মানবতার কবি শেখ সাদি (রহ.)
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান
পর্ব-০৪
শেখ সাদি (রহ.)-এর অমর কীর্তি ‘গুলিস্তান’
মরমী কবি শেখ সাদি (রহ.) সর্বদা মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তিনি মানব সমাজকে পরস্পর সৌহার্দ্যপূর্ণ ও শান্তিময় করার আদর্শ ও শিক্ষা পবিত্র কুরআন, হাদিস ও এলমে তাসাউফ থেকে চয়ন করে বিশ^ সাহিত্যে উপস্থাপন করেছেন। তখনকার দিনের সভাকবিদের মতো তিনি সাহিত্য চর্চা করেননি। তিনি পূর্ববতীর্ রাজা-বাদশাহদের জীবন চিত্র তুলে ধরেছেন নানা কাহিনির অবতারণা করে এবং এর মাধ্যমে বর্তমান শাসক শে্রণিকে ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করেছেন ও মন্দ কাজ হতে বিরত থাকার তাগিদ দিয়েছেন। সেজন্য পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন, “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে।” (সূরা আল ইমরান ৩ : আয়াত ১১০)
শেখ সাদি (রহ.)-এর অমর দুটি গ্রন্থের একটির নাম ‘গুলিস্তান’ অপরটি ‘বুস্তান’। ‘গুলিস্তান’ মানে ফুলের স্থান আর ‘বুস্তান’ মানে সুবাসের স্থান। ‘গুলিস্তান’ গদ্যের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা দিয়ে রচিত এবং ‘বুস্তান’ সম্পূর্ণটাই কাব্য।
এই পর্বে ‘গুলিস্তান’ গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করব। ‘গুলিস্তান’ রচিত হয় ১২৫৮ সালে। এটির খ্যাতির কারণ হলো এর অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য। ফুলকে সবাই ভালোবাসে। ফুলের বাগানে বিচরণ করলে কার না প্রাণ জুড়ায়! শেখ সাদির ‘গুলিস্তান’ও যেন ফুলবাগান। তিনি একে বেহেশতের বাগান বলেছেন। সেখানে নিত্য বসন্ত ফুলের সুরভি বিলায়। মানবসভ্যতার বসন্ত নিজেই সৌরভ আহরণ করে সাদির ‘গুলিস্তান’ হতে। গুলিস্তানের পরশে মানব বাগানে প্রস্ফুটিত হয় রঙ-বেরঙের ফুল। মানুষের মন হয় সুরভিত ও সুবাসিত।
আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় যে বাগান, তাতে ফুলের সমারোহ আসে বসন্তে। বছরে একবারের বেশি নয়। বসন্তের প্রস্থানে থাকে না ফুলের সেই সৌরভ, বাগানের জৌলুস। কিন্তু ‘গুলিস্তান’-এ হিকমত উপদেশ, বাক্যালংকার ও উপমার যে ফুলের জলসা সাজিয়ে রেখেছেন শেখ সাদি (রহ.), তাতে নিত্য বসন্ত বিরাজমান। এক মুহূর্তের জন্যও ম্রিয়মাণ হয় না। ‘গুলিস্তান’ পড়ে সজীব হয় মানুষের প্রাণ। পবিত্র আনন্দের শিহরণ আসে হৃদয়-মনে। কাজেই ‘গুলিস্তান’ অবারিতভাবে ফুলের সুষমা বিলিয়ে সমৃদ্ধ করেছে মানবসভ্যতাকে, সমৃদ্ধ করছে আমাদের প্রিয় বাংলাভাষাকেও। ‘গুলিস্তান’-এর এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের প্রতি শেখ সাদির নিজেরও সজাগ দৃষ্টি ছিল। তিনি এর ভূমিকায় বলেন-
‘বে ছে কা’র অ’য়াদাত যে গুল তাবাকী
আয্ গুলিস্তা’নে মান বেবার ওয়ারাকী।
গুল হামীন পাঞ্জ রুয ও শীশ বা’শাদ
ওয়ীন গুলিস্তা’ন হামীশে খোশ বা’শাদ।’
ভাবানুবাদ: তোমার কী কাজে আসবে ফুলের স্তবক
আমার গুলিস্তান হতে নাও একটি পল্লব।
ফুল তো থাকবে কেবল পাঁচ-ছয় দিন,
এই ফুলবন থাকবে প্রাণবান চিরদিন।
(গুলিস্তান থেকে)
‘গুলিস্তান’ শুরু হয়েছে আল্লাহ্ পাকের প্রশংসা দিয়ে। সৃষ্টিলোকের কোন নিয়ামতটির জন্য শেখ সাদি (রহ.) আল্লাহ্র প্রশংসা করে অন্তর জুড়াবেন! সেই কারণে তিনি অসংখ্য-অগণিত নিয়ামতের মধ্যে একটি ছোট্ট নিঃশ্বাসকে বেছে নিয়েছেন। যেন এর মাধ্যমে মানবজীবনের স্বরূপ ও সৃষ্টিরহস্য উদ্ঘাটিত হয় এবং প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ আল্লাহ্র কী পরিমাণ নিয়ামতে ভরপুর তারও তথ্য ভেসে আসে।
‘প্রতিটি শ্বাস যা ভেতরে প্রবেশ করে, আয়ু বাড়ায় আর যখন বেরিয়ে আসে, দেহমনে স্বস্তি আনে, আনন্দ দেয়। কাজেই প্রতি নিঃশ্বাসে দুটি নিয়ামত বিদ্যমান এবং প্রত্যেক নিয়ামতের জন্য একটি করে কৃতজ্ঞতা কর্তব্য।’ (গুলিস্তান, ভূমিকা)
প্রতি মুহূর্তে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস নেই। কিন্তু আমরা কি এত গভীরে গিয়ে চিন্তা করেছি, যেমনটি শেখ সাদি (রহ.) করেছেন। যুক্তির বিচারে প্রতিটি নিয়ামতের জন্য একটি করে শোকরিয়া-কৃতজ্ঞতা জানানো কর্তব্য। একদিকে আল্লাহ্র অপরিসীম নিয়ামতের স্বীকৃতি, অপরদিকে মানবজীবনের স্বরূপ ও খোদানির্ভরতার প্রতি প্রাজ্ঞ দৃষ্টিপাত।
নিয়ামত প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে অসংখ্যবার মহান আল্লাহ্ বলেন- “তবে তোমরা তোমাদের রবের কোন নিয়ামতকে (অনুগ্রহ) অস্বীকার করবে?” (সূরা আর রাহ্মান ৫৫: আয়াত ২১)
শেখ সাদি (রহ.) মহান আল্লাহ্র অপরিসীম নিয়ামত সম্পর্কে লিখেন-
‘আব্র ও বা’দ ও মা’হ ও খোরশীদ ও ফলক দরকা’র আন্দ
তা’ তো না’নী বেদাস্ত অ’রী ওয়া বেগফ্লাত ন খোরী।’
অথার্ৎ-মেঘ-বৃষ্টি, চাঁদ-সূর্য, আকাশ কর্মে নিয়োজিত
যেন রুটি রুজি হাতে পাও, না খাও অবহেলায়।
‘হামে আয বাহরে তো সার্গাশতে ও ফরমা’ন বরদা’র
শর্তে ইনসাফ ন বা’শদ কে তো ফরমা’ন ন বরী।’
অথার্ৎ-সবাই দিশেহারা তোমার সেবায়, ব্যস্ত আজ্ঞাবহ,
বড়ো বেইনসাফী হবে যদি তার আদেশ অমান্য করো। (গুলিস্তান, ভূমিকা)
মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা হচ্ছে সমস্ত সৃষ্টির সম্মিলিত প্রয়াসে। মানুষের খেদমতেই নিয়োজিত রেখেছেন আল্লাহ্ তাঁর সমস্ত সৃষ্টিকে। কাজেই অবহেলা-গাফিলতির মধ্যে যেন মানুষ ডুবে না যায়।
শেখ সাদি (রহ.) আট বেহেশতের সংখ্যা সামনে রেখে ‘গুলিস্তান’-কে ৮টি ‘বাব’ বা অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন। প্রথমে রয়েছে ভূমিকা। ফারসিতে বলা হয় ‘দীবাচা’। ভূমিকায় মহান আল্লাহ্ ও রাসুলে পাক (সা.)-এর উচ্চ প্রশংসা করা হয়েছে। তারপর ‘গুলিস্তান’ রচনার প্রেক্ষাপট বর্ণনাসহ অমূল্য উপদেশ সম্ভার রয়েছে।
এরপর প্রথম অধ্যায়ে আছে ‘রাজা-বাদশাহদের জীবনচরিত’। শেখ সাদি (রহ.) যে যুগের মানুষ সেই যুগে কাব্য ও সাহিত্যচর্চা বলতে বুঝাতো রাজা-বাদশাহদের স্তুতিগান ও চাটুকারিতা। শাসকদের বিরুদ্ধে ‘টু’ শব্দ করার অর্থ ছিল তরবারির সামনে গর্দানটা এগিয়ে দেওয়া। শেখ সাদি (রহ.) সেই যুগে তাঁর ক্ষুরধার লেখায় এক অভিনব পন্থায় রাজা-বাদশাহদের সমালোচনা ও সংশোধন করেন। তিনি পূর্ববর্তী রাজা-বাদশাহ্রা কী কী কারণে ধ্বংস ও পরাজিত হয়েছিলেন, এর সরস বর্ণনার পাশপাশি ন্যায়পরায়ণ বাদশাহদের প্রশংসা তুলে ধরেন। তারই মধ্য দিয়ে সমকালীন ও অনাগত শাসকদের সংশোধন হওয়ার সুযোগ করে দেন। একই সঙ্গে অধীনস্তদের ওপর জুলুমের করুণ পরিণতি এবং ন্যায়-ইনসাফকারীদের জীবনের সৌভাগ্য ও সুনাম-সুখ্যাতি বর্ণনায় গল্পের ছলে মোট ৪২টি উপমা দিয়েছেন এই অধ্যায়ে। মাঝে মাঝে উপদেশ নির্ভর কবিতার ব্যঞ্জনা রয়েছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে আছে ‘সুফি-দরবেশদের চরিত্র’ সম্বন্ধে। যারা সুফি-দরবেশ, দুনিয়াবিরাগী, লোভ-মোহ থেকে মুক্ত, পবিত্র জীবনের অধিকারী তাঁদের প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে ভণ্ড তাপসদের মুখোশ উন্মোচন করেছেন। তৃতীয় অধ্যায় ‘অল্পে তুষ্টির ফজিলত’ প্রসঙ্গে মানবজীবনে অল্পে তুষ্টির পথ দেখিয়েছেন। এরপর চতুর্থ অধ্যায় ‘নীরবতার সুফল’ প্রসঙ্গে কম কথা বলা, সময় মত বলা বা বাক্য সংযমের রীতিনীতির সরস বর্ণনা করা হয়েছে।
পঞ্চম অধ্যায়ে ‘প্রেম ও যৌবন’ প্রসঙ্গে আলোচিত হয়েছে। ২১টি উপমার সাহায্যে একটি কাহিনিসহ যৌবন তরঙ্গের নানা আপদ, চারিত্রিক বিচ্যুতির অপকারিতা প্রভৃতির হিকমতপূর্ণ আলোচনা রয়েছে। ষষ্ঠ অধ্যায় ‘দুর্বলতা ও বার্ধক্য’ সম্বন্ধে যৌবন ও বার্ধক্যের নানা অভিজ্ঞতার সরস উপদেশ উপস্থাপন করেছেন। সপ্তম অধ্যায় ‘শিক্ষা-দীক্ষার প্রভাব’ সম্পর্কে ১৯টি দৃষ্টান্ত ও একটি দীর্ঘ কথোপকথন স্থান পেয়েছে পদ্য ও গদ্যে। সর্বশেষ অষ্টম অধ্যায়ে ‘সহরত বা সাহচর্যের আদব ও শিষ্টাচার’ প্রসঙ্গে তাসাউফভিত্তিক বর্ণনা করেছে। গবেষকদের মতে এই অধ্যায়টি ‘গুলিস্তান’-এর সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী অংশ।
বাংলায় আমরা বলি ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।’ ফারসি সাহিত্যের আরেক দিকপাল মরমী কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, সুফিসাধক মাওলানা জালাল উদ্দিন রুমি (রহ.) বলেছেন,
‘সোহবতে সা’লেহ্ তোরা’ সা’লেহ কুনাদ
সোহবতে তা’লেহ্ তোরা’ তা’লেহ কুনাদ।’
অর্থাৎ-সৎ লোকের সাহচর্য তোমাকে সৎ বানাবে
মন্দের সাহচর্য তোমাকে হতভাগা করবে।
এই নীতিবাক্যটি বিশ্বের প্রত্যেক জাতির নিজস্ব ভাষায় থাকতে পারে, থাকবে। কিন্তু শেখ সাদি (রহ.) বিষয়টিকে যেভাবে পেশ করেছেন, তা অতুলনীয়। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের একটি কবিতা স্কুল জীবনে পড়েছিলাম। কবিতাটির কয়েকটি ছত্র নিম্নরূপ-
একদা সœান আগারে পশিয়া
হেরিনু মাটির ঢেলা।
হাতে নিয়ে তারে শুকিয়া দেখিনু
রয়েছে সুবাস মেলা।
কহিনু তাহারে কস্তুরি তুমি,
তুমি কি আতর দান?
তোমার গায়েতে সুবাস ভরা
তুমি কি গুলিস্তান।
এই কবিতার মূল রচয়িতা হচ্ছে শেখ সাদি (রহ.) এবং বাংলা ভাষ্যটি এর অনুবাদ। শেখ সাদি (রহ.)-এর ‘গুলিস্তান’-এর ভূমিকার এই কবিতাটিই সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত অনুবাদ করেছেন। সাড়ে ৭শ’ বছর আগের লেখা শেখ সাদি (রহ.)-এর এই কবিতা এখনো কত আধুনিক ও প্রাণবন্ত! নিম্নে কবিতাটি গুলিস্তান গ্রন্থ হতে চয়ন করা হয়েছে-
‘একদা হাম্মামে একটি সুগন্ধ ঢেলা
এক বন্ধুর হাত হয়ে আসলো আমার হাতে।’
বললাম তাকে, তুমি কি মেশক নাকি আম্বর?
তোমার প্রাণস্পর্শী সুবাসে মাতাল হলো অন্তর?
বলল, আমি ছিলাম অতি তুচ্ছ কাদামাটি
তবে কিছুকাল কাটিয়েছি হয়ে ফুলের সাথি।
আপন সাথির পূর্ণতার গুণে আমি প্রভাবিত
নচেৎ আমি তো সেই মাটি, এখনো পতিত। (গুলিস্তান, ভূমিকা)
সত্যিই জীবনকে সুন্দর, সার্থক, সুবাসিত করতে হলে ফুলের মতো সুন্দর যাঁদের জীবন তাঁদের সাহচর্য অতীব জরুরি। কবি শেখ সাদি (রহ.) সহবতের প্রয়োজনীয়তা বলতে সুফি সাধক আল্লাহ্ ওয়ালা লোকদের সাহচর্যের কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন- “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং তাঁর নৈকট্য লাভের অসিলা অেন্্বষণ করো।” (সূরা আল মায়িদাহ ৫: আয়াত ৩৫) অন্যত্র বলেন- “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের অন্তভূর্ক্ত হও।” (সূরা আত তাওবাহ ৯: আয়াত ১১৯) এখানে সাদিকিন বলতে সত্যবাদী, আল্লাহ্ তত্ত্ব জ্ঞানের আলেম, সুফি সাধক, অলী-আল্লাহ্দেরকে বুঝানো হয়েছে। তাই মহামানবদের সহবতে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই হাকিকতে ইনসান তথা পরিপূর্ণ মানবে পরিণত হতে পারবো এবং ফুলের মতো গন্ধ ছডানো সম্ভব।
মহান সংস্কারক, মোহাম্মদী ইসলামের পুনজীর্বনদানকারী, যুগের ইমাম, আম্বিয়ায়ে কেরামের ধর্মের দায়িত্ব ও বেলায়েতলাভকারী, আল্লাহ্র দেওয়া পুরস্কার: পূর্ণিমার চাঁদে বাবা দেওয়ানবাগীর জীবন্ত প্রতিচ্ছবি সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান ওফাতকালে অছিয়তনামা প্রদান করেন। সেই অছিয়তনামায় তিনি বলেছেন- “এই তরিকা আমার সাজানো বাগান।”
উল্লিখিত অছিয়ত থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেব্লাজান মোহাম্মদী ইসলামের আদর্শে যারা আদর্শবান আশেকে রাসুল সত্যিকার অর্থে তারাই শেখ সাদির ‘গুলিস্তান’-এর ফুলের মতো এবং মোহাম্মদী ইসলাম হচ্ছে সূফী সম্রাট হুজুর কেব্লাজানের সারা জীবনের পরিশ্রমের ফসল এই গুলিস্তান বা সাজানো ফুলবাগান। মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে তৌফিক দান করুক আমরা যেন এই সাজানো বাগানের ফুল হয়ে নিজের ভিতরে গুণ সৃষ্টি করত বিশ্বের বুকে সুবাস ছড়াতে পারি। (চলবে)
তথ্য সূত্র:
১। হযরত শেখ সাদি (রহ.), গুলিস্তান, ফারসি ও বাংলা অনুবাদ
২। ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, ফুলের সুবাবে চির-অম্লান শেখ সা’দীর ‘গুলিস্তান’, নিউজ লেটার, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস ঢাকা থেকে প্রকাশিত, ৩৮তম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, মার্চ-এপ্রিল, ২০১৬, পৃষ্ঠা ৮
৩। ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, মানবতার কবি শেখ সা‘দী, নিউজ লেটার, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাস ঢাকা থেকে প্রকাশিত, ৩৯তম বর্ষ, ২য় সংখ্যা, মাচ-এপ্রিল, ২০১৭, পৃষ্ঠা ৩৭
[লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক]