অলৌকিক কারামত : মৃত ক্বালব সচল হলো
মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লাজানের অসংখ্য কারামতের মধ্যে মুর্দা দিল জিন্দা হওয়া বা ক্বালব চালু হওয়া একটি অন্যতম অলৌকিক কারামত; যা লক্ষ লক্ষ আশেকে রাসুলগণের মধ্যে বিদ্যমান। তাদের মধ্যে ডা. এস এম রফিকুল ইসলামের জীবনে ঘটে যাওয়া এমনি একটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
সূফী সম্রাটের তরিকা গ্রহণ করার পূর্বে ক্বালব সম্বন্ধে তার কোনো ধারণা ছিল না। যেমন ক্বালব কী? কোথায় এর অবস্থান? ক্বালব চালু বা জিন্দা হওয়ার উপায় কী? ইত্যাদি। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের বয়ান প্রথম শুনেন। সেদিনের বয়ান শুনে তার মনে হয়েছিল- এতো ধর্মের নতুন দিক নির্দেশনা, যা বাস্তব ও বিজ্ঞান সম্মত তথা কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সংবলিত। সেদিন আরো অভিভূত হন যখন সম্মেলন শেষে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর
কেবলাজান মাইকে ঘোষণা দিলেন যে, আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ডান হাতের শাহাদত অঙ্গুলির দ্বারা বাম স্তনের নীচে স্পর্শ করেন এবং তারপর তিনি বলেন যে, আমার হুকুমে প্রত্যেকের ক্বালবে ‘আল্লাহ্-আল্লাহ্’ জি¦কির জারি হচ্ছে। সেদিন তাঁর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা কী করে সম্ভব? তিনি মাইকের মাধ্যমে হুকুম দিলেন, আর কী করে অন্যের ক্বালবে আল্লাহ
নামের জি¦কির জারি হবে? যাই হোক তিনি সেদিন ঘুম থেকে গভীর রাত্রে সজাগ হয়ে অনুভব করতে ছিলেন আমার ভিতরে স্পন্দন অনুভূত হচ্ছে। একজন চিকিৎসক হিসেবে তাঁর মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা হার্টবিট (হৃদ স্পন্দন) কি না?
তারপর- এক শুক্রবার সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান নতুন লোকদেরকে আশেকে রাসুল (সা.) মাহফিলে ক্বালব দেখিয়ে দিচ্ছেন। তিনিও সেদিন লাইনে দাঁড়িয়ে ভিতরে গেলেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সরাসরি নিজ শাহাদত অঙ্গুলি মোবারকের সাহায্যে ডা. এস এম রফিকুল ইসলামের ক্বালব স্পর্শ করেন। ‘আল্লাহ্’ শব্দটা পবিত্র জবান মোবারক দিয়ে উচ্চারণ করা মাত্র তার বাম দিকে হৃৎপিণ্ডের সেই স্থানে এমনভাবে স্পন্দন শুরু হলো- যার ফলে একদিকে যেমন অনাবিল প্রশান্তি অনুভূত হচ্ছিল, অন্যদিকে ভাবতে লাগলেন কোন শ্রেণির মহামানব তিনি? যার আঙ্গুল মোবারকের স্পর্শে একজন
অধম ব্যক্তির ক্বালবে জি¦কির জারি হয়। এরূপ ঘটনা তা তিনি ইতঃপূর্বে কোনোদিন শুনেননি।
তারপরও মনে অনেক প্রশ্ন, বুকের বাম দিকে তো হৃদপিণ্ড আছে, সেটি তো সর্বদাই শব্দ করে চলছে। তাকি কি সেই জি¦কির?
কারণ কিছু কিছু কারণে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায়। যেমন- ভয় পেলে দৌঁড়ালে, এছাড়া আরো অনেক কারণে বুক ধরফর করে। উহা থেকে ক্বালবের স্পন্দনের পার্থক্য কী? ধীরে ধীরে মোর্শেদের দয়ায় বুঝতে পারলেন হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন ও ক্বালবের
স্পন্দন সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফায়েজের প্রভাবে ক্বালবের স্পন্দন বেড়ে যায়, কিন্তু হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন তখন স্বাভাবিক থাকে। আবার যেমন ভয় পেলে, দৌঁড়ালে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায় কিন্তু ফায়েজের প্রভাব না থাকলে
ক্বালবের স্পন্দন বুঝা যায় না। তাছাড়া অন্য লতিফা যখন চালু হয় তখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, বুকের ডান দিকে তো হৃৎপিণ্ড নাই, সেখানে কীভাবে স্পন্দন হয়! অতএব যুগের ইমাম মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের অসংখ্য কারামতের মধ্যে ক্বালব চালু হওয়া একটি অন্যতম কারামত। যে মহামানবের অলৌকিক ক্ষমতার বলে অধম পাপীদের অচল ক্বালব সচল হয়ে ‘আল্লাহ্’ ‘আল্লাহ’্ জি¦কির জারি করে দেন, তা যেন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মোর্শেদের দয়ায়
চালু থাকে। আর আমার মতো অধম পাপীর ঠাঁই যেন এই মহামানবের কদমের নীচে হয়।
সংকলনে: আশেকে রাসুল মো. আক্তার হোসেন