Cancel Preloader

সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের শুভ জন্মদিন উদযাপন: একটি পর্যালোচনা

ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা
আমার মহান মোর্শেদ মহান সংস্কারক মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান ১৯৪৯ সালের ১৪ ডিসেম্বর, বুধবার এই ধুলির ধরায় আগমন করেন। তাঁর গৌরবদীপ্ত জীবনী মোবারক গবেষণা করলে দেখা যায় যে, হযরত রাসুল (সা.)-এর সুমহান শিক্ষা ও আদর্শ সংবলিত চিরশান্তির ধর্ম বিশ্বময় প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে তিনি ১৯৮৫ সালের ১০ মহররম বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘দেওয়ানবাগ শরীফ’ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি ওফাত লাভের পূর্ব পর্যন্ত মোহাম্মদী ইসলাম বিশ্বময় প্রচারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জগৎশ্রেষ্ঠ এই মাহামানবের বর্ণাঢ্য জীবনে তিনি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সর্বমোট ১১টি দরবার শরীফ, ২ শতাধিক খানকাহ্ শরীফ এবং ৫ শতাধিক আশেকে রাসুল জাকের মজলিস প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচারের জন্য World Ashek-e-Rasul Organization প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর সুমহান প্রচেষ্টায় বিশ্বের অর্ধ শতাধিক দেশে মোহাম্মদী ইসলামের নবজাগরণ সূচিত হয় এবং অসংখ্য আশেকে রাসুল তৈরি হয়। তিনি ইসলাম ধর্মের প্রবিষ্ট কুসংস্কার দূর করে শতাধিক সংস্কার করেছেন, তন্মধ্যে বহু সংস্কার বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে কার্যকর করেন। তাঁর সংস্কারসমূহ দেশ ও বিদেশে বিপুল প্রশংসিত হয়। দেওয়ানবাগ শরীফ প্রতিষ্ঠার পর মাত্র ৩৫ বছরের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ-সহ বিশ্বে ৩ কোটির বেশি মুরিদ সন্তান তৈরি করেছেন। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে মানুষ আত্মশুদ্ধি লাভ করেছেন এবং আশেকে রাসুল হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। তাঁর দেওয়া মোহাম্মদী ইসলামের ওয়াজিফা আমল করে বহু আশেকে রাসুল স্বপ্ন, মোরাকাবায় ও মিলাদ শরীফে হযরত রাসুল (সা.)-এর দিদার লাভ করার খোশ নসিব অর্জন করেন। তাঁর গৌরবোজ্জ্বল জীবনে বহু অলৌকিক কারামত সংঘটিত হয়। তাঁর সহবতে এসে বিপদে পড়ে মহান আল্লাহর দয়া ও সাহায্য মানুষ পাননি, এমন একটি মানুষও পাওয়া যাবে না।


জগদ্বিখ্যাত এই মহান অলী-আল্লাহ বিশ্বের কোটি কোটি আশেকে রাসুল ও পরিবারবর্গকে শোক সাগরে ভাসিয়ে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর, সোমবার ভোর ৬টা ৪৮ মিনিটে ওফাত লাভ করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ওফাতের ঘটনাটি ছিল আকস্মিক। কেননা ওফাত লাভের ১২ দিন পূর্বে ১৬ ডিসেম্বর তাঁর ৭১তম শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে দেশ ও বিদেশের মোর্শেদ প্রেমিক আশেকে রাসুলেরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মহাধুমধামের সাথে জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করেছেন। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান সরাসরি জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি দেখেন। সেই অনুষ্ঠানটি আমার পরিকল্পনায় উদযাপিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত আঞ্চলিক দরবারসমূহের প্রতিনিধিগণ কীভাবে জন্মদিন অনুষ্ঠান পালন করেছেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেন। এছাড়া বিশ্বের ২৬টি দেশের ২৯ জন প্রতিনিধি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হন এবং তারা কীভাবে মহান মোর্শেদের শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করছেন, সেই বিষয়ে তাদের অভিমত ব্যক্ত করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ৭১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের মাঝে আনন্দ দেখতে পেয়েছি। আমার ৭১ বছর হয়ে গেছে, কখন যে পয়গাম আসে মহান আল্লাহই ভালো জানেন।” ৭১তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানের আলোচনায় সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান মহান আল্লাহর সাথে মহামিলনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু মোর্শেদ প্রেমিকগণ ভাবতে পারেননি এই ইঙ্গিতের মাত্র ১২ দিন পর সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান ওফাত লাভ করবেন। ২৮ ডিসেম্বর সোমবার ওফাত লাভের পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জানাযার নামাজের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করে মতিঝিলের কমলাপুরস্থ বাবে মদীনা, দেওয়ানবাগ শরীফে রওজাস্থ করা হয়।


২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ছিল সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ৭২তম শুভ জন্মদিন। বিগত বছরগুলোর মতো মোর্শেদ প্রেমিকদের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করে সরকারি ছুটির দিন ১৬ ডিসেম্বর সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের শুভ জন্মদিন দেশ ও বিদেশে উদযাপন করা হয়। মহান মোর্শেদের শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি পালন করা ছিল আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। কেননা ইতঃপূর্বে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের জীবদ্দশায় প্রতিটি শুভ জন্মদিন পালিত হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে আমার মহান মোর্শেদ জাহেরিতে আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু অলী-আল্লাহগণ অমর। হযরত রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, “আল্লাহর অলীগণ মৃত্যুবরণ করেন না, বরং তাঁরা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তরিত হন মাত্র।” (তাফসীরে কাবীর ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৮১) সুতরাং সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজান দারুল বাকায় তাশরিফ নিলেও তিনি রূহানিতে আমাদের মাঝে আছেন। আমরা কে, কী করছি, তিনি সবই রূহানিতে দেখেন। তাই আমার পরিকল্পনা ছিল দয়াল বাবাজানের ৭২তম শুভ জন্মদিন পূর্বাপেক্ষা আরো বেশি উৎসাহ-উদ্দীপনা ও মহাধুমধামের সাথে উদযাপন করার। তাই পরিকল্পনা আনুযায়ী ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে আমি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি। আমার পরামর্শ মোতাবেক মোর্শেদ প্রেমিকেরা বাসায় বাসায় মিলাদ শরীফের আয়োজন করেন, পিঠা উৎসবের সুব্যবস্থা করেন, বাড়িতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করেন, নতুন জামা ক্রয় করেন, বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে এলাকাবাসীর মাঝে গরুর মাংস বিক্রয় করেন, গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন, ব্যবসায়ী আশেকে রাসুলগণ ১৪ ডিসেম্বর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন ও কর্মচারীদের বোনাস প্রদান করেন ইত্যাদি। এভাবে আশেকে রাসুলগণ তাঁদের প্রাণপ্রিয় মোর্শেদের শুভ জন্মদিন উদযাপন করেন। সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে ২০০৭ সাল থেকে আমার সম্পাদনায় ‘সূফী সম্রাট’ নামক স্মরণিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালেও ‘সূফী সম্রাট’ স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। এই স্মরণিকায় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সম্মানিত বিচারপতি, শিক্ষাবিদ ও সুধিজন শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেন। এছাড়া সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের গৌরবদীপ্ত জীবনের নানাদিক উপস্থাপন করে প্রখ্যাত লেখকগণ বিভিন্ন প্রবন্ধ লেখেন। বিশ্বের ৩০টি দেশের মোর্শেদ প্রেমিকগণ এই স্মরণিকার মাধ্যমে মহান মোর্শেদের পবিত্র কদমে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন।


দেওয়ানবাগ শরীফের পক্ষ থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ইং বৃহস্পতিবার আমার পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয়ভাবে দেশ ও বিদেশের সকল আশেকে রাসুলকে সাথে নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ৭২তম শুভ জন্মদিন উদযাপন করা হয়। সকাল ৯.৩০ মিনিটে আশেকে রাসুল হযরত তরিকুল ইসলাম তারিফ-এর পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই বরকতময় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন আঞ্চলিক দরবার শরীফের প্রতিনিধিগণ কীভাবে জন্মদিন উদযাপন করছেন, তা ব্যক্ত করেন। বাবে মাগরিফরাত, চট্টগ্রাম থেকে আশেকে রাসুল মোহাম্মদ ইউসুফ; বাবে নেয়ামত, চুয়াডাঙ্গা থেকে আশেকে রাসুল হাই সিদ্দিক, বাবে জান্নাত, নারায়ণগঞ্জ থেকে আশেকে রাসুল ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান; বাবে নাজাত, রংপুর থেকে আশেকে রাসুল আব্দুর রাজ্জাক খন্দকার; বাবে বরকত, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ থেকে আশেকে রাসুল অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান; বাবে মোর্শেদ, বাহাদুরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আশেকে রাসুল এমদাদ হোসেন জন্মদিন উদযাপনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এই পর্বটি উপস্থাপনা করেন আশেকে রাসুল হযরত এমরান হোসাইন মাজহারী। আঞ্চলিক দরবার শরীফের প্রতিনিধিদের আলোচনাপর্ব শেষ হওয়ার পর বহির্বিশ্বের আশেকে রাসুলগণের আলোচনাপর্ব শুরু হয়। আশেকে রাসুল অ্যাডভোকেট শাহ শিবলী নোমানের উপস্থপনায় সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিগণ সরাসরি সংযুক্ত হয়ে তারা কীভাবে জন্মদিন উদযাপন করছেন, সেই বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেন। আলোচনা পর্বের ফাঁকে ফাঁকে আশেকে রাসুল শিল্পীবৃন্দ শানে মোর্শেদ পরিবেশন করেন। শিল্পীরা হচ্ছেন- আশেকে রাসুল ওয়ালীউল্লাহ মাস্টার, আশেকে রাসুল ফেরদৌস আলম আদনান, আশেকে রাসুল মাসুদ রানা, আশেকে রাসুল ইয়ামিন সরকার ও আশেকে রাসুল জসিম খান। এই পর্বটি উপস্থাপনা করেন আশেকে রাসুল তাক্বী মোহাম্মদ জোবায়ের। এছাড়া সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের জীবন দর্শন নিয়ে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন আশেকে রাসুল বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম ও আশেকে রাসুল অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান মিয়া।


মোর্শেদ প্রেমিকদের অভিমত, শানে মোর্শেদ ও আলোচনা শেষে আমি আমার ৩ ভাইকে সাথে নিয়ে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের রওজা শরীফ জিয়ারত করি। সেসময় দেশ ও বিদেশের অসংখ্য আশেকে রাসুল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের সাথে জিয়ারতে অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর শুভ জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত ‘সূফী সম্রাট’ স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এই পর্বটি শেষ হওয়ার পর আমি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁদপুর ও কুমিল্লায় ২টি খানকাহ শরীফ এবং ওমানের রাজধানী মাসকাটের বৌসারে ১টি আশেকে রাসুল জাকের মজলিস উদ্বোধন করি।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে জ্যেষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. নূর-এ-খোদা আল আজহারী (মা. আ.), কনিষ্ঠ সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. মঞ্জুর-এ-খোদা (মা. আ.) ও সেজো সাহেবজাদা ইমাম ড. সৈয়দ এ.এফ.এম. ফজল-এ-খোদা (মা. আ.) বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের গৌরবময় জীবনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। পরিশেষে আমার আলোচনা ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের ৭২তম শুভ জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।


এইভাবে দেশ ও বিদেশের আশেকে রাসুলদের সাথে নিয়ে আমরা আমাদের মহান মোর্শেদ সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের শুভ জন্মদিন যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উদ্যাপন করি। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এরশাদ হয়েছে, আর “তাঁর প্রতি শান্তি যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে, যেদিন সে ওফাত লাভ করে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।” (সূরা মারইয়াম ১৯: আয়াত ১৫) এই আয়াতের মাধ্যমে সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, মহান আল্লাহ্ প্রেরিত মহামানবের শুভ জন্ম, তিরোধান ও পুনরুত্থান দিবস মানবজাতির জন্য অবারিত শান্তি ও কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসে। সুতরাং মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বন্ধু সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের শুভ জন্মদিনের অসিলায় আমাদের জন্য তাঁর রহমতের দ্বার খুলে দেন, এই প্রার্থনা জানাই আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে। আমিন!


[লেখক: মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্ব প্রদানকারী ইমাম; পরিচালক, সমন্বয়ক ও সমস্যার ফয়সালাকারী, দেওয়ানবাগ শরীফ; প্রফেসর, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি]

সম্পর্কিত পোস্ট