Cancel Preloader

আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে বছরের প্রথম মাস হলো মহররম। এটি আরবি শব্দ, এর অর্থ পবিত্র বা সম্মানিত। ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ মুসলমানরা এই হিজরি সাল কবে আসে, কবে যায়, তার খবর রাখে না। আরবি দিন তারিখ দূরের কথা আরবি মাসের নাম ‘রমজান’ ছাড়া আর কিছুই জানে না। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ১লা মহররমের আগমনের গুরুত্ব মুসলিম সমাজে অবহেলিত। তবে কিছু মানুষ মহররমের ১০ তারিখ দিনটিকে স্মরণ করলেও কিছু কিছু অপসংস্কৃতির কারণে ফতুয়ার কবলে পড়ে ১০ই মহররম শিয়াদের অনুষ্ঠান বলে আমাদের সমাজে প্রচলিত।


একজন মুসলমান হিসেবে হিজরি নববর্ষের আগমন উপলক্ষ্যে মহররম মাসকে সম্মানিত করার জন্য আমাদের উচিত যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যে যথাযথভাবে ১লা মহররম পালন করা। এই মাসের ১০ তারিখ ১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে অন্যায় অবিচার ও অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে শাহাদতের অমীয় সুধা পান করেন হযরত ইমাম হোসেইন (রা.)-সহ সর্বমোট ৭২ জন। এই মাস রহমতের ও বরকতের মাস। এই মাসের ১০ তারিখকে ‘পবিত্র আশুরা’ বলা হয়। আরবি শব্দ ‘আশারুন’ তথা দশ শব্দটি থেকে আশুরা শব্দের উৎপত্তি। আশুরার দিনটি মুসলিম জাতির নিকট অনাদিকাল হতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এদিনে অগণিত সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, উত্থান-পতন, সৃষ্টি-ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে। এই সকল ঘটনার জন্য দিনটি সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখের, রহমতের ও বরকতের।

হিজরি বর্ষ: ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মু’মিনিন হযরত ওমর ফারুক (রা.)-এর খেলাফতকালে তিনি রাষ্ট্রীয় কার্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামি নীতি অবলম্বন করার চেষ্টা করেন। তিনি ভাবলেন মুসলিম জাতি সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি হওয়া সত্ত্বেও কেন অমুসলিমদের সৌরপঞ্জিকার সাথে মিলিয়ে সন গণনা করবে? মুসলমান জাতির বর্ষগণনার জন্যে আলাদা একটি হিসাব থাকা উচিৎ। এছাড়াও সরকারি কাজকর্মে সুষ্ঠু রেকর্ড রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে তিনি চান্দ্রবর্ষ গণনার একটি স্বতন্ত্র রীতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। হযরত ওমর ফারুক (রা.) এ ব্যাপারে একটি সুষ্ঠু সমাধান বের করার জন্যে তার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হযরত ওসমান (রা.), হযরত আলী (কা.), হযরত তালহা (রা.), হযরত জুবায়ের (রা.) প্রমুখ বিশিষ্ট সাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। কেউ মতামত দেন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম তারিখ, কেউ মতামত দেন মক্কা বিজয়ের তারিখ হতে হিজরি সন গণনা শুরু করা যাক। হযরত আলী (কা.) রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর হিজরতের ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরে হযরত রাসুল (সা.)-এর হিজরতের তারিখ হতে হিজরি সাল গণনার প্রস্তাব দেন। উপস্থিত সবাই এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তখন খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রা.) হযরত রাসুল (সা.)-এর চান্দ্র মাস গণনার পদ্ধতিকে বাস্তবায়ন করে হিজরতের বছর থেকে সন গণনা শুরু করেন এবং এই পঞ্জিকার নামকরণ করেন ‘হিজরি পঞ্জিকা’।


ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় হযরত রাসুল (সা.) মদীনায় হিজরত করে দেখতে পেলেন যে ইহুদিরা মহররমের ১০ তারিখ তথা আশুরার দিবসে রোজা রাখছে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন এটা কোন দিন যাতে তোমরা রোজা রেখেছ? তারা বলল এটা এমন এক মহান দিবস, যেদিন মহান আল্লাহ্ হযরত মুসা (আ.) ও তাঁর সম্প্রদায়কে নাজাত দান করেছিলেন। ফেরাউনকে তার সম্প্রদায়সহ লোহিত সাগরে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। হযরত মুসা (আ.) শুকরিয়া হিসেবে এদিন রোজা রেখেছেন। এজন্য আমরা রোজা রাখি। একথা শুনে নবি করিম (সা.) বললেন তোমাদের চেয়ে আমরা হযরত মুসা (আ.)-এর অধিকতর ঘনিষ্ঠ ও নিকটবর্তী। অতঃপর তিনি রোজা রাখলেন এবং অন্যান্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। (বুখারী শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৮ এবং মুসলিম শরীফ ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৯)


প্রাক ইসলামি যুগে মক্কার কুরাইশরা আশুরার দিনে রোজা রাখত। নবি করিম (সা.) এই দিনে রোজা রাখতেন। মদীনায় আগমনের পর রমজান মাসের রোজা ফরজ হওয়ার পর তিনি ঘোষণা করলেন আমি আশুরার দিনে রোজা রাখতে আদিষ্ট ছিলাম। অতএব এখন তোমাদের কারও যদি ঐ দিন রোজা রাখতে ইচ্ছে হয় তবে তা রাখতে পারো।

মহান রাব্বুল আলামিন আশুরার দিনে যে সকল ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো:

  • পবিত্র আশুরার দিনে মহান রাব্বুল আলামিন আরশ, কুরছি, লওহ, কলম, আসমান ও জমিন, পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছেন।
  • পবিত্র আশুরার দিনে মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁকে এই দিনে বেহেশতে স্থান দেওয়া হয়েছে। এই দিনে তাঁকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়। হযরত আদম (আ.) গন্ধম ফল খাওয়ার অপরাধে ৩৬০ বছর মতান্তরে ৩৯০ বছর আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটির পর হযরত রাসুল (সা.)-এর অসিলায় এই দিনে আল্লাহ্ তার গুনাহ মাফ করেন এবং প্রার্থনা কবুল করেন।
  • হযরত নূহ (আ.)-এর অবাধ্য জাতিকে ধ্বংস করার জন্য মহাপ্লাবন দেওয়া হয়। তাঁর অনুসারীরা কিস্তির মধ্যে আরোহণ করেন এবং তাঁরা নিরাপদে জুদি পাহাড়ের পাদদেশে এসে নৌকা থেমেছিল পবিত্র আশুরার দিনে।
  • পবিত্র আশুরার দিনে হযরত ইব্রাহিম (আ.) জন্মগ্রহণ করেন এবং এই দিনে নমরুদের অগ্নিকুণ্ড হতে মুক্তি লাভ করেন।
  • দীর্ঘ ১৮ বছর রোগভোগের পর হযরত আইয়ূব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করেন পবিত্র আশুরার দিনে।
  • হযরত ঈসা (আ.) এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং চতুর্থ আসমানে উত্থিত হয়েছিলেন।
  • হযরত দাউদ (আ.) আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করেছিলেন এবং বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন এই দিনে।
  • হযরত ইউনুস (আ.)-কে ৪০ দিন পর দজলা নদীতে মাছের পেট হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন এই দিনে।
  • হযরত সোলায়মান (আ.) তাঁর হারানো রাজত্ব পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছিলেন এই দিনে।
  • হযরত ইয়াকুব (আ.) তার হারানো পুত্র ইউসুফ (আ.)-কে ৪০ বছর পর ফিরে পেয়েছিলেন এই দিনে।
  • পবিত্র আশুরার দিনে ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আছিয়া শিশু মুসা (আ.)-কে গ্রহণ করেছিলেন।
  • পবিত্র আশুরার দিনে খায়বার যুদ্ধের বিজয় অর্জন এবং মাদায়েন ও কাদিসিয়ার যুদ্ধে বিজয় অর্জন।
  • প্রিয় নবি হযরত মোহাম্মদ (সা.) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন পবিত্র আশুরার দিনে।
  • পবিত্র আশুরার দিনে সর্বপ্রথম বৃষ্টি ও আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে।
  • পবিত্র আশুরার দিনে ২ হাজার নবি-রাসুল জন্মগ্রহণ করেন। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)
  • ১৯৮৫ সালের ১০ই মহররম পবিত্র আশুরার দিনে মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগ গ্রামে বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন।
    পবিত্র আশুরার দিনটি মুসলমানদের নিকট সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় ও হৃদয় বিদারক যে কারণে তা হলো- হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র শেরে খোদা হযরত আলী র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহু ও খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (রা.)-এর হৃদয়ের ধন মোহাম্মদী ইসলামের অকুতোভয় সৈনিক ইমাম হোসাইন (রা.)-কে সপরিবারে কারবালার মরুপ্রান্তরে, দুরাচার এজিদ বাহিনী নির্মমভাবে শহিদ করেন। ইমাম হোসাইন (রা.) মাত্র ৭২ জন সহযোগী নিয়ে এজিদের ২২ হাজার সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে আপসহীন যুদ্ধসংগ্রামে লিপ্ত হন।
    নবি পরিবার ১০ই মহররম পবিত্র আশুরার দিনে কারবালার প্রান্তরে দুরাচার এজিদ বাহিনীর অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করে সত্য ও ন্যায়ের জন্য জীবন বাজি রেখে প্রাণপণে যুদ্ধ করে নবির আদর্শের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইসলামের ইতিহাসে কারবালার মতো ন্যাক্কারজনক ও কলঙ্কজনক ঘটনা মানব ইতিহাসে লোমহর্ষক। সকল আশেকে রাসুল দুরাচার, লম্পট এজিদ ও এজিদের অনুসারীদেরকে ধিক্কার জানায় এবং যে সকল নবিপ্রেমিক কারবালার প্রান্তরে নির্মমভাবে শহিদ হন তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর ভালোবাসা।
    মানবজাতির নিকট আশুরার দিনটি অত্যন্ত রহমত, বরকত ও ফজিলতের দিন। আশুরার দিনের অসিলায় অনেক নবি-রাসুল কঠিন কঠিন বিপদ হতে পরিত্রাণ পেয়েছেন এবং অনেকে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এই পবিত্র আশুরার দিনে আমরা পাপীতাপী পথভোলা মানুষ যদি সঠিকপথ পাওয়ার আশায় পাপমোচনের জন্য আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানাই, মহান রাব্বুল আলামিন অবশ্যই আমাদের ফরিয়াদ কবুল করবেন।
    কারবালার প্রান্তরে এজিদ বাহিনী কর্তৃক মোহাম্মদী ইসলামের আর্দশ বিলুপ্তির পর জগতময় এজিদি ইসলাম প্রচার হয়। পবিত্র আশুরার এই বরকতময় দিনটি বহু বছর আমাদের সমাজে প্রচলিত ছিল এটি শিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান। আমাদের এই ভুল ধারণা থেকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনলেন এবং এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন যে মহামানব তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান। সজাতির ভুল ভাঙ্গানোর জন্য এই দিনে তিনি দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে তিনি আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন আহ্বান করে সম্মেলনে আগত লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী মানুষের মাঝে তিনি আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি এই দিবসের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ১৯৮৫ সালে লক্ষ লক্ষ হ্যান্ডবিল (প্রচারপত্র) বাংলার সকল অফিস, আদালতে, মসজিদে, দোকানে, এলাকায় এবং সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা করেন। এই মহামানবের এমন মহতি উদ্যোগ সমাজের অনেকের ভুল ভাঙ্গে। আশুরার হ্যান্ডবিল পড়ে সম্মেলনে যোগদান করে অনেকে তখন বলতো শাহ দেওয়ানবাগী একজন উচ্চস্তরের অলী-আল্লাহ্। বর্তমান সমাজে আজ ১০ই মহররম সুপ্রতিষ্ঠিত। ১০ই মহররম আসলে সকল মসজিদে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নানারকম ধর্মীয় অনুষ্ঠান মিলাদ-মাহ্ফিল, ফাতেহা পাঠ, তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। সমাজের মানুষ এখন আর বলে না আশুরা শিয়াদের অনুষ্ঠান। হযরত শাহ দেওয়ানবাগীর বদৌলতে এখন সবাই এটিকে একটি পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে জানে, মানে ও পালন করে।
    মহামানবদের সংস্পর্শে গিয়ে, তাঁদের নির্দেশিত পথ ও মতে চললে একজন সাধারণ মানুষ মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছাতে সক্ষম। আল্লাহর মহান বন্ধুগণ ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা জানেন। তাঁরা অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে একজন মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে থাকেন। সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) ২০২০ সালের ২৮শে ডিসেম্বর দারুল বাকায় তাশরিফ গ্রহণ করেন। তাঁর সর্বশেষ অসিয়ত অনুযায়ী মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী ইমাম হিসেবে ঘোষণা দেন। এছাড়া ইতঃপূর্বে ড. মেজো হুজুরকে দরবারের সকল সমস্যার ফয়সালাকারীও বলেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের নির্দেশ মোতাবেক, মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী ইমামের দিকনির্দেশনায় ধর্মকর্ম পালন করা আশেকে রাসুলদের জন্য অপরিহার্য। তিনি সূফী সম্রাট শাহ দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজানের আর্দশ বুকে ধারণ করে সমাজের পথভোলা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়ে যাচ্ছেন। এই মহামানবকে অনুসরণ করে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর চরিত্র ও আদর্শ হৃদয় মাঝে ধারণ করা সম্ভব। তবেই আমরা ইহলৌকিক এবং পারলৌকিক সুখ শান্তি ও কল্যাণ লাভ করতে সক্ষম হবো। মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সহায় সকলের হউক। আমিন।
    [লেখক: ইসলামি গবেষক]

সম্পর্কিত পোস্ট