Cancel Preloader

মোহাম্মদী ইসলাম পুনর্জাগরণে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের অবদান চিরস্মরণীয়

ইমাম প্রফেসর ড. কুদরত এ খোদা


ভূমিকা
আমার মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান দেশ ও বিদেশে হযরত রাসুল (সা.)-এর চিরশান্তির ধর্ম মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালের ১০ই মহররম দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর ধর্মীয় ও মানবতাবাদী দর্শন শুধু বাংলাদেশের মানুষকে নয়, বিশ্বের শতাধিক দেশের অসংখ্য মানুষকে মুগ্ধ করেছে। তাঁর সুমহান শিক্ষা ও ধর্মীয় সংস্কারগুলো দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম, ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক এবং সুধীজনের নিকট বেশ প্রশংসিত হয়, যা বিজ্ঞজনের বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। বিশ্বময় দয়াল রাসুল (সা.)-এর ধর্ম পুনর্জাগরণে সূফী সম্রাট হুজুরের কেবলাজান যে অনবদ্য ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন, তা মোহাম্মদী ইসলামের স্বর্ণালি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ও চিরভাস্বর হয়ে থাকবে বলে তারা উল্লেখ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান উমাইয়া (৬৬১-৭৫০খ্রি.) ও আব্বাসীয় (৭৫০-১২৫৮খ্রি.) শাসনামলে মোহাম্মদী ইসলামের আদর্শের বহুলাংশের বিলুপ্তির ৬৯১ বছর পর জগতের বুকে আগমন করেন। জগৎ শ্রেষ্ঠ এই মহামানব উমাইয়াদের চক্রান্তের ফলে মোহাম্মদী ইসলামে যে সকল কুসংস্কারের অনুপ্রবেশ ঘটেছিল, সেগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারের মাধ্যমে মোহাম্মদী ইসলামের প্রকৃত স্বরূপ জগৎবাসীর নিকট উপস্থাপন করেন। তাঁর এই ধর্মীয় সংস্কারমূলক কার্যক্রম তাঁকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সম্পর্কে সুধীজনের অভিমত উপস্থাপন করা হলো-


মোঃ আবদুল হামিদ, সাবেক রাষ্ট্রপতি (বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন প্রদত্ত শুভেচ্ছা বাণী)
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ৬২তম শুভ জন্মদিনের ‘সূফী সম্রাট’ নামক স্মরণিকা প্রকাশ হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ ধর্মে হানাহানির কোনো স্থান নেই। মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য রক্ষা করাই ইসলামের মুলকথা। এ স্মরণিকা প্রকাশের মাধ্যমে ইসলামের মূল বাণী, মূল শিক্ষা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি দেশে ইসলামের নামে জঙ্গীবাদ, নাশকতামূলক কাজকে চিরতরে বন্ধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের ৬২তম শুভ জন্মদিনে তাঁকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ এবং স্মরণিকা প্রকাশের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সাফল্য কামনা করি। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০১১)

বিচারপতি চৌধুরী এ,টি,এম, মসউদ; সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বাংলাদেশ
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বর্ণাঢ্য কর্মজীবন, বিশেষভাবে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত পথে উম্মতে মোহাম্মদীকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে হুজুরের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি দেশে বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে।
দেওয়ানবাগী হুজুর এমন একজন মহান ব্যক্তিত্ব, যার সান্নিধ্যে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে মানুষকে হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর আশেক বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হুজুরের আহ্বাবানে সারা দেশে মিলাদ মাহ্ফিলের আয়োজন করা হচ্ছে- মানুষ জানতে শিখেছে যে, আল্লাহ্ তায়ালার প্রেরিত রাসুলকে ভালোবাসলে আশেকে রাসুল বা রাসুল প্রেমিক হিসেবে তারা নবিজির শাফায়াত লাভ করবে এবং আল্লাহ্ তায়ালার রহমত ও বরকত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে সমর্থ হবে।

সূফী সম্রাট বলেন, একজন খাঁটি মু’মিনের জীবনে প্রতিটি কাজকর্ম মহান আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের সন্তুষ্টির জন্য হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যে তিনি মানুষকে আশেকে রাসুল হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদানের কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। তাঁর সান্নিধ্যে আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ করে বহু মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০১২)

বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ; সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার
হুজুরের (সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান) রুহানি সংস্পর্শে এসে অনেক পথভ্রষ্ট, মাদকাসক্ত, ইসলাম বিরোধী, নাস্তিকও সত্য পথের সন্ধান পেয়েছেন। ইলমে তাসাউফের বিভিন্ন পর্যায়ের অনুশীলন চর্চায় অনেকেই আল্লাহ্ প্রেমে নিসিক্ত হয়েছেন। তাঁর সংস্কারধর্মী বিভিন্ন কর্মধারা প্রসংশনীয় অবদান রেখে চলেছে। লিখনীর মাধ্যমে তিনি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কিত অনেক জটিল প্রশ্নের বাস্তব সমাধানে, কোরআন-হাদিসের আলোকে যথেষ্ট জোড়ালো যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। মুসলিম উম্মাহ্ জোড়দার করার লক্ষ্যে মুসলমানদের বার্ষিক অনুষ্ঠানাদি চন্দ্রমাস হিসেবে সারা বিশ্বে একই তারিখে অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। আখেরি নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মহব্বতে আপ্লুত হওয়ার চিন্তাধারা, তাঁর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গকে নবিপ্রেমে মশগুল করেছে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০০৭, পৃষ্ঠা ৬)

তিনি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে সারাবিশ্বে একই তারিখে ঈদসহ যাবতীয় ইসলাম ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি পালনের যে গুরুত্বপূর্ণ ও বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। হুজুর কেব্লা অত্যন্ত যুক্তিসংগত ভাবেই বলে থাকেন যে, যদি একই দিনে সারা বিশ্বে মুসলমান শুধু সময়ের ব্যবধানে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন, তাহলে একই তারিখে ঈদ পালন করতে পারবে না কেন? তাঁর এ বাস্তবমূখী চিন্তাধারা বিশ্ব মুসলিমের মাঝে নিবিড় ঐক্যের এক উদাত্ত আহ্বাবান বলে আমি মনে করি। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০০৮, পৃষ্ঠা ১৫)

এডভোকেট শেখ রাজ্জাক আলী; সাবেক স্পিকার, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ
তাঁর (সূফী সম্রাট) শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষ আত্মশুদ্ধি লাভ করেছেন।… তাঁর সংস্কারগুলো কোরআন ভিত্তিক ও বিজ্ঞান সম্মত। ইসলামের অগ্রযাত্রায় তাঁর ধর্মীয় সংস্কারমূলক কার্যক্রম বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।… সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লার গৌরবদীপ্ত জীবনে বহু অলৌকক কারামত রয়েছে। বিশেষ করে চন্দ্রপৃষ্ঠে তাঁর চেহারার প্রতিবিম্ব প্রকাশ পাচ্ছে, যা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। মহান  আল্লাহর পক্ষ থেকে এ অলৌকিক ঘটনা প্রমাণ করে যে, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলা নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানব তথা অলী-আল্লাহ্। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০০৮, পৃষ্ঠা ১৯)

বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া; গভর্নর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের অন্যতম সংস্কার হলো দলিল লেখার পদ্ধতি পরিবর্তন। পবিত্র কুরআনে বহুবার বর্ণিত হয়েছে “লিল্লাহি মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব।” অর্থাৎ-“আসমান ও জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ্।” অথচ দলিল লেখার সময় মানুষকেই জমির মালিক বলে লেখা হতো। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী এটাকে শিরক বলে অভিহিত করে বলেন, “নিজেকে জমির মালিক দাবি করা চরম গর্হিত ও র্শিক; যেটি করা কোনো মানুষের উচিত নয়।” আর সে কারণেই তিনি দলিলে মানুষের নামের পরিবর্তে  আল্লাহর নাম সংযোজন করার জন্য আমার কাছে প্রস্তাব পাঠান। তখন সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সাথে আমি তাঁর দরবার শরীফে এসে দেখা করি। তিনি আমাকে দলিল লেখার পদ্ধতি কীরূপ হবে তাঁর একটা রূপরেখা প্রদান করলেন। তাতে ছিল “বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহিম। পরম করুণাময়  আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ্ আসমান জমিনের মালিক। আর আমি তার বান্দা হিসাবে এই জমির ভোগ দখলের অধিকারী থাকিয়া আমার দখলি স্বত্ব আপনার কাছে বিক্রি করলাম।” ১৯৯১ সালে আমি ইনসপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশন (আই.জি.আর) হিসাবে এটা লেখার জন্য তখন সর্বত্র প্রজ্ঞাপন জারি করি। আর পূর্বের নিয়ম “কস্য কবলা পত্র মিদং কার্যাঞ্চাগে” এটা লেখা বাতিল করে দেই। বর্তমানে দলিল লেখার সেই পদ্ধতি চালু আছে।  আল্লাহর অলী দেওয়ানবাগী হুজুর হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শ মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লা ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক ৮ খণ্ড বিশিষ্ট পবিত্র কুরআনের একখানা মহামূল্যবান তাফসীর প্রণয়ন করেছেন, যা অধ্যয়ন করলে মানুষ  আল্লাহর জাত-পাক ও সিফাত বা গুণাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত হতে পারবেন। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০২২, পৃষ্ঠা ৫)

বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল
বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) লক্ষ লক্ষ মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ক্বালবে আল্লাহ্ নামের জ্বিকির, নামাজে হুজুরি অর্থাৎ একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায় করা ও আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। মানুষ তাঁর সহবতে এসে আত্মশুদ্ধি অর্জন করে ইসলাম দরদি ও মানব প্রেমী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০২২, পৃষ্ঠা ৬)

বিচারপতি সৈয়দ মোঃ জিয়াউল করিম; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
মহান  আল্লাহর প্রেরিত এ শতাব্দীর মোজাদ্দেদ বা মহান সংস্কারক সুফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান স্বধর্মীদের অজ্ঞতা ও বিধর্মীদের চক্রান্তের ফলে ইসলামের নামে পবিত্র কুরআন ও হাদিস বিরোধী যেসব বিধান মুসলিম সমাজে প্রচলিত রয়েছে, উহা সংস্কার সাধন করেছেন।… মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী, যুগের শ্রেষ্ঠ ইমাম সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজান বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আশেকে রাসুল সৃষ্টি করে, আল্লাহ্ তায়ালার মহান দ্বিন জগতের বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন…। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০২২, পৃষ্ঠা ৭)

বিচারপতি আফজাল হোসেন আহমেদ; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
আমাদের এই বাংলাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) অলী-আল্লাহ্ হিসেবে প্রেরিত হয়ে মানুষকে আত্মশুদ্ধি, দিলজিন্দা, নামাজে হুজুরি ও আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি যে শিক্ষাগুলো দিয়েছেন, সেই শিক্ষাগুলো সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবি ও রাসুল ইমামুল মুরসালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) সাহাবায়ে আজমাইনদের দিয়েছিলেন,… উল্লিখিত শিক্ষাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সূফী সম্রাট হুজুর দেওয়ানবাগ শরীফসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দরবার শরীফ, খানকাহ শরীফ ও আশেকে রাসুল জাকের মজলিস প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ইসলাম ধর্মের ভেতর যে কুসংস্কার ও ভুল তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে, তার সংস্কার সাধনে নিরলস ভাবে চেষ্টা করে গেছেন। তিনি হযরত রাসুল (সা.)-এর শুভ জন্মদিন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)-এর গুরুত্ব তুলে ধরে একে সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ ঈদ ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.)-এর সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয় এবং বর্তমানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তাঁর বহু সংস্কার রাষ্ট্রীয়ভাবে গৃহীত হয়েছে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০২২, পৃষ্ঠা ১০)

বিচারপতি মোঃ ফারুক (এম. ফারুক); বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেব্লা বেলায়েতের যুগে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলী-আল্লাহ্ ছিলেন। তিনি ১৯৮৫ সালে দেওয়ানবাগ দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাহ্মাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর শান্তির ধর্ম বিশ্বময় প্রচার করে গেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে শতাধিক সংস্কার করেছেন। তাঁর বহু সংস্কার বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর করেছে, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের প্রস্তাবে যথাক্রমে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) পালনে সরকারি সিদ্ধান্ত, পবিত্র আশুরা  আল্লাহর অভিষেকের দিন হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে গৃহীত, রাষ্ট্রীয়ভাবে কাবাঘর ও রওজা শরীফের ছবি সংবলিত জায়নামাজ বর্জনে সচেতেনতা সৃষ্টিকরণ, রাষ্ট্রীয়ভাবে রবিবারের পরিবর্তে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা। তাঁর এই সংস্কারমূলক কার্যাবলির কারণে একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি তাঁকে নিয়ে গর্ব করি।


সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লার জীবনী থেকে জানা যায়, তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং রণাঙ্গনে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন। …তিনি পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে ‘তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী’ নামক ৮ খণ্ড তাফসীর শরীফ প্রণয়ন করেছেন। এই তাফসীর অধ্যয়নের মাধ্যমে মহান আল্লাহর সম্পর্কে সকলে জানার সুযোগ হবে। এই তাফসীর শরীফ অনবদ্য জীবন দর্শন। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০২২, পৃষ্ঠা ১১)


অধ্যাপক ড. এস,এম, নজরুল ইসলাম; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর তেমনই একজন মানুষ ছিলেন, যার ছোয়ায় অনেক সাধারণ মানুষ আলোর সন্ধান লাভ করেছে। তাঁর কুরআন-হাদিসের বিশ্লেষণ ও আধ্যাত্মিক সাধনা তাঁকে আদর্শ মোর্শেদ হিসাবে মানুষের কাছে পরিচিতি দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রশংসিত মহাপুরুষ। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০২২, পৃষ্ঠা ১২)


সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (রহ.) এমনই একজন মহাপুরুষ ছিলেন, যিনি আত্মজ্ঞান ও আত্ম আবিষ্কারের মাধ্যমে নতুন নতুন তথ্য উন্মোচন করেছেন, যা মানুষকে অনন্ত জীবন যাত্রায় পথ দেখিয়েছেন। সূফী সম্রাটের প্রতিটি উন্মোচন পবিত্র কুরআনের বাস্তব প্রতিফলন। মানুষ তাঁর সংস্পর্শে এসে ইসলামি জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনের অনুভূতি ও আধ্যাত্মিক জগতের সন্ধান পেয়েছেন। এখানেই তাঁর সাফল্য। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা ২০২১, পৃষ্ঠা ১৩)


বিচারপতি মোঃ আরায়েস উদ্দিন; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর তাঁদেরই একজন। স্বীয় সাধনা বলে তিনি আধ্যাত্মিক জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ মাকামে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর ইসলামের অনেকগুলো বিষয়ের উপর সংস্কার সাধন করেছেন। তিনি মানুষের মুক্তি ও কল্যাণের জন্য আত্মশুদ্ধি, ক্বালবে আল্লাহর জিকির জারি, নামাজে একাগ্রতা এবং আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা দিয়ে থাকেন। তাঁর কাছে এসে অসংখ্য মানুষ নানাবিধ বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পেয়ে থাকেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা.আ.) হুজুর অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন একজন উচ্চস্তরের অলী-আল্লাহ্। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০১৫)

বিচারপতি মোঃ আওলাদ আলি; প্রাক্তন বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্ট, সদস্য স্থায়ী সালিশী আদালত, হেগ, নেদারল্যান্ড
সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর একজন মোজাদ্দেদ বা সংস্কারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুফিবাদ প্রচার করে যাচ্ছেন। তিনি ইসলামের অনেকগুলো বিষয়ের উপর সংস্কার সাধন করেছেন। তাঁর চিন্তা এবং লেখনিতে সা¤প্রদায়িকতার লেশমাত্র নেই। তিনি মানুষকে আত্মশুদ্ধি, দিল জিন্দা, নামাজে একাগ্রতা অর্জন ও আশেকে রাসুল হওয়ার শিক্ষা দিচ্ছেন। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০২০, পৃষ্ঠা ৬)

প্রফেসর ড. মুঈনুদ্দীন আহমদ খান; প্রথম মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
দয়াল মোর্শেদ কেবলাজান! আপনি মানুষের ক্বালবে  আল্লাহর জ্বিকির জারি করে মুর্দা দিল জিন্দা করে দিচ্ছেন। নামাজের মধ্যে  আল্লাহর ধ্যান খেয়াল করার জন্য নামাজে হুজুরি অর্জনের পদ্ধতি শিক্ষা দিচ্ছেন। এছাড়া আত্মশুদ্ধি লাভের মাধ্যমে প্রকৃত মোমেন হওয়ার শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। এটা মানবজাতির জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। আমরা যেন সদা সর্বদা আপনার এই শিক্ষা গ্রহণ করে পূর্ণ মুমিন হতে পারি এবং সাধারণ মানুষকে যেন এই শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করতে পারি, মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদেরকে সেই তওফিক দান করেন।


ড. রাবিয়া ভঁ‚ইয়া; সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নারী ও পুরুষের স্ব স্ব অধিকার এবং সন্তানের প্রতি মায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর আগাধ পাণ্ডিত্য ও অসাধারণ রুহানি শক্তির ফলে মানুষের মাঝে নতুন জীবন লাভের শুভ চেতনার উদ্ভব হয়েছে। তাঁর এই মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০২০, পৃষ্ঠা ১৩)


বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর, বিশ্ব আশেকে রাসুল (সা.) সম্মেলন ও অন্যান্য প্রচার মাধ্যমে মানুষকে হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর আশেক বানানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হুজুরের আহ্বাবানে সারা দেশে মিলাদ মাহ্ফিলের আয়োজন করা হচ্ছে। মানুষ জানতে শিখেছে যে, রাসুল (সা.)-কে ভালোবাসলে আশেকে রাসুল বা রাসুল প্রেমিক হিসেবে তারা আল্লাহ্ তায়ালার রহমত ও বরকত লাভের সৌভাগ্য অর্জন করতে পারবে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা-২০১৮, পৃষ্ঠা ১০)


সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেব্লা শুধুমাত্র আল্লাহর পরিচয় প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হননি, তিনি মানুষকে  আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতিও শিক্ষা দেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি হযরত রাসুলে করিম (সা.)-এর সুউচ্চ মর্যাদা তুলে ধরে তাঁর নৈকট্য লাভেরও পদ্ধতি শিক্ষা দেন। অধিকন্তু ইসলাম ধর্ম যে বাস্তব জীবনে শান্তি এনে দিতে পারে, সেই শিক্ষা তিনি দিয়ে যাচ্ছেন। বস্তুত বিশ্বময় মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুসলিম জাতির হারানো গৌরব পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানে আবির্ভাব আল্লাহ্ তায়ালার খাছ রহমত। দেওয়ানবাগী হুজুরের সান্নিধ্যে আধ্যাত্মিক শিক্ষা লাভ করে বহু মানুষ বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০১৭, পৃষ্ঠা ১০)


বিচারপতি গৌর গোপাল সাহা; সভাপতি রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকা
সত্যিকার ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলনই মানুষকে দেখাতে পারে আলোর পথ। অল্পসংখ্যক আলোকিত মানুষের মধ্যে একজন হলেন সূফী সম্রাট সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী, উদার নৈতিক আধ্যাত্মিক উৎকর্ষের দ্বারা তিনি বিশ্বমানবের কল্যাণে অমুল্য অবদান রেখে চলেছেন।…সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের বহুমুখী প্রতিভা ও কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি ও মৈত্রী প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের কাহিনিও বিধৃত হবে। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০১৭, পৃষ্ঠা ৮)

বিচারপতি ফারুক আহমেদ; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ
আজ মুসলিম সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়- সর্বত্রই যেন অশান্তির আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলছে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুরকে এ জগতে প্রেরণ করেছেন। তিনি রাসুল (সা.)-এর আদর্শ জগতের বুকে তুলে ধরেছেন। যা গ্রহণ করে অসংখ্য মানুষ আশেকে রাসুল পরিণত হয়েছেন। (সূফী সম্রাট স্মরণিকা- ২০১১, পৃষ্ঠা)


উপসংহার
দেশ বরেণ্য বিজ্ঞজনের উল্লিখিত অভিমতগুলো সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.)-এর শুভজন্মদিন উপলক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত ‘সূফী সম্রাট’ স্মরণিকায় প্রকাশিত শুভেচ্ছা বাণী থেকে নেওয়া হয়েছে। বিশিষ্টজনরা ‘সূফী সম্রাট’ স্মরণিকায় ১৬ বছরের ১৬টি সংখ্যায় সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের শিক্ষা, আদর্শ, সংস্কার, ধর্মীয় ও মানবতাবাদী দর্শন, মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারে তাঁর অবদান এবং স্বদেশ প্রেমের অনুপম নিদর্শনের বিষয় উপস্থাপনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেন। তাদের বাণী থেকে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট প্রতীয়মান যে, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মোহাম্মদী ইসলামের যে সংস্কার সাধন করেছেন এবং সেই সাথে আত্মশুদ্ধি, দিলজিন্দা, নামাজে হুজুরি, আশেকে রাসুল হওয়া ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির যে মহান শিক্ষা তিনি মানবজাতিকে দিয়ে গেছেন, এজন্য জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানকে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করবে সারাটি জীবন। মহান আল্লাহর প্রিয় বন্ধু সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ৭৪তম শুভজন্মদিনে তাঁর মহাপবিত্র কদম মোবারকে জানাই লক্ষ কোটি সালাম ও কদমবুসি। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট