনরায় প্রকাশ পায় তবে রোজার মৌলিক উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়। তাই সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হাকিকতে রোজা পালনের উপর গুরুত্ব দেন। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণ করলে মানুষ আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে রিপু দমন করতে সক্ষম হয়, আত্মার কলুষতা দূর করে শুদ্ধভাবে ইবাদত করার যোগ্যতা অর্জন করে এবং পরিশুদ্ধ হৃদয়ে আল্লাহ্র প্রেম ও নৈকট্য লাভ হয়। আর তাই হলো হাকিকতে রমজান। মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) সাহ্রি ও ইফতারের বিজ্ঞানভিত্তিক সময়সূচি প্রবর্তন করেন এবং তা ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে গৃহীত হয়। মূল লক্ষ্য হলো হাকিকতে রোজা পালনের সুযোগ করে দেওয়া। তাঁর শিক্ষানুসারে সর্বক্ষণ ক্বালবে আল্লাহর জ্বিকির জারি রেখে, মহামানবের ফায়েজে নিজের জীব প্রবৃত্তিকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহ্র পরিচয় লাভ করে, নিজেকে আল্লাহ্র নিকট পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে হাকিকতে রোজা পালন করতে হয়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন, “অবশ্যই সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে নিজেকে পরিশুদ্ধ করেছে। অবশ্যই ব্যর্থ হয়েছে সে, যে নিজেকে পাপাচারে কলুষিত করেছে।” (সূরা শামস ৯১: আয়াত ৯ ও ১০)। সর্বাবস্থায় ক্বালবে জিকির জারি রাখতে পারলেই মানুষ পাপ পঙ্কিলতা থেকে দূরে থাকতে পারে। এ জন্য তিনি ক্বালবে আল্লাহ্ শব্দের নুর বপন করে ক্বালব জিন্দা করার শিক্ষা চালু করেন। তাই সমকালীন যুগের মহামানবের সান্নিধ্যে থেকেই এ শিক্ষা আমাদের অর্জন করতে হবে। হযরত রাসুল (সা.) ফরমান, “যে ব্যক্তি তার জামানার ইমামকে (আধ্যাত্মিক নেতা) চিনতে পারলো না, আর এ অবস্থায় যদি তার মৃত্যু ঘটে তবে তার মৃত্যু জাহেলি অবস্থায় অর্থাৎ সে ইমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করবে।” (মুসনাদে আহমদ, ১৩নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৮) মূল কারণ হলো মহামানবের কাছে না গিয়ে মানুষের পক্ষে ইমানের নুর হৃদয়ে ধারণ করা সম্ভব নয়। আর আত্মশুদ্ধি না হওয়ায় সে রোজার হাকিকত হতে অনেক দূরেই থাকবে।


রোজার হাকিকত হলো আত্মশুদ্ধি, যা মহামানবের সহবতে থেকে বাস্তবতা উপলব্ধি করা সহজ হয়। তাই মহামানবের সান্নিধ্যে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজান বলেন, “চরিত্রবান হওয়ার জন্য আত্মার চিকিৎসক অলী-আল্লাহ্গণের সহবতে গিয়ে তাঁদের কাছ থেকে আধ্যাত্মিক শিক্ষা অর্জন করত ফায়েজ হাসিলের মাধ্যমে নিজের ভিতরের ষড়রিপুকে পরিশুদ্ধ করে আত্মশুদ্ধি লাভ করতে হয়।” (মোর্শেদের দরবারে মুরীদের করণীয়, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৮৯)।
সূফী সম্রাট তাঁর ৭১ বছরের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে ধর্মকে অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে আমাদের নিকট উপস্থাপন করে তা পালনের যথাযথ পদ্ধতিও শিক্ষা দিয়েছেন। তার মাঝে অন্যতম হলো হাকিকতে রোজা পালন। বছর ঘুরে আবারও আমাদের মাঝে মাহে রমজান এসেছে, পূর্বেও এসেছিল দয়াময় আল্লাহ্ হায়াত দিলে আবারও আসতে পারে। প্রতিবারই আমরা রোজা রেখেছি, আবারও রাখব, কিন্তু যদি হাকিকতে রোজা পালন না হয়, তাহলে আমরা কখনোই রোজার প্রকৃত রহমত, বরকত ও মাগফেরাত লাভ করতে সক্ষম হবো না। আমরা যদি সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও চরিত্র অনুসরণ ও হৃদয়ে ধারণ করতে পারি, তবে ইসলাম যে শান্তির ধর্ম তা বাস্তব জীবনে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবো। এ মহামানব ২৮শে ডিসেম্বর ২০২০ইং, সোমবার ওফাত লাভ করেন। সঠিকভাবে মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার জন্য ২৭শে ডিসেম্বর ২০২০ইং, রবিবার উপস্থিত ৪ পুত্র, ২ কন্যা, তাঁর স্ত্রী, দুই পুত্রবধু ও খাদেমদের সম্মুখে কতিপয় নির্দেশনামূলক অছিয়ত প্রদান করেন। তিনি অছিয়তে স্পষ্ট ঘোষণা দেন, “আমি মেজো হুজুরকে (ইমাম ড. আরসাম কুদরত এ খোদা) মোহাম্মদী ইসলাম পরিচালনার নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। আর তোমরা ৩ ভাই ও ২ বোন তাঁকে সহযোগিতা করবে।” মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী মহামানব, পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর কেব্লা অত্যন্ত দক্ষতা ও বলিষ্ঠতার সাথে মহান মোর্শেদের শিক্ষা ও আদর্শ বিশ্বময় প্রচার করে যাচ্ছেন।
[লেখক: পিএইচ.ডি গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]

সম্পর্কিত পোস্ট