Cancel Preloader

মহান স্বাধীনতার ভবিষ্যদ্বাণী

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবীর
উনিশ শত একাত্তরে তৃতীয় সেক্টর রণাঙ্গনে
ঈদুল ফিতরের নামাজ হবে হেজামুড়ার ময়দানে।
সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা সহ তথায় সেক্টর কমান্ডার,
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহ্বুব-এ-খোদা পান ইমামতির ভার।
নামাজান্তে খুতবার বয়ান শেষে চাহিয়া আরশ পানে
হে খোদা দয়াময় পরোয়ার দেগার,
সোনার বাংলা করেছে শ্মশান পাক হানাদার।
ওদের দোসর জামাত শিবির ঘাতক রাজাকার।
শিশুহত্যা, নারী ধর্ষণ আগুন জ্বালিয়ে বাংলায়,
নির্বিচারে পথে প্রান্তরে গণহত্যা চালায়।
এ-হেন বিষাদের ক্রান্তি কালে
বুক ভাসে আজ নয়ন জলে,
কোথায় মোদের মাতা-পিতা, কোথায় ঘর বাড়ি?
মাতৃভূমি মুক্ত না করে কি, ঈদ করতে পারি?
হে ঈদের চাঁদ ফিরে চলে যাও তাদের কাছে-
যারা আমার লক্ষ বোনের সম্ভ্রম করেছে হরণ নির্বিকারে
লক্ষ ভাইয়েরে করেছে হত্যা নির্বিচারে,
তাদের তরে ঈদ হতে পারে, আমাদের জন্য না।
স্বাক্ষী থেকো বন্ধুরা, প্রিয় মুক্তিবাহিনী,
কুরবানির ঈদ রেসকোর্স ময়দানে আদায় করব মোরা-
স্বাধীন করে প্রিয় জন্মভূমি।
বিশ্বপতির বন্ধু যিনি ধরায় গরীয়ান,
তাঁর মাধ্যমে প্রচার করেন খোদায়ি ফরমান।
দেশ প্রেমের চাইতে উত্তম আর কোনো প্রেম নাই
দেশদ্রোহী জামাত রাজাকারের ঠাঁই-
মোহাম্মদী বিধানে নাই।
কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান আমরা মায়ের বীর সন্তান,
যায় যদি যাক দেহ হতে প্রাণ, রাখবো মোদের মায়ের সম্মান।
দিয়ে জয়বাংলার রণ হুঙ্কার, বাজিয়ে রণের দামামা,
পূর্ণ হলো, স্বাধীনতার অগ্রিম ঘোষণা।
ত্রিশ লক্ষ বাঙালি কুরবানি হলো স্বাধীনতার রণে,
ঈদের নামাজ আদায় হলো রেসকোর্স ময়দানে।

সম্পর্কিত পোস্ট

2 Comments

  • Amin

  • আমিন

Leave a Reply to Shamim Rana Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *