Cancel Preloader

ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা হুজুরের পরামর্শে আমল করার গুরুত্ব – ড. পিয়ার মোহাম্মদ

আমাদের একমাত্র উপাস্য এবং আরাধ্য মহান আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য, প্রিয় রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি অবিচল আস্থা এবং তাঁর আনীত ধর্মের প্রতি যিনি দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করেন তিনিই ইমানদার। হযরত রাসুল (সা.)-এর সিনায় সংরক্ষিত সিরাজুম মুনিরের উত্তরসূরি অলী-আল্লাহ্র সাহচর্যে গিয়ে যিনি সাধনার মাধ্যমে ইমানের নুর নিজের ক্বালবে প্রজ্বলিত করতে পারেন তিনি প্রকৃত ইমানদার। প্রকৃত ইমানদার হয়ে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনই মানুষের মূল লক্ষ্য। এ সন্তষ্টি অর্জনের জন্য মানুষকে মুত্তাকি ও মু’মিন হতে হয়। মুত্তাকির পর্যায় যার যত উচ্চ হবে, সে মহান আল্লাহ্র তত সন্তষ্টি অর্জন করতে পারবেন।


মুত্তাকির পর্যায় উন্নত করতে মানুষকে অলী-আল্লাহ্র সংস্পর্শে গিয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী হয়ে সাধনার মাধ্যমে ফায়েজ অর্জন করতে হয়। ধর্মের কিতাব পড়ে ধর্ম সম্পর্কে তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করা যায়, কিন্তু মুত্তাকি হওয়া যায় না, ফায়েজও অর্জন করা যায় না। চরিত্র গঠন করতে সিরাজুম মুনিরের ধারক ও বাহক একজন মহামানবের সহবত আবশ্যক। তাঁর সহবতে থেকেই তাঁর সিনা থেকে নিজ সিনায় ফায়েজ গ্রহণ করে চরিত্র সংশোধন করতে হয়। ফায়েজের মাধ্যমেই মানুষের ভিতরের রিপুসমূহ নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পাপের কারণে জমে থাকা ময়লা ধীরে ধীরে দূরীভুত হয়। সেজন্য অলী-আল্লাহ্র সিনার আলোয় নিজের ক্বালবের নিভে যাওয়া নুরকে প্রজ্বলিত করতে হয়। সে আলোয় মহান প্রভুকে দেখে তাঁর কদম মোবারকে নিজকে সোপর্দ করে কামিয়াব হতে হয়। ইমানদার হওয়ার মাধ্যমেই একজন মানুষের ধর্মে প্রবেশ ঘটে। প্রকৃত ইমানদার হওয়ার মাধ্যমে সে মহান আল্লাহ্র দরবারে আত্মসমর্পণ করে এবং সাধনা করে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে মহান প্রভুর নৈকট্য বা দিদার লাভ করে। এ গোটা প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন যিনি মহান আল্লাহ্র নৈকট্য লাভ করেছেন এবং ক্বালবে সিরাজুম মুনিরার নুর ধারণ করেন এমন একজন শিক্ষক। একা একা ইবাদত করা সম্ভব, কিন্তু সিরাজুম মুনিরের নুর শিক্ষকের কাছ থেকে না পেলে প্রকৃত ইমানদার হওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃত ইমানদার না হতে পারলে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টিও অর্জন করা যায় না তথা আল্লাহ্র নৈকট্য অর্জিত হয় না। বইপত্রের তাত্ত্বিক জ্ঞানে নিজের জীবনে বাস্তব রূপ দিতে অলী-আল্লাহ্গণের নিকট শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। তাঁদের আলোয় নিজকে উদ্ভাসিত করতে হয়।


দয়াল রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ১৫ বছর হেরা গুহায় ধ্যান সাধনার মাধ্যমে মহান করুণাময়ের কাছ থেকে যে ধর্ম প্রাপ্ত হয়েছিলেন আমরা সেই ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম পালন করি। হযরত রাসুল (সা.)-এর ওফাতের পর যুগে যুগে অলী-আল্লাহ্গণ এ ধর্ম প্রচার করে গেছেন। সর্বশেষ প্রচার করে গেছেন আমাদের মহান দরদি মোর্শেদ দ্বিন দুনিয়ার কোহিনুর মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)। তিনি ওফাতের প্রাক্কালে মহান আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছায় এবং হযরত রাসুল (সা.)-এর পরামর্শে ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে এই ধর্ম পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বিধায় হযরত রাসুল (সা.)-এর সিনায় সংরক্ষিত সিরাজুম মুনির কালের আবর্তে এখন প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের সিনায় অবস্থান করছে। সেজন্য প্রকৃত ইমানদার হয়ে মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য আমাদেরকে তাঁর সংস্পর্শে এসে সাধনা করা আবশ্যক। তিনি যে সব নির্দেশনা দিচ্ছেন তা যথাযথভাবে পালন করে হৃদয়ে ইমানের নুর জ্বালানো দরকার। তাঁর নির্দেশনা মোতাবেক আমল না করলে সিরাজুম মুনিরের আলো নিজ হৃদয়ে জ্বলবে না এবং ইমানদার হওয়া যাবে না। ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আত্মার একজন শিক্ষক হিসেবে যেসব আমল দিচ্ছেন সেসব আমল শুধু করলেই চলবে না, বরং তাঁর শেখানো মতেই আমল করতে হবে। তাহলেই তাঁর আনুকুল্যে আমরা প্রকৃত ইমানদার হয়ে মুক্তি অর্জনের আশা করতে পারব অন্যথায় নয়। মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমান নেতৃত্ব প্রদানকারী মহান ইমামের কদম মোবারকে এসেছি এটাই যথেষ্ট নয়। এসেছি মানে তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছি এখন তাঁর শেখানো মতে আমল করে সফলকাম হতে হবে। ভর্তি হলেই পাশ হয়ে যায় না, বরং শিক্ষকের শেখানো মতে পড়াশুনা করতে হয়। একইভাবে আশেকে রাসুল হিসেবেও দায়িত্ব বর্তমান নেতৃত্বদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরের শেখানো মতে আমল করে নিজের ক্বালবকে আলোকিত করে মহান আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জন করা। এ প্রেক্ষাপটে তাঁর কিছু নির্দেশনা তুলে ধরছি যা আমাদের প্রকৃত ইমানদার হয়ে আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জনের জন্য একান্ত আবশ্যক।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে আন্তরিক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহ্কে হাজির নাজির জেনে দুনিয়ার যাবতীয় চিন্তা থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ্র ধ্যানে মগ্ন হয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। আমাদের সেজদা যেন মহান আল্লাহ্র কদম মোবারকে পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পাঁচবার পাঁচ ধরনের ফায়েজ পেয়ে পাপ মুক্তির মাধ্যমে আত্মা শুদ্ধ হবে। নামাজের মাধ্যমে আহম্মদী চরিত্র অর্জিত হবে এবং এক পর্যায়ে নামাজ যে মু’মিন ব্যক্তির মি‘রাজ তার বাস্তব প্রমাণ পাওয়া যাবে। সেজন্য আমাদের প্রথম দায়িত্ব মহান ইমামের নির্দেশ মোতাবেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ তরিকার নিয়মানুসারে যথাযথভাবে আদায় করা। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাইলে এ ব্যাপারে কোনো শৈথিল্য দেখানোর সুযোগ নেই।


ইমাম ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর রোজা পালনের ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। মহান আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত সহকারে যাবতীয় পানাহার ও কামাচার থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলে। তবে এটি হলো সাধারণ শ্রেণির রোজা। সাধারণ শ্রেণির রোজার সকল শর্তের সাথে সকল প্রকার পাপ কর্ম থেকে বিরত থাকলে তা হবে মধ্যম শ্রেণির রোজা। আবার মধ্যম শ্রেণির রোজার সকল শর্ত পালনের সাথে সর্বক্ষণ আল্লাহ্র স্মরণে নিমগ্ন থাকলে তা হবে উত্তম শ্রেণির রোজা। ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর নির্দেশ দিয়েছেন আশেকে রাসুলদের কমপক্ষে মধ্যম শ্রেণির রোজা রাখতে হবে। সম্ভব হলে উত্তম শ্রেণির রোজা পালনের চেষ্টা করতে হবে। তাতে আত্মশুদ্ধি অর্জিত হবে। রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মহান আল্লাহ্ এই ইবাদতের পুরস্কার তিনি নিজেকে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ্ তায়ালা যদি কারো জন্য উপহার হয়ে যায় তবে তারতো আর কোনো চিন্তা থাকে না। তিনি সফলকাম হয়ে যান।


মহান ইমামের নির্দেশনা শারীরিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান আশেকে রাসুলদের অবশ্যই জীবনে একবার হজ করতে হবে। হজের মাধ্যমে সকল প্রকার কামনা, বাসনা পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহ্র ধ্যানে নিমগ্ন হওয়া এবং পবিত্র জীবন যাপনের প্রশিক্ষণ হয়। হজের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতার নেপথ্যে রয়েছে আল্লাহ্র প্রেরিত মহামানবগণের আচার অনুষ্ঠান। সেজন্য হজের মাধ্যমে তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ এবং তাঁদের চরিত্রে চরিত্রবান হওয়ার অনুশীলন ও সংকল্প করতে হয়। হজের পর জীবনকে সেভাবে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.)। হজ পালনকালে হযরত রাসুল (সা.)-এর রওজা মোবারক দেখারও সুযোগ হয়ে থাকে, যা একজন আশেকে রাসুলের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।


মহান ইমাম বলেন যাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে তাদের মোহাম্মদী ইসলামের নিয়ম মাফিক যাকাত আদায় করতে হবে। সব সম্পদের মালিক আল্লাহ্ তায়ালা। মহান আল্লাহ্র দয়ায় বান্দা সম্পদ অর্জন করে। এ সম্পদ তাকে নির্দিষ্ট নিয়মে ব্যবহার করতে হয়। আল্লাহ্র নির্দেশ মোতাবেক যাকাত আদায় করলেই সেই অর্জিত সম্পদ পবিত্র হয়। মনে রাখতে হবে সকল সম্পদে গরিবের হক রয়েছে। যাকাত দিয়ে সেই হক আদায় না করলে আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জন সম্ভব হবে না। আশেকে রাসুলদের আর্থিক যাকাতের পাশাপাশি মানুষকে আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে জ্ঞান বিতরণ করে আত্মিক যাকাত আদায় করতে হবে। সেজন্য আমাদের সবারই উচিৎ মোহাম্মদী ইসলাম সম্পর্কে যতটুকু জানি ততটুকুই অন্যের কাছে বিতরণ করা। মোহাম্মদী ইসলামের গোলামি এবং প্রচার ও প্রসারে আমাদের সময়ের যাকাত আদায় করতে হবে।


ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর আঞ্চলিক দরবার শরীফ, খানকাহ শরীফ, জাকের মজলিস এবং আশেকে রাসুলদের ঘরে ঘরে মোহাম্মদী ইসলামের মিলাদ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই মোতাবেক মিলাদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মিলাদের আয়োজন আরো বাড়ানোর জন্য তাঁর পরামর্শ রয়েছে। ঘরে ঘরে মিলাদ পাঠ করলে যেমন বাড়িতে বাড়িতে হযরত রাসুল (সা.)-এর রহমত পাওয়া যাবে তেমনি আশপাশের মানুষও মোহাম্মদী ইসলামের ছায়াতলে এসে মুক্তির পথ খুঁজে পাবেন। এ ঘরোয়া মিলাদের মাধ্যমে প্রতিদিন নতুন নতুন আশেকে রাসুল তরিকায় শামিল হচ্ছেন। এক হিসাবে জানা গেছে দয়াল বাবাজানের ওফাতের পর এ পর্যন্ত প্রায় দুই লক্ষ মানুষ মোহাম্মদী ইসলামের পতাকাতলে শামিল হয়েছেন।


মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফা অনুসারে আমলের ব্যাপারে ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুর খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। নামাজ শেষে মোনাজাত, ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর ফাতেহা শরীফ পাঠ ও ফজর নামাজের পর খতম শরীফ পাঠ করা সবার নিয়মিত আমলের অংশ। এসব ব্যাপারে সবার সচেতন থাকার জন্য তিনি তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। নির্দেশিত আমল করতে গাফিলতি প্রদর্শন করলে মহান আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জন সম্ভব হবে না। মনে রাখতে হবে মহান ইমাম আমাদের একজন আধ্যাত্মিক শিক্ষক। কাজেই এ মহান শিক্ষকের নির্দেশ মোতাবেক আমল না করলে পাশ করা যাবে না। তাঁর সুপারিশ ছাড়া সামনে আগানোর কোনো সুযোগ নাই। তাঁর নির্দেশ মেনে না চললে আমাদের জন্য সুপারিশ করার সুযোগ থাকবে না। দয়াল মেজো হুজুর আশেকে রাসুলদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে মোরাকাবা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তন্মধ্যে যে কোনো একবার নামাজ শেষে কমপক্ষে আধাঘন্টা মোরাকাবা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ মোরাকাবার মাধ্যমেই মহান আল্লাহ্র নৈকট্য ও দিদার লাভ এবং যোগাযোগ করা সম্ভব। মোরাকাবার মাধ্যমেই হযরত রাসুল (সা.) হেরা গুহায় মহান আল্লাহ্র দিদার পেয়েছিলেন। মোরাকাবার মাধ্যমেই নিজের মধ্যে আল্লাহ্ ও রাসুলকে খুঁজে পেতে হবে। রিপু দমন করে আত্মার উন্নতির জন্য মোরাকাবা করতে হয়। মোরাকাবার মাধ্যমে ক্বাল্বে ফায়েজ আসে। পাপের অন্ধকার দূর হয়ে হৃদয় আলোকিত হয়। মহান আল্লাহ্ পাকের সাথে মানুষের যোগাযোগের একমাত্র পথ মোরাকাবা। সেজন্য এ আমলকে বেশি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। মহান ইমাম, “যদি কোনো মানুষ পশুর ন্যায় আচরণ করে তবে সে মানুষের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বকে ভুলুন্ঠিত করে। শান্তির চরিত্র ধারণ ছাড়া ধর্মে প্রবেশের কোনো সুযোগ নাই। শান্তির চরিত্রের তোরণ দিয়েই ধর্মে প্রবেশ করতে হয়। একমাত্র আল্লাহ্ই হচ্ছেন শান্তির উৎস। শান্তি পেতে হলে হযরত রাসুল (সা.)-এর চরিত্র ধারণ করতে হবে।” সেজন্য ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) বলেন তরিকার আমলের মাধ্যমে ষড়রিপু দমন করে হিংসা, বিদ্বেষ, রাহাজানি, পরচর্চা, সুদ, ঘুষ, পরনিন্দা ও আমিত্ব দূর করে চরিত্র সংশোধন করতে হবে। ধৈর্য, নিষ্ঠা ও শান্তিপূর্ণভাবে পথ চলতে হবে। আমরা যেন কোনোভাবেই কারো কষ্টের বা ক্ষতির কারণ না হই সে ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকতে হবে। চরিত্র সংশোধনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন না করতে পারলে আল্লাহ্কে পাওয়া যাবে না। মানব জীবন অর্থহীন হয়ে পড়বে।


আশেকে রাসুলদের মুক্তির জন্য দয়াল মেজো হুজুর প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহেই আশেকে রাসুলদের উদ্দেশে বাণী মোবারক দিয়ে থাকেন। মনে রাখতে হবে এসব বাণী মোবারকও আমাদের সময়োপযোগী করণীয় বিষয়ের নির্দেশনা থাকে। এসব নির্দেশনাও আমল হিসেবে পালন করতে হবে। আমরা আশেকে রাসুলেরা দয়াল মোর্শেদের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্র দরবারে নিজেদের সঁপে দিয়েছি। দয়াল মোর্শেদ আমাদেরকে তাঁর উত্তরসুরি হিসেবে মহান ইমামের কাছে উঠিয়ে দিয়েছেন। এখন তাঁর নির্দেশমত চলাই আমাদের দায়িত্ব। তাতেই আমাদের মুক্তি নিহিত। আশেকে রাসুলদের সকল আমল হতে হবে তাঁর নির্দেশ মোতাবেক। মনে রাখতে হবে তিনিই বর্তমানে মোহাম্মদী ইসলামের নুর ধারণ করছেন। সেই নুর পেতে হলে তাঁরই নির্দেশিত পথে হাঁটতে হবে। আমাদের দয়াল মোর্শেদের নির্দেশনাও তাই। সেজন্য তাঁর পরামর্শে আমল করেই প্রকৃত ইমানদার হয়ে মহান আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জন করতে হবে। মোহাম্মদী ইসলামের বিধান শুরু থেকে এমনই। মুক্তির পথে হাঁটার এটিই নিয়ম, এটিই প্রকৃত রাস্তা।
আসুন আমরা বেলায়েতের এ যুগে মোহাম্মদী ইসলামের বর্তমান নেতৃত্ব প্রদানকারী মহামানব ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজরের সহবতে এসে তাঁর নির্দেশিত পথে চলে এবং সাধনা করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত ইমানদার হয়ে মহান আল্লাহ্র সন্তষ্টি অর্জন করি। মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুন। আমিন।
[লেখক: ইসলামি গবেষক; সাবেক অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার]

সম্পর্কিত পোস্ট