জ্ঞানীগুণী বিজ্ঞজনদের দৃষ্টিতে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী
ড. সৈয়দ মেহেদী হাসান:
জগতে যখনই মানুষ অধর্ম এবং পাপাচারে লিপ্ত হয়ে জগৎ ও জীবনকে দুর্বিসহ করে তোলে তখনই মহান আল্লাহ্ মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য মহামানবদেরকে তথা নবি-রাসুল, অলী-আল্লাহ্, সুফি সাধকদের পাঠিয়ে থাকেন। তাঁদের প্রেম দর্শন এবং ঐশী গ্রন্থ অনুসরণের ফলে মানুষ আত্মিকভাবে উন্বতি সাধন করে আত্মদর্শন তথা নিজেকে জানার (Know Thyself) মাধ্যমে পাপ কাজ থেকে বিরত হয়ে পশুত্ব চরিত্রের অবসান ঘটিয়ে অলীত্বের গুণাবলি অর্জন করে মহান আল্লাহর সাথে বিলীন হতে সক্ষম হয়।
আজ সারাবিশ্বে সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের ঐক্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির দর্শন প্রচারিত হচ্ছে। তাঁর বিশ্বখ্যাত আধ্যাত্ম প্রতিষ্ঠান ‘দেওয়ানবাগ শরীফ’ থেকে এই ঐশী দর্শন বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষও যুক্ত হয়েছে। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে সূফী সম্রাট তাঁর প্রেম দর্শন তথা এলমে তাসাউফের মাধ্যমে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। তাঁর ঐশী দর্শন বিশ্বের শতাধিক দেশে প্রচারিত হচ্ছে।
আজকে বিশ্বের অনেক দেশে ধর্মে ধর্মে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ বাড়ছে। কিন্তু সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের ঐশী দর্শনে তা নেই। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ আজ ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এই দর্শনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।
মহান আল্লাহ্ দয়া করে এই বাংলায় বর্তমান একবিংশ শতাব্দীর শিরোভাগে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানকে ধর্মকে সজীব ও সতেজ করে তোলার জন্য বাংলাদেশে প্রেরণ করেছেন। ‘মোজাদ্দেদ’ হিসেবে তাঁর বহু সংস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে।
মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের গৌরবময় জীবন দর্শন ও বিভিন্ন অমূল্য গ্রন্থসমূহে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রফেসর-সহ বিশ্বের বহুসংখ্যক মনীষী ও পণ্ডিতগণ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো-
অ্যাডভোকেট শেখ আনোয়ার আলী, সিনিয়র আইনজীবী, কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখ আনোয়ার আলী বলেন, “সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান সমগ্র বিশ্বের জন্য আলোকবর্তিকা। আজ এই মহামানবের আদর্শ ও শিক্ষা শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত-সহ সমগ্র বিশ্বের মানুষ দলে দলে গ্রহণ করছে। আমি তাকে জানাই আন্তরিক সশ্রদ্ধ সালাম।”
ভারতের কলকাতায় খিদিরপুরে যখন দেওয়ানবাগ শরীফের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতো বিশ্ব সূফী সম্মেলন, তখন কলকাতায় এই সম্মেলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবি অ্যাডভোকেট শেখ আনোয়ার আলী। তিনি মানুষের কাছে মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর কেবলাজানের মাহাত্ম্য নিয়ে আলোচনা করতেন। সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ও আস্থা ছিল। তিনি সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের নির্দেশিত কলকাতার সম্মেলন সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য অত্যন্ত তৎপর থাকতেন। তিনি সূফী সম্রাটের পরিচিতি কলকাতার মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
বিচারপতি ফারুক আহমেদ, হাইকোর্ট বিভাগ
বিচারপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। বর্তমান এই ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পৃথিবীর মানুষ শান্তির অকাঙ্ক্ষায় ব্যতিব্যস্ত। কিন্তু শান্তির পথ যেন কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না। মহান স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালা শান্তির দূত হিসেবে হযরত রাসুল (সা.)-কে জগতে প্রেরণ করেছেন। তিনি বিশ্বের বুকে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কিন্তু আজ মুসলিম সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায়- সর্বত্রই যেন অশান্তির আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলছে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর মহান বন্ধু সূফী সম্রাট হযরত মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুরকে এ জগতে প্রেরণ করেছেন। তিনি রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শ জগতের বুকে তুলে ধরেছেন, যা গ্রহণ করে অসংখ্য মানুষ আশেকে রাসুলে পরিণত হয়েছেন।
মেজর জেনারেল (অব.) এম. আজিজুর রহমান বীর উত্তম
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একজন সহযোদ্ধা হিসেবে দেখেছি, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সর্বোপরি একজন ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব। এদেশের আলেম সমাজ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছেন, তখন তিনি দেশ ও জাতিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য সহপাঠীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমার জানা মতে হয়তো তিনিই একমাত্র আলেম বীর মুক্তিযোদ্ধা, যিনি ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধকে সমুন্বত রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুর সব সময়ই শান্তির পক্ষে ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে যেমন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন, তেমনি স্বাধীনতা লাভের পর হতে এখন পর্যন্ত তিনি মানুষের ব্যক্তি জীবনে ও জাতীয় জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট রয়েছেন।
মানবতাবাদী এই মহামানবের অসাধারণ চারিত্রিক গুণাবলিকে এক কথায় অনবদ্য বলা যায়। আমি বীর মুক্তিযুদ্ধা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী হুজুরের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
ডা. শাকিল আকতার, কলকাতা পিজি হাসপাতাল, ভারত
ভারতের কলকাতা পিজি হাসপাতালের প্রথিতযশা চিকিৎসক ডা. শাকিল আকতার বলেন, “মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান একজন মহান সুফি সাধক। যাঁর সুফিবাদ শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ মহান আল্ল্হা ও হযরত রাসুল (সা.)-এর নৈকট্য লাভ করতে সক্ষম হচ্ছেন। এই মহামানবকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।”
ভারতের কলকাতায় সুফিবাদ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শ তথা মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব কলকাতা পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাকিল আকতার। তিনি সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজনের প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তি প্রদর্শন করে মানুষকে সূফী সম্রাটের শিক্ষা ও সংস্কারের আলোচনা করতেন। তিনি মহান অলী সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
প্রফেসর ড. আফরাউজ জামান খান চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. আফরাউজ জামান খান চৌধুরী বলেন, মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজান কঠোর সাধনা করে গবেষণার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের প্রামাণ্য দলিল দিয়ে আল্লাহর সঠিক পরিচয় আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন।
আল্লাহ্ তায়ালার পরিচয় জানার জন্য নবি-রাসুল ও আওলিয়ায়ে কেরাম গভীর সাধনায় আত্মনিয়োগ করেছেন। তাদের সেই কঠোর সাধনার এক পর্যায়ে তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন এক ও অদ্বিতীয় সত্তার অধিকারী আল্লাহ্ তায়ালাকে। সুফিবাদের সাধনার পথ ধরেই আওলিয়ায়ে কেরাম আল্লাহ্ তায়ালার পরিচয় পেয়ে তাঁর নৈকট্য লাভ করে ধন্য হয়েছেন, কিন্তু মহান আল্লাহর সথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণেই মুসলমানদের মাঝে হযরত রাসুল (সা.)-এর আদর্শ বিরোধী ধারণা সৃষ্টি হযেছে। আল্লাহ্ তায়ালার রহমত ও হযরত রাসুল (সা.)-এর বরকত হতে বঞ্চিত মুসলিম জাতির জন্য হযরত রাসুল (সা.)-এর সঠিক ধর্ম জগতে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য দয়াল বাবাজানকে আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের নিকট প্রেরণ করেছেন। ইসলামের নামে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের পরিপন্থি বিষয়গুলো চিহ্নিত করে প্রকৃত ইসলাম প্রতিষ্ঠায় তিনি সচেষ্ট রয়েছেন। রাব্বুল আলামিনের অসীম করুণায় আমরা সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর কেবলাজানের ন্যায় উচ্চস্তরের একজন অলীকে মুর্শেদরূপে লাভ করেছি। বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে অগণিত গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল অবদান রেখে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আল্লাহ্ তায়ালার প্রেরিত এ শতাব্দীর মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (মা. আ.) হুজুর স্বধর্মীদের অজ্ঞতা ও বিধর্মীদের চক্রান্তের ফলে ইসলামের নামে পবিত্র কুরআন ও হাদিস বহির্ভূত যে সব বিধান মুসলিম সমাজে প্রচলিত রয়েছে, তার সংস্কার সাধন করে চলেছেন। দয়াল বাবাজান মোহাম্মদী ইসলামকে বিশ্বব্যাপী প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ঘরে ঘরে আশেকে রাসুল সৃষ্টি করে আল্লাহ্ তায়ালার মহান ধর্ম জগতের বুকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে মানুষ একদিকে যেমন জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রসর হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের নৈতিক চরিত্রের অবনতি হচ্ছে। নৈতিক অবক্ষয় রোধে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মোহাম্মদী ইসলামের শিক্ষা সকলের মাঝে চালু করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে মানুষ উপলব্ধি করতে পারবে যে, ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলমান মানে সন্ত্রাসী ও বিশৃঙ্খলাকারী নয়।
অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী, সিনিয়র এডভোকেট, কলকাতা হাইকোর্ট, ভারত
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা, কলকাতা হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী বলেন, “মহান সংস্কারক সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান মানুষকে আত্মশুদ্ধির শিক্ষা দিয়ে থাকেন। ওনার শিক্ষা গ্রহণ করলে একজন মানুষ সত্যিকার ইনসানে কামেল হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন। যার মাধ্যমে একটি সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়ণ ঘটে। বাবা দেওয়ানবাগী বলেন, আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি শুদ্ধ হয় এবং ব্যক্তি শুদ্ধির মাধ্যমে সমাজ শুদ্ধ হয়। এভাবে রাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিকভাবে শুদ্ধতা বিরাজ করে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা লাভ করে “
কলকাতার খিদিরপুরে যখনই দেওয়ানবাগ শরীফের উদ্যোগে বিশ্ব সূফী সম্মেলনের আয়োজন করা হতো, তখন অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন। ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল দূরদর্শনে দেওয়ানবাগের বিশ্ব সূফী সম্মেলনের নিউজ কাভারেজ করতো। অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানের ভূয়সী প্রশংসা করতেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম আমিন আহমেদ
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম আমিন আহমেদ বলেন, আমি ধন্য যে, সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগীর বাংলাদেশ হলো আমার প্রিয় মাতৃভূমি, কিন্তু বিশেষভাবে আমি চিরধন্য যে, সূফী সম্রাটের মতো ক্ষণজন্মা মহাপুরুষকে জীবনে একটি বারের জন্য হলেও দুই নয়ন ভরে দেখতে পেয়েছি এবং তাঁর কদম মোবারক স্পর্শ করতে পেরেছি। এই অভিব্যক্তি প্রকাশের মূল কারণ হলো সুদূর আকাশের পূর্ণিমার চাঁদ জুড়ে সূফী সম্রাট দয়াল বাবাজানের নুরানি চেহারা মোবারক দেখার দুর্লভ খোশ নসিব অধম লাভ করেছি। সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে ইহা সৃষ্টির ইতিহাসে একমাত্র বিরলতম ঘটনা। কিন্তু আশ্চর্য বিগত ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর আমার ন্যায় বিশ্বের সকল ধর্মের কোটি কোটি নারী পুরুষ ঐ চাঁদে সূফী সম্রাটকে দেখার দুর্লভ গৌরব অর্জন করেছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই ঘটনার মাধ্যমে মাহকৌশলী আল্লাহ্পাক জগদ্বাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আকাশের চাঁদ যেমন সত্য এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য এই একটি চাঁদই রাতের আঁধার দূর করতে সক্ষম, তেমনি পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষের জন্য সূফী সম্রাটই একমাত্র মোর্শেদ যার প্রচারিত ‘মোহাম্মদী ইসলাম’-এর আলোতে সকল ধর্মের মানুষের হৃদয়ের অন্ধকার দূর হয়ে পৃথিবীময় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এই প্রকাশ্য নিদর্শন স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত রাসুল (সা.)-কে যাঁর শাহাদত অঙ্গুলির ইশারায় আকাশের চাঁদ দুই টুকরো হয়ে অনেক নীচে নেমে এসেছিল।
দুই দুটি ঘটনার সমন্বয় করলে যে মহাসত্য উন্মোচিত হয়, তা হলো: কারবালায় হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর মর্মান্তিক শাহাদতের ১৪০০ বছর পর বেলায়েতের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম মহামানব সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই একমাত্র মহাপুরুষ, যিনি হযরত রাসুল (সা.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মোহাম্মদী ইসলামকে পুনর্জীবন দান করেছেন। কারণ বিশ্বময় প্রচারিত অসংখ্য মাযহাব হলো রূহ ছাড়া দেহ আবার অসংখ্য তরিকা হলে দেহ ছাড়া রূহ। সুতরাং পৃথকভাবে মাযহাব বা তরিকা কোনোটাই দেহ ও রূহ সমম্বয়ে পরিপূর্ণ মোহাম্মদী ইসলাম নয়। একমাত্র সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজানই প্রচার করেছেন- ‘মোহাম্মদী ইসলাম’ যা কোনো তরিকাও নয়, কোনো মাজহাবও নয়। ইহাই ২৩ বছর রাসুল (সা.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত চারিত্রিক বা মোহাম্মদী ইসলাম এর পরিপূর্ণরূপ। মূলত এই রহস্যময় কারণেই বিশ্বের বুকে একমাত্র সূফী সম্রাটের অনুসারীরাই আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর কাছে ‘আশেকে রাসুল’-এর শ্রেষ্ঠ মর্তবা পেয়ে ধন্য হচ্ছে।
সূফী সম্রাট লক্ষ লক্ষ মানুষকে আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভে সহায়তা করে যাচ্ছেন এবং তাঁর পরবর্তীতে কোনো পির ব্যবস্থা কায়েম থাকবে না। তিনি ইমামতের ধারা প্রবর্তন করেছেন, যা খোলাফায়ে রাশেদিনের ন্যায় আবার বিশ্বাজুড়ে মূল মোহাম্মদী ইসলামের প্রচারে ও প্রসারে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখবে- যা সত্যিকার অর্থে বর্তমান সময়ের মুসলিম বিশ্বের জন্য একান্ত অপরিহার্য।
কারণ নিরপেক্ষভাবে বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতির দিকে পর্যবেক্ষণ করলে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্বজুড়ে মুসলিম জাতি এক চরম দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে। এলমুল ক্বালব তথা রাসুল (সা.)-এর মোহাম্মদী ইসলাম ছেড়ে দেওয়ার কারণে বিশ্ব মুসলমান আজ রাসুল (সা.)-এর প্রেম হারিয়ে জীবনের সর্বক্ষেত্রেই রহমত নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে মুসলিম জাতি বিধর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছে। মনে হচ্ছে মুসলমান জাতির কোনো অভিভাবকই নেই।
এরূপ পরিস্থিতিতে চাঁদে সূফী সম্রাটের দর্শন দ্বারা পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হলো যে, সূফী সম্রাট বর্তমান বিশ্বের একমাত্র কাণ্ডারী। তাই প্রিয় মুসলিম বিশ্বের ভাই ও বোনেরা, আমাদের আজ সময় হয়েছে অপরিহার্যভাবেই সূফী সম্রাটের এই উদাত্ত আহ্বান শ্রবণ করা- ‘আসুন আমরা আশেকে রাসুল হয়ে উত্তম চরিত্রবান হওয়ার দ্বারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হই’।
আমাদের আরও মনে রাখতে হবে যে, যুগে যুগে মহামানবদের আবির্ভাব হয়েছে সাধারণ মানুষকে সঠিক পথ দেখানোর জন্য এবং যাঁরা সেই সঠিক পথের আলো দেখতে পেয়েছেন, তাদের জীবনই ধন্য হয়েছে এবং পরম করুণাময় আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য লাভে সার্থক হয়েছে।
দয়াময় প্রভু এই পৃথিবীর মানুষের জন্যই সকল কিছুই সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু অজ্ঞতা ও রিপুর তাড়নায় আমরা আমাদের পৃথিবীকে অনিরাপদ স্থানে পরিণত করেছি। একমাত্র মহামানবগণের ঐশী দর্শন অনুসরণের মাধ্যমেই এ জগতকে সুন্দর ও শান্তিময় করে গড়ে তোলা সম্ভব, যা সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান সম্পর্কে বিভিন্ন মনীষীদের মূল্যবান বাণী থেকে প্রতিফলিত হয়েছে।
[লেখক: প্রাবন্ধিক ও গবেষক]