Cancel Preloader

নায়েবে রাসুল: ক্বালবে নুরে মোহাম্মদী ধারণকারী মহামানব


মো. আবদুল কাদের

পরম করুণাময় আল্লাহ্ সৃষ্টির শুরু থেকেই পথভোলা মানুষদেরকে আলোর পথে তুলে আনার জন্য যুগে যুগে মহামানব প্রেরণ করে আসছেন। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেন, “আমি যাদের সৃষ্টি করেছি তাদের মধ্যে এমন একদল আছে, যাঁরা সত্য পথ দেখায় এবং সেই অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে।” (সূরা আরাফ ৭: আয়াত ১৮১) এই সম্প্রদায়ই মহান আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে হেদায়েতের বাণী নিয়ে জগতে এসে পথভোলা মানুষদেরকে আলোর পথে তুলে আনছেন। তাঁদেরকে নবুয়তের যুগে নবি-রাসুল বলা হতো, বর্তমান বেলায়েতের যুগে নায়েবে রাসুল তথা অলী-আল্লাহ্ বলা হয়।


নায়েবে রাসুল বলতে রাসুলের উত্তরাধিকারী, রাসুলের প্রতিনিধি, রাসুলের স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তিকে বুঝায়। হাদিস শরীফে আল্লাহর রাসুল (স.) ফরমান- “আল‘উলামাউ ওয়ারাছাতুল আনবিইয়াই।” অর্থাৎ- “(আল্লাহ্তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী) আলেমগণ নবিদের ওয়ারিস তথা উত্তরাধিকারী।” (আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ ও দারেমী শরীফের সূত্রে মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ৩৪) নবিগণ যে এলেম দুনিয়াতে রেখে গেছেন, তা দুই ভাগে বিভক্ত। যথা- মারেফাত এবং শরিয়ত। যে ব্যক্তি এই দুই প্রকার এলেম বা বিদ্যার অধিকারী, তিনিই ওয়ারসাতুল আম্বিয়া বা নায়েবে রাসুল। এরূপ ব্যক্তির আনুগত্য করা ইসলামি শরিয়তে আবশ্যক করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ্ বলেন- “হে মু’মিনগণ! তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর, আনুগত্য করো রাসুলের এবং আনুগত্য করো তাঁদের, তোমাদের মধ্যে যাঁরা (আল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে) ফয়সালা দিতে পারেন।” (সূরা-আন নিসা ৪, আয়াত ৫৯) প্রকৃতপক্ষে নবুয়ত পরবর্তী বেলায়েতের যুগে মানবজাতিকে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের পথপ্রদর্শন কেবল তাঁদের দ্বারাই সম্ভব, যাঁরা শরিয়ত ও মারেফাত উভয় বিদ্যায় বিদ্বান ও আমলকারী।


আমিরুল মু’মিনিন খলিফাতুল মুসলেমিন, মাজহাবের ইমামগণ, তরিকার ইমামগণ প্রত্যেকেই ছিলেন নায়েবে রাসুল এবং তরিকতের ইমামগণের সিলসিলার অলী-আল্লাহ্গণও নায়েবে রাসুল। নবি-রাসুলগণ প্রত্যেকেই সাধনা করে মহান আল্লাহর সাথে রূহানিভাবে যোগাযোগ করে আল্লাহর প্রতিনিধি তথা নবি-রাসুল হয়েছেন এবং সমকালীন যুগের মানুষদেরকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত রাসুল (সা.)-ও দীর্ঘ পনের বছর হেরা পর্বতের গুহায় নির্জনে ধ্যান সাধনা করে মহান আল্লাহর পক্ষ হতে ঐশি জ্ঞান লাভ করেছিলেন। তিনি আল্লাহর সাথে মিশে একাকার হয়ে, আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি হয়ে সারা বিশ্বের মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁর সহবত ছাড়া মুক্তি হবে না বলেই মহান আল্লাহ্ এরশাদ করেছেন, “হে রাসুল (সা.)! যারা আপনার হাতে হাত রেখে বায়াত হয়েছে তারাইতো আল্লাহর হাতে হাত রেখে বায়াত হয়েছে। তাদের হাতের উপর আল্লাহর হাত রয়েছে।” (সূরা ফাতহ্ ৪৮:আয়াত ১০)


মহান আল্লাহ্ অন্যত্র বলেছেন, “হে রাসুল (সা.)! আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহ্কে ভালোবাসতে চাও তবে আমাকে ভালোবাস এবং আমার আনুগত্য করো, তাহলে আল্লাহ্ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” (সূরা আলে ইমরান ৩: আয়াত ৩১) এ সংক্রান্ত আরও অনেক আয়াত নাজিল হয়েছে। বর্তমান বেলায়েতের যুগে যারা সাধনা করে আল্লাহ্ প্রদত্ত ঐশি জ্ঞান লাভ করেছেন অর্থাৎ হৃদয়ে নুরে মোহাম্মদী ধারণ করেছেন, তাঁরাই নায়েবে রাসুল তথা অলী-আল্লাহ্। সন্তান যেমন পিতার ওয়ারিশ হয়ে পিতার রেখে যাওয়া যাবতীয় সম্পদের মালিক হয়ে পিতার অনুরূপ দায়িত্ব পালন করে, তেমনি নায়েবে রাসুলগণও রাসুলের অমূল্য সম্পদ নুরে মোহাম্মদী ধারণ করে মানুষকে রাসুলের অনুরূপ শিক্ষা দেবেন তথা আলোর পথ দেখাবেন এটাইতো স্বাভাবিক। অতএব তাঁরাও আল্লাহ্ ও রাসুলের প্রতিনিধি হয়ে রাসুলের অনুরূপ দায়িত্বই পালন করছেন অর্থাৎ মানুষকে আলোর পথ দেখাচ্ছেন। মোর্শেদ তথা নায়েবে রাসুলের সহবত সম্বন্ধে দয়াল রাসুল (সা.) বলেন, “আমার উম্মতের আলেমগণ (আল্লাহ্তত্ত্বের জ্ঞানে জ্ঞানী) বনি ইসরাইলের নবিদের মতো।” (তাফসীরে রূহুল বয়ান ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৪৮) কাজেই তাঁদের হাতে বায়াত হলেও আল্লাহর হাতে হাত রাখা হবে। তাঁদেরকে ভালোবাসলেও আল্লাহ্ ও রাসুলকে ভালোবাসা হবে। তাঁদের আনুগত্য করলে আল্লাহ্ ও রাসুলের আনুগত্য করা হবে এবং আল্লাহ্ও আমাদের ভালবাসবেন এবং আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ্ যদি আমাদের ভালোবাসেন এবং আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেন, তাতেই আমাদের মুক্তি।


নায়েবে রাসুলগণ আল্লাহর সাথে মিশে একাকার হয়ে আছেন এ সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ বলেন, “আমার বান্দা নফল ইবাদত দ্বারা আমার এত নিকটবর্তী হয়ে যায়, আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি; আর যখন আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি, তখন আমি তার কর্ণ হয়ে যাই, যে কর্ণ দ্বারা সে শোনে; চক্ষু হয়ে যাই; যে চক্ষু দ্বারা সে দেখে; হাত হয়ে যাই, যে হাত দ্বারা সে ধরে; পা হয়ে যাই; যে পা দ্বারা সে হাঁটে; কোনো বিষয়ে প্রার্থনা করা মাত্র, আমি অবশ্যই তা দান করে থাকি এবং কোনো বিষয়ে আশ্রয় চাওয়া মাত্র, আমি অবশ্যই তাকে আশ্রয় দিয়ে থাকি।” (বোখারি শরীফ ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৯৬৩; মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা ১৯৭; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ১০নং খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯৮ এবং তাফসীরে মাজহারী ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ৫৮)
এ ধরনের ব্যক্তি নিজের আমিত্ব বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর হয়ে গেছেন। ঐ ব্যক্তিই নায়েবে রাসুল, ঐ ব্যক্তিই আল্লাহর প্রতিনিধি। তাঁর কথাই আল্লাহর কথা, তাঁর কাজই আল্লাহর কাজ, তাঁর সিদ্ধান্তই আল্লাহর সিদ্ধান্ত। সমস্ত সৃষ্টিকুল তাঁর হুকুম পালন করে। তাইতো দয়াল রাসুল (সা.) বলেন, মাল্লাহুল মাওলা ফালাহুল কুল। অর্থাৎ যে মাওলার হয়ে যায় সমস্ত্র সৃষ্টিকুল তাঁর হুকুমের গোলাম হয়ে যায়।
হযরত রাসুল (সা.)-এর যেমন অলৌকিক মু‘জিজা ছিল, তেমনি তাঁর উত্তরসূরি নায়েবে রাসুল তথা অলী-আল্লাহ্গণেরও অলৌকিক কারামত আছে। হযরত রাসুল (সা.) তাঁর শাহাদত অঙ্গুলি মোবারকের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন আল্লাহর নির্দেশে, হযরত জাবের (রা.)-এর দুই সন্তানকে জীবিত করেছিলেন, তাঁর হুকুমে গাছ হেঁটে তাঁর কাছে এসেছিল। তিনি যেখানে হাত মোবারক রেখেছেন সেখানেই বরকত হয়েছে। তাঁর অসংখ্য মু‘জিজা রয়েছে। তদ্রুপ বড়োপির মহিউদ্দিন হযরত আবুদল কাদের জিলানি (রহ.) ১২ বছর পূর্বের নৌকাডুবে মৃত্যুবরণকারী বরবধুকে বরযাত্রীসহ জীবিত করেছিলেন। গরিবে নেওয়াজ হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ.) ঘটির ভিতরে আনা সাগরের সমস্ত পানি নিয়ে এসেছিলেন, হযরত শাহজালাল (রহ.) জায়নামাজ বিছিয়ে সুরমা নদী পার হয়েছিলেন, হযরত মোজাদ্দেদ আল ফেসানি (রহ.) বাদশাহ আকবরের দ্বিনে এলাহিকে তছনছ করে দিয়েছিলেন এবং ইমাম সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহমদ (রহ.) নিজ দরবারে অবস্থানরত অবস্থায় আরব সাগরে ডুবে যাওয়া তাঁর এক ভক্তকে অলৌকিকভাবে উদ্ধার করেছিলেন, সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাঁর ভক্তের কাটা আঙ্গুল জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন এবং নিরাপরাধ ফাঁসির আসামীকে খালাস করে দিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চ স্তরের অলী-আল্লাহ্ তথা নায়েবে রাসুল ছিলেন। তাঁরা তৎকালীন সময়ে মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর রূহানি নির্দেশে হেদায়েতের সুমহান দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে যারা হেদায়েতের দায়িত্ব পালন করছেন তাঁদেরও আল্লাহ্ ও রাসুল (সা.)-এর সাথে রূহানি যোগাযোগ আছে। তাঁরা প্রত্যেকেই অলৌকিক কারামত সম্পন্ন নায়েবে রাসুল। আলোর পথ তথা মুক্তির পথ পেতে হলে তাঁদের কাছে যেতে হবে।
বর্বর আরব জাতি হযরত রাসুল (সা.)-এর হাতে বায়েত হয়ে, তাঁর গোলামি করে তাঁর শিক্ষা অনুযায়ী ধ্যান-সাধনা করে, অতি অল্প সময়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ও সমৃদ্বশালী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বায়াত ও ধ্যান সাধনার প্রথা খোলাফায়ে রাশেদিনের যুগ পর্যন্ত বলবৎ ছিল। যতদিন এই প্রথা ছিল ততদিন মুসলিম জাতির শ্রেষ্ঠত্ব বজায় ছিল। স্বধর্মীদের অজ্ঞতা ও বিধর্মীদের চক্রান্তের ফলে মানুষ প্রকৃত নায়েবে রাসুলদের সান্নিধ্য ছেড়ে দিয়ে কিতাব সর্বস্ব হয়ে পড়েছে এবং বৃটিশদের তৈরি মাদ্রাসা থেকে কিতাবি বিদ্যা অর্জন করেই নিজেদের নায়েবে রাসুল মনে করছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে নায়েবে রাসুল হতে হলে হযরত রাসুল (সা.)-এর নুর ধারণ করতে হবে এবং মহান আল্লাহ্ ও হযরত রাসুল (সা.)-এর সাথে রূহানি যোগাযোগ থাকতে হবে। কিতাবি জ্ঞানে যারা পণ্ডিত হয়ে নিজেকে নায়েবে রাসুল দাবি করেন, এ সকল লোকের অনুসরণ করে মুসলিম জাতি তাদের শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে এবং দিকবিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে।

সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী বলেন, “সিলেবাস পড়ে পাশ করে নায়েবে রাসুল হওয়া যায় না। যারা নায়েবে রাসুল হয়েছেন তাঁরা মোরাকাবা করে, সাধনা করে রাসুলের চরিত্র অর্জন করে নায়েবে রাসুল হয়েছেন।”
যারা সত্যিকার নায়েবে রাসুল, তাঁরা সকলেই নুরে মোহাম্মদি ধারণ করে নায়েবে রাসুল হয়েছেন। আসলে কিতাব পড়ে জ্ঞানী, পণ্ডিত হওয়া যায়, কিন্তু নায়েবে রাসুল তথা অলী আল্লাহ্ হওয়া যায় না। মূলত নায়েবে রাসুল হতে হলে আল্লাহ্ ও রাসুলের মনোনীত একজন নায়েবে রাসুল তথা অলী-আল্লাহর হাতে বায়াত হয়ে, তাঁর কাছে শিক্ষা নিয়ে ধ্যান-সাধনা করে, নিজের ভিতরে আমিত্ব দূর করত আল্লাহ্ ও রাসুলের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে এবং আল্লাহর নুর হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তবেই তিনি নায়েবে রাসুল হবেন। সূরা কাহফের ১৭নং আয়াতে মহান আল্লাহ্ তাঁদেরকে মোর্শেদ (পথ প্রদর্শক) বলে সম্বোধন করেছেন। হযরত রাসুল (সা.) তাঁদেরকে নায়েবে রাসুল বলে সম্বোধন করেছেন। তাঁরাই জাতির শিক্ষক। তাঁদের সান্নিধ্য ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই।


জামানার শ্রেষ্ঠ ইমাম হযরত রাসুল (সা.)-এর সুযোগ্য উত্তরসুরি মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহ্বুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী (রহ.) হযরত রাসুল (সা.)-এর নুর ধারণ করে জাতিকে শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত ও মারেফতের সুমহান শিক্ষা দিয়ে আলোর পথ তথা মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তাঁর শিক্ষা গ্রহণ করে অসংখ্য মানুষ প্রকৃত আশেকে রাসুল হয়ে স্বপ্নে ও মোরাকাবায় মহান আল্লাহ্ ও রাসুলের দিদার লাভ করছেন এবং নামাজে আস্সালাতু মি‘রাজুল মু’মিনিন-এর বাস্তবতা উপলব্ধি করে ধর্মের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণ করছেন। তিনি ছিলেন জামানার সকল নায়েবে রাসুল তথা অলীদের বাদশাহ্। বর্তমান যুগে সূফী সম্রাট হুজুর কেবলাজান তাঁর মেজো সাহেবজাদা ইমাম প্রফেসর ড. আরসাম কুদরত এ খোদা (মা. আ.) হুজুরকে মোহাম্মদী ইসলামের নেতৃত্বপ্রদানকারী ইমাম হিসেবে মনোনীত করেছেন। যাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মোহাম্মদী ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করছে। তিনি মোহাম্মদী ইসলামের পুনর্জীবনদানকারী সূফী সম্রাট হযরত দেওয়ানবাগী (রহ.) হুজুর কেবলাজানের সুমহান আদর্শ শিক্ষা ও দর্শন দেশে বিদেশে প্রচার করে যাচ্ছেন। আসুন, আমরা এই মহামানবের সান্নিধ্য শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেদের মুক্তির ব্যবস্থা করি। আমিন।
[লেখক: ইসলামি গবেষক]

সম্পর্কিত পোস্ট