পূণ্যবাণী
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
তিনি পবিত্র মহিমাময়, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতের বেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চতুষ্পার্শ্বকে আমি বরকতময় করেছি যাতে আমি তাকে দেখাই আমার নিদর্শন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন। (সূরা বনী ইসরাইল ১৭: আয়াত ১)
তখন তিনি [মোহাম্মদ (সা.)] ঊর্ধ্বদিগন্তে, অতঃপর তিনি তাঁর নিকটবর্তী হলেন, অতি নিকটবর্তী। ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা এরও কম। তখন আল্লাহ্ তাঁর বান্দার প্রতি যা ওহি করার তা ওহি করলেন। যা তিনি দেখেছেন, তাঁর অন্তঃকরণ তা অস্বীকার করে নাই। (সূরা নজম ৫৩: আয়াত ৭ থেকে ১১)
কসম সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি এটি নাজিল করেছি আরবি ভাষায় কুরআন, যাতে তোমরা বুঝতে পারো। নিশ্চয় তা আছে আমার নিকট উম্মুল কিতাবের মধ্যে (লাওহে মাহ্ফুজে) তা অতি মর্যাদাশালী, জ্ঞানগর্ভ। (সূরা আঝ ঝুখরুফ ৪৩: আয়াত ২-৩)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “যখন আমাকে আকাশে সায়ের করানো হচ্ছিল- তখন মহিমান্বিত আল্লাহ্ আমার নিকটবর্তী হলেন আর এ সময় তিনি আমার এতই নিকটবর্তী হলেন যতখানি তির ধনুকের নিকটবর্তী হয়। অতঃপর তিনি আরো নিকটে এলেন।” (তাফসীরে দুররে মানসুর ১৫নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ২২৭)
আল্লাহর রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “আমি আমার প্রতিপালক আল্লাহকে উত্তম সুরতে দেখেছি।” (তাফসীরে দুররে মানসুর ২৭নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ৬৪৭)
হযরত বারা ইবনে আযেব (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লার রাসুল (সা.) এরশাদ করেন- “নিশ্চয়ই দোয়া (প্রার্থনা) হচ্ছে একটি ইবাদত।” (তিরমিজি, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ শরীফের সূত্রে তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী ৮ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২০২)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
মানুষের সাথে দেখা হলে এমন আচরণ করবে যেন তোমার মৃত্যুতে তারা কাঁদে এবং তুমি বেঁচে থাকলে তারা তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করে।
– শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু
একই খুতবা বছরের পর বছর আরবি ভাষায় পাঠ করাতে মুসল্লিগণ তা বুঝতে এবং তদনুযায়ী আমল করতে পারেন না, ফলে তা থেকে কোনো রকম উপকার লাভ করেন না। কাজেই খুতবার উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমাদের মাতৃভাষায় খুতবা দেওয়ার প্রচলন করা অত্যন্ত জরুরি।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
আমাদের দেশের মানুষের ভাষা বাংলা, তাছাড়া শিক্ষার দিক থেকেও আমরা ততটা অগ্রসর না হওয়ায় আরবি ভাষার অর্থ জানে এমন লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ফলে আরবি ভাষায় খুতবা দেওয়া হলে মুসল্লিরা তা থেকে কোনো কিছুই শিখতে পারেন না।
-সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)
আমি স্বপ্নে আমার আল্লাহকে মোট একশতবার দেখেছি।
-হযরত আবু হানিফা (রহ.)
সংকলনে-আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী
সদস্য, আল কোরআন গবেষণা কেন্দ্র, খতিব, বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরীফ; ইসলামি আলোচক, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং সমন্বয়ক, দেওয়ানবাগীর দল ওলামা মিশন বাংলাদেশ।