পুণ্য বাণী
মহান আল্লাহর বাণী মোবারক
হা-মীম, শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের, আমি তো এটি অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রজনিতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রজনিতে (লাইলাতুল বরাত) প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়, আমার আদেশক্রমে, আমিই তো রাসুল প্রেরণ করে থাকি, [হে রাসুর (সা.)] আপনার প্রতিপালকের তরফ থেকে রহমতস্বরূপ; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। (সূরা আদ দুখান-৪৪ : আয়াত ১ থেকে ৬)
মানুষের কৃতকর্মের কারণে স্থলভাগে ও সমুদ্রে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে তাদেরকে তাদের কোনো কোনো (অন্যায়) কর্মের শাস্তি তিনি আস্বাদন করান, যাতে তারা (সঠিকপথে) ফিরে আসে। (সূরা আর রূম- ৩০: আয়াত ৪১)
‘‘নিশ্চয় আল্লাহ্ স্বয়ং ও তাঁর ফেরেশতারা নবির উপরে দরূদ পাঠ করেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা তাঁর উপর দরূদ পড় এবং শ্রদ্ধার সাথে সালাম পেশ করো। (সূরা আল আহযাব, ৩৩ : আয়াত ৫৬)
হযরত রাসুল (সা.)-এর বাণী মোবারক।
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ্ রাসুল (সা.) এরশাদ করেন ‘‘ হে আয়েশা! অর্ধ সাবান বা শবে বরাতের রজনির ফজিলত জানো কি? হযরত আয়েশা (রা.) আরজ করলেন, হে আল্লাহ্ রাসুল! (সা.)-এ রাতের ফজিলত কি? তিনি বলেন, এ রাতে লিপিবদ্ধ করা হয়, কোন কোন সন্তান এ বৎসর জন্ম নিবে। আর কে কে এ বৎসর মৃত্যুবরণ করবে, এ রাতে বান্দার আমল আল্লাহ্ নিকট পেশ করা হয় এবং এ রাতেই রিজিক বন্টন করা হয়।’’ (মেশকাত শরিফ; পৃষ্ঠা-১১৫)
হযরত আয়েশা (রা.) হতে রর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন- আমি আল্লাহ্ রাসুল (সা.)-এর নিকট মহামারি সম্পর্কে জানতে চাইলাম, অতঃপর আল্লাহ্ রাসুল (সা.) আমাকে জানালেন, নিশ্চয় মহামারি হলো এক প্রকার আজাব। মহান আল্লাহ্ এ আজাব যাকে ইচ্ছা তাকেই দিয়ে থাকেন, তবে মু’মিনদের জন্য এটি একটি রহমত, যখন এ মহামারি কোনো ব্যক্তির উপর দেখা দিবে, তখন সে তার ঘরে অবস্থান করবে ধৈর্যশীল হয়ে কল্যাণের আশায়। সে যদি এ বিশ্বাস রাখে যে, তার ভাগ্যে যা আল্লাহ্ লিখেছেন তাই ঘটবে, তবে মহান আল্লাহ্ তাকে শহিদের সমান ফজিলত দান করবেন।’’ ( মুসনাদে আহম্মদ ১৮নং খণ্ড; পৃষ্ঠা ১৪৫-১৪৬)
হযরত আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহ্র রাসুল (সা.) এরশাদ করেনÑ ‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করে, আল্লাহ্ তায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হয় এবং তার মর্যাদার দশটি স্তর বৃদ্ধি করা হয়।’’ (তাফসিরে মাজহারি ৭ম খণ্ড, পৃষ্ঠা-৩৭৮)
মহামানবগণের বাণী মোবারক
‘হে আদম সন্তান, তোমাদের মহিমান্বিত প্রভূ তাঁর নিয়ামত তোমাদের দান করে যাচ্ছেন, অথচ তোমরা তাঁর নাফরমানি করছো, তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো।’’ -হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু
‘‘আপনার (যুগের ইমাম) মতো ব্যক্তি জাতির জন্য মঙ্গল; আপনার প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে যে আপনার দুশমনি করবে, তার ধ্বংস নিশ্চিত, যদি সে শত্রুতা হতে বিরত না থাকে।’’ -হযরত জালালুদ্দিন রুমি (রহ.)
‘আল্লাহ্ গজব থেকে পরিত্রাণের জন্য রহমতের প্রয়োজন, সুতরাং মহামারি-সহ যাবতীয় গজব থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহ্ রাসুল (সা.)-এর উপর অধিক পরিমাণে দরূদ ও মিলাদ শরিফ পাঠ করা প্রয়োজন।’’ -সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা.আ.)
শবে বরাতের রাতে নির্ধারণ করা হয়, এ বৎসর নতুন করে কারা পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবে, কারা মৃত্যুবরণ করবে, কাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে, আর কারা হবে দুর্ভাগা। -সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা.আ.)
5 Comments
nice
Amin
আলহামদুলিল্লাহ্। অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।
আমিন
অনেক মূল্যবান পোস্ট